হাজার মানুষের হুঙ্কারে কাঁপল নাইজারের ফরাসি দূতাবাস
৩১ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৩ পিএম | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
‘সাম্রাজ্যবাদী ফ্রান্স নিপাত যাক। পুতিন দীর্ঘজীবী হোন।’ হাজার হাজার মানুষের এমন হুঙ্কারে রোববার কেঁপে ওঠে নাইজারের ফরাসি দূতাবাস। শুধু তাই নয়, দূতাবাসের ফলক খুলে টাঙিয়ে দেয়া হয় রাশিয়া ও নাইজারের পতাকা।
পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ নাইজার। ইউরেনিয়াম, কয়লা, সোনার মতো প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে দেশটিতে। দীর্ঘদিন উপনিবেশ থাকার পর ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের হাত থেকে স্বাধীনতা পায় নাইজার। তবে আজও দেশটিতে ফরাসি প্রভাব রয়েছে। অভিযোগ, আজও দেশটির সম্পদ লুট করছে প্যারিস। এই প্রেক্ষাপটে, গত বুধবার নাইজারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। রাজধানী নিয়ামেতে নিজের প্রাসাদে রক্ষীদের হাতেই আটক হন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বাজুম। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন ও আমেরিকা। দ্রুত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বাজুমকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে তারা। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে তার কথা হয়েছে এবং তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রোববার সামরিক জান্তার হাজার হাজার সমর্থক সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের কূটনৈতিক মিশনের বাইরে জড়ো হয়েছিল, তারা প্রাঙ্গণে পাথর ছুঁড়ে এবং দরজায় আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা যখন ‘পুতিন দীর্ঘজীবী হোক’ এবং ‘ফ্রান্সের পতন হোক’ বলে সেøাগান দেয়, তখন কিছু সমর্থক প্রবেশদ্বারে হামলার চেষ্টা করে, নাইজেরিয়ান সৈন্যরা কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে, কেউ ফরাসি নাগরিক বা কূটনীতিকদের উপর আক্রমণ করলে ‘তাৎক্ষণিক এবং কঠোর’ প্রতিশোধ নেয়া হবে।
আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে কিছু কট্টরপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টায় নাইজারকে পশ্চিমের জন্য শেষ নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে দেখা হয়েছিল, যেখানে রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলি প্রভাবের জন্য লড়াই করেছে। দেশটিতে ফ্রান্সের ১,৫০০ সৈন্য রয়েছে যারা নাইজেরিয়ানদের সাথে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গায়িকা রুকসানার রহস্যজনক মৃত্যু!
যে কোনো মূল্যে লাহোর কর্মসূচি সফল করুন: ইমরান খান
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ভবনে বিচারককে গুলি করে হত্যা
ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
গরমে যেন শেষ সিলেট !
গল টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা
প্রেতাত্মাদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন হাসিনা
ময়মনসিংহে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে হামলা, প্রতিবাদে ইবির আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নানকে জেলহাজতে প্রেরণ
কালীগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন আটক
হাবিপ্রবিতে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভিসি নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ফ্যাসিবাদী দোসর মিডিয়া লীগে সংস্কার জরুরী
যৌথবাহিনীর হাতে সিলেট আটক বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য
পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ
নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’
পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত
গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল