বঙ্গবন্ধুর প্রেরণাদাত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব
০৭ আগস্ট ২০২৩, ১১:১২ পিএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
মানব ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড হিসেবে পরিগনিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় আগষ্ট মাসে। ১৯৭৫ সালের এ মাসের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। আজ সেই শোকের মাসের ৮ম দিন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল তাঁর কবিতায় লিখেছিলেন, বিশে^ যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকরÑ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”। বেগম মুজিবের জীবনী বিশ্লেষণে আমরা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতার যথার্থ প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতার রাজনৈতিক জীবনের সকল লড়াই,সংগ্রাম ও আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন এই মহিয়সী নারী। এ মহীয়সী নারীর জন্ম ও মৃত্যু হয় একই মাসে । ১৯৩০ সালের ৮ আগষ্ট জন্ম এবং মৃত্যু ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫। গোপালগঞ্জের টঙ্গিপাড়ার শেখ জহুরুল হক এবং হোসনে আরা বেগমের এক পুত্র ও দুই কন্যার মধ্যে ছোট সন্তান ছিলেন বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ডাকনাম রেনু।
তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়ার সন্তান শেখ মুজিব দীর্ঘ আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে বাঙালি জাতির অবিংসাদিত নেতা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, জাতির পিতায় সপরিণত হয়েছিলেন। এই সাফল্য-সংগ্রামের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে স্ত্রীর সম্পর্কে লিখেছেন, ‘ সে (রেণু) তো নীরবে সকল কষ্ট সহ্য করে, কিন্তু কিছু বলে না। কিছু বলে না বা বলতে চায় না, সেই জন্য আমার আরও বেশি ব্যথা লাগে।’ জাতির পিতার ‘রেণু’ হলেন বাংলার মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। যিনি প্রজ্ঞা, ধৈর্য্য, সাহসিকতা, মায়া মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে পালন করেছেন নারী জীবনের সকল দায়িত্ব। পাশাপাশি রাজনীতিবিদ না হয়েও দেশের দুঃসময়ে জনগণকে আগলে রেখেছেন নিজের মেধাও বিচক্ষণতা দিয়ে । যার জন্য সকলের কাছে তিনি বঙ্গমাতা হিসাবে সমাদৃত।
বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো অনুসরণ করে তাঁর প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকা-ে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন বেগম মুজিব। বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয়-দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বার বার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি ছিলেন, তখন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বঙ্গমাতার নিকটে ছুটে আসতেন, তিনি তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা বুঝিয়ে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতেন। বিশেষ করে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি নিয়ে একটি কুচক্রী মহল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে- কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত