কানাডা থেকে একজন মহিলা টিকটকার অত্যধিক পানি পানের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সমস্যায় পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই মহিলা টিক-টকারের জন্য হাসপাতালে পাঠানো নমুনার রিপোর্টের বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, ওই মহিলার শরীরে সোডিয়ামের মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে।
কানাডিয়ান টিকটোকারকে ভাইরাল ফিটনেস চ্যালেঞ্জের অংশ হিসাবে প্রতি ২৪ ঘণ্টা এক গ্যালন (চার লিটার পানি) পান করতে হয়েছিল। তার শরীরে অতিরিক্ত পানির কারণে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে যান।
টিকটকার মহিলা ‘৭৫ হার্ড ফিটনেস চ্যালেঞ্জ’ অনুসরণ করছিলেন, যে অনুসারে একজন ব্যক্তিকে দিনে ৪ লিটার পানি পান করতে হয় এবং জীবন থেকে অ্যালকোহল দূর করতে হয়, নিয়মিত ডায়েট অনুসরণ করে, দিনে দুবার ৪৫ মিনিটের জন্য ব্যায়াম (বাড়িতে একটি ওয়ার্কআউট, বাইরে একটি ওয়ার্কআউট), বইয়ের ১০ পৃষ্ঠা প্রতিদিন, এবং প্রতিদিন আপনার আকারের অগ্রগতির ছবি তোলা।
সম্প্রতি, টিকটকার মিশেল ফেয়ারবার্ন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে টিকটকে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন৷ তাহলে পানি বিষের মতো হতে পারে৷
তার চ্যালেঞ্জের দ্বাদশ দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মিশেল ফেয়ারবার্ন বলেন যে, তিনি যখন ঘুমাতে যাচ্ছিলেন তখন তিনি ভাল বোধ করছেন না এবং বাথরুমে যাওয়ার জন্য রাতে বেশ কয়েকবার উঠেছিলেন। বলেন যে, তিনি খেতে পারেন না। অতিরিক্ত পানির কারণে, তিনি বমি বমি ভাব এবং দুর্বল বোধ করছিলেন, তিনি সারা রাত এবং সকাল টয়লেটে কাটিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন যে, আমি ‘৭৫ হার্ড’ চ্যালেঞ্জ অনুসরণ করছি, তাই আমি খুব বেশি পানি পান করছি, এখন কী করব বুঝতে পারছি না।
অন্যদিকে, টিকটকার মহিলার সঙ্গে সম্পর্কিত হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, মিশেল ফেয়ারবার্নের শরীরে সোডিয়ামের মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে, যার পরে আক্রান্ত টিকটকারকে অর্ধেকেরও কম পান করতে হয়েছিল। দিনে এক লিটার পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সূত্র : জে এন।