হুমকির মুখে আমন আবাদ
৩০ জুলাই ২০২৩, ১১:৩২ পিএম | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:২২ এএম
ভরা বর্ষায় নেই বর্ষণ, মাঠ ফেটে চৌচির। এর বড় প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। শ্যালো মেশিন চালিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে আমন ধানের চারা লাগাচ্ছেন কৃষকরা। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। সেইসঙ্গে আমন চাষাবাদ নিয়ে নানামুখী শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিলম্বে রোপণে ফসলে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ও ফলন কমার আশঙ্কা। এই অস্বাভাবিক এক বর্ষাকালের কারণে এবার আমনে কাক্সিক্ষত ফলন নিয়ে চিন্তিত কৃষক।
সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টি হচ্ছে। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত কোথাও কোথাও ৭০ শতাংশের কম বৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকছে। তাই অস্বাভাবিক এক বর্ষাকাল পার করছে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় বৃষ্টিনির্ভর আমনের চাষও অনেকটা সেচনির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে বাড়ছে কৃষকের উৎপাদন ব্যয়।
বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, যে বর্ষায় জমি প্রস্তুতের জন্য হালচাষ বাবদ স্বাভাবিক সময় ব্যয় হয় ২,০০০ টাকা। এখন বৈরী আবহাওয়ার কারণে জমি প্রস্তুত করতে হালচাষ বাবদ অতিরিক্ত ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আমন চাষে কোনো সেচ খরচ করতে হয় না। কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় এখন বর্ষা মৌসুমেও বোরো মৌসুমের মতোই সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ করতে হচ্ছে। এতে সেচ বাবদ ২০০০ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে আমন চাষে বাড়তি ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় জমি শুকিয়ে গেছে। আমনের জমি তৈরি করতে অনেক স্থানে কৃষক সেচের সাহায্য নিচ্ছেন। এতে কৃষকদের বাড়তি খরচ হবে প্রায় ২৩৩ কোটি টাকা। আমন চাষের এই দুরাবস্থার কথা আমাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। তাদের তথ্যের আলোকে রিপোর্টটি তৈরি করেছেন বিশেষ সংবাদদাতা রফিক মুহাম্মদ।
দিনাজপুর থেকে মাহফুজুল হক আনার জানান, ভরা বর্ষা মৌসুমে আকাশের গর্জন নেই। ঝড়ছে না অঝোড় ধারার বৃষ্টি। পানির অভাবে জমি খাঁ খাঁ করছে। আমনের চারা রোপণের জন্য জমি কর্দমাক্ত করতে পারছে না। বৃষ্টির জন্য কৃষকদের চোখ আকাশের দিকে। কখন কালো হবে মেঘ ঝড়বে বৃষ্টি। কিন্ত অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছেই না। বাধ্য হয়ে অনেকেই সেচ যন্ত্র লাগিয়ে আমনের চারা রোপণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জমির পরিমাণ কম থাকা কৃষকেরা পড়েছে চরম বিপাকে। খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হওয়ার মতো অবস্থা দাঁড়াচ্ছে তাদের সেচের কথা ভাবতে গিয়ে। ফলে প্রান্তিক চাষিদের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির অপেক্ষায় অনেকেই জমি ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। আবার যে সেকল জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করা হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা পরই সে সকল জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির এই বিরূপ অবস্থায় বৃষ্টির পানিনির্ভর আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষিনির্ভর দিনাজপুরের কৃষকরা। অপরদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় সেচের মাধ্যমে চারা রোপণ করতে যেয়ে করতে যেয়ে বিঘা প্রতি প্রায় ৭শ’ টাকা বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে। যা মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে কৃষকদের ওপর।
আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবনের ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরে কাক্সিক্ষত বৃষ্টি নেই। ফলে আমন রোপণের মৌসুম অতিবাহিত হতে চললেও দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ জমি শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে। জমিতে পানি না থাকায় আমন চারা রোপণ করতে পারছে না কৃষিক। এরপরও যারা বিকল্প ব্যবস্থায় আমন চারা রোপণ করেছে তাদের রোপিত জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার উত্তর মহাবলিপুর এলাকার কৃষক শক্টু মোহাম্মদকে ডিজেল ভর্তি জারকিন নিয়ে জমিতে ছুটতে দেখা গেল। জিজ্ঞাসা করতেই জানালো তার নিজের ও আধি নেয়া সর্বসাকুল্যে সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে আমন চারা রোপণের জন্য পানি দিতেই হবে। পার্শ্ববর্তী খালে কিছুটা পানি থাকায় সেখান থেকেই পানি সেচের ব্যবস্থা করতেই তার দৌড়-ঝাপ। তার মতে আষাড়ের মাঝামাঝিতে আমন চারা রোপণ করলেও এবার শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় জমি শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। তাই সেচের পানি দিয়ে কোন মতে চারা রোপণ করার পর বৃষ্টি হলেই আমন আবাদ নিশ্চিত করা যাবে। যদিও এ জন্য বাড়তি খরচ হয়ে যাবে।
এই অবস্থা সর্বত্রই। ধান উৎপাদনে চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক আবদুল ওয়াদুদ জানান, বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে অবশেষে সেচ দিয়ে সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে আমন রোপণ করেছেন তিনি। এই সাড়ে ৫ বিগা জমিতে আমন রোপণ করতে তাকে ডিজেল কিনতে হয়েছে ৩০ লিটারেও বেশি। এখনও বৃষ্টি না হওয়ায় রোপিত চারার জমি ফেলে যেতে শুরু করায় সেই জমিতে আবার তাকে সেচ দিতে হচ্ছে। এই অবস্থা উত্তর-দক্ষিন-পূর্ব-পশ্চিম সকল দিকেই।
কৃষকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, দুই বিঘা জমিতে আমন রোপণের জন্য সেচ দিতে হচ্ছে তাকে। প্রতি বিঘা জমিতে মাটি ভেজানোর জন্য ৪ লিটার ডিজেল এবং রোপণের সময় আরও ২ লিটার ডিজেল খরচ করতে হচ্ছে। এতে একবিধা জমিতে আমন রোপণ করতে তাকে কিনতে হচ্ছে ৬ লিটার ডিজেল। ১১০ টাকা লিটার হিসেবে এক বিঘা জমিতে শুধুমাত্র আমন রোপণ করতেই তার খরচ হচ্ছে ৬৬০ টাকা। বৃষ্টি হলে এই খরচ তার লাগতো না বলে জানান তিনি।
বিরূপ এই আবহাওয়ার কথা স্বীকার করে দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, আমন রোপণের প্রকৃত সময় জুলাই থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত। আমন রোপণের এখনও একমাস সময় আছে। কিন্তু কৃষকরা ধৈর্য না ধরে বিকল্প ব্যবস্থায় আমন রোপণ শুরু করেছেন। তিনি জানান, কৃষিকাজে সেচ দেওয়ার জন্য দিনাজপুর জেলার মোট ৭২ হাজার ৮০৪টি সেচযন্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে গভীর নলকূপ ৩ হাজার ৫১০টি, অগভীর নলকূপ ৬৮ হাজার ৮৪১টি এবং লো লিফট পাম্প (এলএলপি) ৪৫৩টি। এসব সেচন্ত্র মূলত বোরো চাষে ব্যবহার হয়। আমন আবাদ বৃষ্টি নির্ভর হওয়ায় আমনে তেমন এসব সেচযন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এবার বৃষ্টির অভাবে এসব সেচযন্ত্রের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ১৪৬টি সেচযন্ত্র চালু করেছে কৃষকরা। বাড়তি খরচ ও ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার রোধে তিনি কৃষকদের একটু ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সুত্র মতে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে। তিনি বলেন, গত ২০২০ সালের জুন ও জুলাই মাসে দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৭ মিলিমিটার। ক্রমান্বয়ে এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে এ বছর জুন ও জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৫০৮ মিলিমিটার, যা অর্ধেকেরও কম। তবে ২৯ জুলাইয়ের পর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, দিনাজপুর জেলার এবার ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত জেলায় ৬২ হাজার ৫১২ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ করা হয়েছে। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ২৩ শতাংশ। আশা করা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যেসব জেলা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নওগাঁ। গত কয়েক বছর নওগাঁয় ঠিকমতো মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয় না। যার প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন ফসলে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টির অভাবে রোপা আমন চাষতো দূরের কথা, অনেক কৃষক এখনো বীজতলাও তৈরি করতে পারেননি। এই বর্ষায় বৃষ্টি না থাকায় আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। এমন পরিস্থিতিতে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে ব্যয় কেমন হতে পারে জানতে চাইলে সদর উপজেলার কৃষক গোলাম রব্বানী জানান, জমি প্রস্তুতির জন্য হালচাষ, সেচ সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে আমন চাষে বাড়তি ২৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। বিঘাপ্রতি জমি রোপণের খরচের বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, জমি চাষকালে টিএসপি ১০ কেজি ৩০০ টাকা, এমওপি (পটাশ) ১০ কেজি ৩০০ টাকা, ইউরিয়া ৫ কেজি ১৫০ টাকা, জিপসাম ১০ কেজি ১৫০ টাকা, দস্তা ১ কেজি ২০০ টাকা, সালফার ৩ কেজি ১২০ টাকা ও ম্যাগনেশিয়াম সার ২ কেজি ৮০ টাকা খরচ করে জমিতে ছিটাতে হচ্ছে। এরপর জমির আইল কাটা বাবদ শ্রমিক ব্যয় ২০০ টাকা, ধানের চারা রোপণ বাবদ ১২০০, আগাছা প্রতিরোধে কিটনাশক ও ইউরিয়া ৫ কেজি বাবদ ১৫০, জমি নিড়ানী বাবদ শ্রমিকের ৫০০ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় যোগ হবে।
এছাড়া গাছ বাড়ন্ত হলে দ্বিতীয় দফায় আবার ইউরিয়া সার ১০ কেজি ৩০০ টাকা, এমওপি (পটাশ) ৫ কেজি ১৫০ ও ড্যাপ সার ৫ কেজি ১২০, প্রয়োজন অনুযায়ী কিটনাশক ব্যয় ১৫০০, ধান কাটা ও মাড়াই করা বাবদ ৪০০০ এবং বীজ ও বীজতলা তৈরি বাবদ ১০০০ টাকা ব্যয় করতে হবে কৃষককে। যেসব কৃষকের নিজের জমি নেই তাদের (বর্গাচাষি) জন্য অতিরিক্ত আরও ৭০০০ টাকা জমি লিজ নেওয়া বাবদ ব্যয় করতে হবে। সব মিলিয়ে আমন মৌসুমের শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। লোকসান গুনতে হবে চাষিদের।
চলনবিল অধ্যুষিত এ অঞ্চলে যমুনায় গত কদিনে পানি বাড়লেও চলছে তাপদাহ। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে চলনবিলে খরার হাতছানি দিচ্ছে। আমন ধানের চাষাবাদে আষাঢ়-শ্রাবণ উৎকৃষ্ট সময় হলেও প্রচ- তাপদাহে শ্রমিক সংকটও প্রকট। এ কারণে ধীরগতিতে হচ্ছে আমন চাষাবাদ। সময়মতো আমনের চারা রোপণ না করায় অনেক স্থানেই বিবর্ণ হয়ে বুড়িয়ে যাচ্ছে বীজতলা। এ ছাড়া জয়পুর হাট, বগুড়া এসব এলাকায়ও আমন চাষ নিয়ে কৃষক চরম বিপাকে পড়েছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভবিষ্যতে পুতিনের সাথে সরাসরি কথা বলতে চান শলৎজ
বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর ২২০০ সহিংসতা নিয়ে ভারতের তথ্য বিভ্রান্তিকর : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
ছিনতাইকারীর হাতে খুন হন হাফেজ কামরুল
ধামরাইয়ে ২টি ড্রেজার মেশিন জব্দ
রাবিতে অপরাধে জড়িত ৬ শিক্ষার্থী স্থায়ী বহিষ্কার, শাস্তি পেল মোট ৩৩ জন
রাণীশংকৈলে ফিল্মি স্টাইলে দোকান চুরি, ১৮ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও চোর ধরতে ব্যর্থ পুলিশ
মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন