হরিয়ানায় বুলডোজার অভিযানে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে গতকাল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবিক্ষুব্ধ নুহ জেলায় চলমান ‘বুলডোজার অভিযান’-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়ার। হাইকোর্টের আদেশের পরপরই নুহ জেলা প্রশাসক ধীরেন্দ্র খড়গাতা তার কর্মকর্তাদের ধ্বংস অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। ‘অবৈধ’ নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন তিনজন আইনজীবী।
গত চার দিনে ক্ষুদ্র ব্যবসার দোকান এবং অভিবাসী শ্রমিকদের খুপড়িসহ ৭শ’রও বেশি কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে। মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক ছোট মাপের হিন্দু ব্যবসায়ীরাও। এলাকাটি হিন্দু অধ্যুষিত হওয়ায় পঞ্চায়েত সেক্টর ৫৭-এর আঞ্জুমান মসজিদটি অপসারণের দাবি করেছে। অনেক হিন্দু অংশগ্রহণকারী সহিংসতা থেকে বাঁচতে কাছাকাছি একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিল। ডানপন্থী কিছু টুইটার অ্যাকাউন্ট জাল খবর তৈরি করে যে, মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া অনেক হিন্দু মহিলাকে মুসলমানরা অপহরণ এবং ধর্ষণ করেছে। হরিয়ানার অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (এডিজিপি) মমতা সিং এ তথ্যকে গুজব বলে অভিহিত করে বলেন, ‘গতকাল থেকে একটি আখ্যান সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে যে, যেদিন ভক্তরা নলহার মন্দিরে আটকেছিল, সেই সময় সেখানে কয়েকজন মহিলা ভক্তের সাথে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ ঘটেছিল। আমি আপনাকে বলতে চাই যে এটি মিথ্যা, একটি সম্পূর্ণ গুজব।’
৩১ জুলাই শুরু হওয়া ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকালে হিংসাত্মক জনতা ঝুপড়ি এবং দোকানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার পরে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক (প্রধানত মুসলমান) এবং ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা সম্পত্তির বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ৭শ’রও বেশি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। এর আগের দিন অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে সাহারা ফ্যামিলি রেস্তোরাঁ নামে একটি তিনতলা হোটেল ভেঙে ফেলা হয়। সহিংসতা শিগগিরই পার্শ্ববর্তী ফরিদাবাদ, সোহনা এবং গুরুগ্রাম জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে এবং আরো সহিংসতা রোধে ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সূত্র :
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বাধীন শোভা যাত্রার সময় পাথর নিক্ষেপ ঘটনার পর নুহ জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরু হওয়ার পরেই এ ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়। এতে ১ আগস্ট একজন ১৯ বছর বয়সী ইমাম এবং দুই হোম গার্ড সহ ছয়জন মারা যায়। গত রোববার তিগরি গ্রামে অনুষ্ঠিত একটি 'মহাপঞ্চায়েত' প্রশাসনকে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়ে ইমামকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবকের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। সূত্র : দ্য সিয়সাত ডেইলি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ