আসামিদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ফের শুরু
০৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলা এবং তার পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ আসামির সাজা মওকুফকে চ্যালেঞ্জ করে একটি ব্যাচের চূড়ান্ত শুনানি হয়েছে গতকাল। আজও চলবে শুনানি।
গোধরা ট্রেন-পোড়ানোর ঘটনার পরে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়াবহতা থেকে পালাতে গিয়ে গর্ভবতী বিলকিস বানো গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। দাঙ্গায় নিহত পরিবারের সাত সদস্যের মধ্যে তার তিন বছরের মেয়েও ছিল। এ মামলায় ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট দোষীদের সাজা মওকুফের পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর সিপিআই(এম) নেত্রী সুভাষিনী আলি, স্বাধীন সাংবাদিক রেবতী লাউল, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রূপরেখা ভার্মাসহ আরো বেশ কয়েকটি পিআইএল মওকুফকে চ্যালেঞ্জ করে। গত বছর ১১ জনের সমস্ত দোষীকে মঞ্জুর করা মওকুফকে চ্যালেঞ্জ করার আবেদনে যুক্তি শুরু করে বিলকিস বানোর পক্ষে উপস্থিত অ্যাডভোকেট শোভা গুপ্তা দাবি করেন যে, তিনি গর্ভবতী থাকাকালে তাকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তার প্রথম সন্তানকে পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘দ-িতরা মুসলিমদের হত্যার জন্য রক্তপিপাসু পন্থায় বিলকিসকে তাড়া করেছিল। তারা সেøাগান দেয়- এরা মুসলমান, এদের হত্যা কর।’ দোষীদের মঞ্জুর করা মওকুফের বিরোধিতায় গুপ্তা বলেন, ‘সিবিআই দোষীদের অকাল মুক্তির বিরোধিতা করেছিল এই বলে যে, একটি ভুল বার্তা সমাজের কাছে বৃহত্তরভাবে যাবে, কারণ অপরাধটি এমন প্রকৃতির যে এটি ক্ষমা করা যায় না।’
এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করে শীর্ষ আদালত ২৭ মার্চ গুজরাট সরকারকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, দোষীদের ক্ষমা করার সময় অন্যান্য হত্যা মামলার মতো অভিন্ন মান প্রয়োগ করা হয়েছিল কিনা। কেন্দ্র এবং গুজরাট সরকার আদালতকে বলেছিল, তারা দোষী সাব্যস্ত হওয়াদের মওকুফের বিষয়ে মূল রেকর্ড উপস্থাপনের জন্য আদালতের ২৭ মার্চের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য কোনো আবেদন দাখিল করছে না। শীর্ষ আদালত ১৮ এপ্রিল গুজরাট সরকারকে ১১ জন দোষীকে দেয়া মওকুফের বিষয়ে প্রশ্ন করে বলেছিল যে, অপরাধের মাধ্যাকর্ষণটি নম্রতা দেখানোর আগে বিবেচনা করা উচিত ছিল এবং মনের কোনো প্রয়োগ আছে কিনা তা ভেবেছিল। দোষীদের জন্য কিছু আইনজীবী তাদের দেয়া মওকুফকে চ্যালেঞ্জ করার আবেদনে নোটিশ না দেয়া নিয়ে আপত্তি উত্থাপন করার পরে শীর্ষ আদালত ২ মে শুনানি পিছিয়ে দিয়েছিল।
গুজরাট সরকার বিলকিস বানোর একটি ব্যতীত এই বিষয়ে দায়ের করা পিটিশনের বিষয়ে প্রাথমিক আপত্তি তুলে জানান, এর বিস্তৃত প্রভাব থাকবে, কারণ তৃতীয় পক্ষ ফৌজদারি মামলায় আদালতে যাবে। সূত্র : দ্য সিয়াসাত ডেইলি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ