বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণাই শিপনের পেশা
১২ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৯ পিএম | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
একজন প্রবাসী তার নিজ দেশের প্রতিনিধি। তাকে দিয়েই ওই দেশের মানুষ ধারণা লাভ করবে বাংলাদেশ সম্পর্কে। বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক-একজন বাংলাদেশীর চেষ্টা থাকে দেশের মান-মর্যাদাকে উচ্চকিত করার। অধিকাংশ প্রবাসীই এই ব্রতে দীক্ষিত। এর ব্যতিক্রম যে কেউ নেই এমন নয়। মেহেরপুরের মতিয়ার রহমান সৌদি আরবে গিয়ে ভিক্ষা বৃত্তি করে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন। হজ করার নামে সৌদী আরব যেতেন তিনি। ধরা না পড়া পর্যন্ত চলতো তার ভিক্ষাবৃত্তি। ফিরতেন ঝোলা ভর্তি টাকা নিয়ে।নিজের এবং দেশের মান-মর্যাদা তার কাছে তুচ্ছ।
এমন চরিত্রের মানুষ আরও আছে। যারা দেশের মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত করছেন। বিদেশের মাটিকে ব্যবহার করছেন যেনতেন প্রকারে হাতিয়ে নেয়ার মোক্ষম স্থান হিসেবে। সংশ্লিষ্ট দেশের মানবিক আইন এবং প্রবাসীদের নানাবিধ দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতার সুযোগ নিয়ে তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থ। জড়িয়ে পড়ছেন জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মতো অপরাধমূলক কর্মকা-ে।
এমনই এক আলোচিত চরিত্র শিপন (৪৪)। পুরো নাম মো: জাহান কবির শিপন। যুক্তরাজ্যে বসবাস তার। জন্ম, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের গুণবতী এলাকার খাটরা গ্রামে। পিতা-মরহুম আব্দুল কাদের ছিলেন স্কুল মাস্টার। শিক্ষক পরিবারের সন্তানরা সাধারণত: নির্লোভ ও আদর্শবাদী হন। কিন্তু মো: জাহান কবির শিপন ঠিক তার উল্টো। অর্থই তার কাছে চূড়ান্ত দর্শন। বন্ধু,স্বজনদের কাছেও সংবরণ করতে পারেন না লোভের লালা। ছলে-বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়া এবং সেই অর্থে বিলাসী জীবন যাপনের অভুতকৌশল তার রপ্ত ।কৌশল এতোটাই নিপূণ যে, শান্তি-শৃঙ্খলা ও সভ্যতার দেশ বৃটেন প্রশাসনও তার কাছে নস্যি। দেশীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে জাহান কবির শিপনকে নিয়ে। বেরিয়ে এসেছে তার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, বাংলাদেশী পাসপোর্ট (নং-বিডব্লিউ ০২০২১৭১)নিয়ে দেড় দশক ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে স্বপরিবারে (স্ত্রী-তাজরিন আহমেদ ও দুই সন্তান) বসবাস করছেন জাহান কবির শিপন। ২০০৮ সালে তিনি ইংল্যান্ড যান শিক্ষার্থী ভিসায়। এখন তিনি পরিচয় দেন‘প্রতিষ্ঠিত বড় ব্যবসায়ী’ হিসেবে। পরিচালনা করছেন কয়েকটি গ্রোসারি দোকান ও কফি শপ। এসব প্রতিষ্ঠানকে তিনি নিজের দাবি করলেও অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে একটি প্রতিষ্ঠানও নিজের নামে করেন নি। সেখানকার আদালতে নিজেকে নি:স্ব, সহায়-সম্বলহীন ও দেউলিয়া প্রমাণ করতেই তার এ কৌশল।
প্রাপ্ত রেকর্ড মতে, জাহান কবির শিপন লন্ডনের ২২, সেডার এভিনিউ’র একটি ফ্ল্যাট নিজের বলে দাবি করছেন। কিন্তু রেকর্ডপত্রে দেখা যায়, এটি একটি অস্থায়ী (ভাড়া) মালিকানার চুক্তি। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়ালেস’র সঙ্গে চুক্তিটি করেছেন শারমিন ফারহানা। বাড়ির প্রকৃত মালিক নেপাল বংশোদ্ভুত মিস্টার অনীল গুড়াং।যে গাড়িটি ব্যবহার করেন এটিও তার নিজের নামে নয়। কিস্তিতে কেনা। জনৈক আব্দুল্লাহ’র কাগজপত্র দিয়ে গাড়িটি কেনেন শিপন। বেক্সিটের আগে আব্দুল্লাহ ইটালি থেকে ইংল্যা- আসেন।
শিপনের নিজের নামে কোনো অ্যাকাউন্টও নেই। ব্যবহার করেন অন্যের ক্রেডিট কার্ড। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা অ্যাকাউন্টগুলোতে লেনদেন সামান্যই। এসবে জমার তুলনায় উত্তোলন বেশি। তার ক্রেডিট রেটিং অত্যন্ত কম। এ কারণে আইনত: তিনি নিজের নামে বাড়ি ভাড়াও করতে পারেন না। বসবাস কিংবা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য বাড়ি ভাড়া নেন অন্যের নামে। ২২ সিডার এভিনিউ, ব্ল্যাক ওয়াটার, ক্যামবারলি, সারেই (পোস্ট কোড- জিইউ ১৭০ জেএফ ) ঠিকানাটিকে তিনি ‘নিজের বাসা’ বলে দাবি করেন। এটি মূলত: কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল বাকী’র মেয়ে ডা: ফারহানা শারমিনের নামে ভাড়ায় নেয়া। জাহান কবির শিপন এই ভাড়া চুক্তির সাক্ষী মাত্র।বাডীটির মালিক নেপাল বংশোদ্ভুত গুরং দম্পতি, মিস্টার অনীল গুরং এবং মিসেস জিনা গুরং এর। এ প্রতিবেদক হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হন।
বিদেশের মাটিতে কষ্টার্জিত পাউন্ড হাতিয়ে শিপন অনেককে করেছেন নি:স্ব। প্রতারিতরা অসংগঠিত। সেখানে দূরদূরান্তে একেকজনের বাস। শিপনের কাছ থেকে পাওনা অর্থ আদায়ে দেন-দরবার করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। কর্মঘন্টা নষ্ট করে যতদিনে পাওনা টাকার জন্য শিপনের পেছনে ঘুরবেন-ততোদিনে তাদের আয় বন্ধ থাকবে। আত্মসাতের সঙ্গে যুক্ত হবে কর্মঘন্টা। এতে বাড়বে লোকসানের মাত্রা। এ হিসেব থেকে ভুক্তভোগী পাওনাদাররা প্রথম প্রথম পাওনা টাকার জন্য শিপনের পেছনে ঘোরেন। এক সময় তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তারা যে আইনের আশ্রয় নেবেন-সেই সুযোগও নেই। আইনের আশ্রয় লাভের যে যোগ্যতা প্রয়োজন সেটি অধিকাংশ ভুক্তভোগীরই নেই। এই দুর্বলতার সুযোগই নেন শিপন। নির্বিঘেœ চালাচ্ছেন অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণা। শুধু নিজ দেশের মানুষের কাছ থেকেই নয়। বিভিন্ন কায়দায় অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন ইংল্যান্ডে বসবাসরত ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ভেনিজুয়েয়লা ও রুমানিয়ার নাগরিকদের কাছ থেকে। শিপনের কাছে অর্থ খুইয়েছেন, প্রতারিত হয়েছেন-এমন অন্তত দেড় ডজন ব্যক্তির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয় এই প্রতিবেদকের। এর মধ্যে চট্টগ্রাম চন্দনাইশের মো: মোর্শেদের কাছ থেকে শিপন নিয়েছেন ১২ হাজার পাউন্ড। সিলেটের মো: মামুনের কাছ থেকে নিয়েছেন ৫ হাজার পাউন্ড। মো: কয়েশের কাছ থেকে নিয়েছেন ১৫ হাজার পাউন্ড। সিলেটের বেগম জমিলার কাছ থেকে হাতিয়েছেন বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩৫ লাখ টাকা। মোসলেম মিয়ার ১৬ হাজার পাউন্ড। ফেনীর মো: সেলিমের কাছ থেকে নিয়েছেন ৫ হাজার পাউন্ড। ইংল্যান্ড প্রবাসী পিরোজপুরের জাহিদ হাসানের কাছ থেকে নিয়েছেন ১৮ হাজার পাউন্ড। চট্টগ্রামের শাহ মোহাম্মদ খান গিয়াসের কাছ থেকে নিয়েছেন ৮৫ হাজার পাউন্ড। চট্টগ্রামের মো: রাসেলের কাছ থেকে ৬ হাজার পাউন্ড। ফেনীর জিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশী মুদ্রায় ২ লাখ ৮ হাজার টাকা। জিয়ার বন্ধু ফেনীর তুহিনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা। জিয়ার আরেক বন্ধু কুমিল্লার গুণবতীর মো: রুবেলের কাছ থেকে নিয়েছেন সাড়ে ১৪ লাখ টাকা। চৌদ্দগ্রামগুণবতীর লকিয়তউল্লাহ’র কাছ থেকে নিয়েছেন ৪ কোটি টাকা। ভারতের শ্রী শ্যামের কাছ থেকে ২৫ হাজার পাউন্ড, চীনের মিস্টার শিজু’র কাছ থেকে ৩ হাজার পাউন্ড, পাকিস্তানের মিস উজালার কাছ থেকে ২০ হাজার পাউন্ড। পাকিস্তানের বোরহানুল ইসলামের কাছ থেকে ১৮ হাজার পাউন্ড। পাকিস্তানের মিস রাফিয়া ইজাজের কাছ থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড। চীনা বংশোদ্ভুত যুক্তরাজ্যের নাগরিক মিসেস উইকীর কাছ থেকে নিয়েছেন ৫০ হাজার পাউন্ড। নেপালের মিস মুকু’র কাছ থেকে নিয়েছেন ৩ হাজার পাউন্ড। রুমানিয়ার মিস্টার ম্যারিওর কাছ থেকে হাতিয়েছেন ৪ হাজার পাউন্ড। ভেনিজুয়েলার মিস্টার কার্লোসের কাছ থেকে ৫ হাজার পাউন্ড। বৃটিশ নাগরিক আলীর সঙ্গে করেছেন প্রতারণা। এর বাইরে দেশী-বিদেশী আরও অন্তত ৯ জন ভুক্তভোগীর তথ্য পাওনা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ভ্ক্তুভোগীদের অভিযোগ, ব্যবসায় অংশীদার কিংবা প্রফিট শেয়ারের কথা বলে অন্যজনের আইডি-পাসপোর্ট ব্যবহার করে ব্যবসা পাতেন জাহান কবির শিপন। পরবর্তীতে ব্যবসা যখন জমে ওঠে তখন পার্টনারের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। কৃত্রিম ‘ঝামেলা’ সৃষ্টি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে ফেলেন। কোনো লভ্যাংশই কোনো পার্টনারকে দেন না। বিনিয়োগকৃত মূলধনও আত্মসাৎ করেন। লেগে যান নতুন ‘বিনিয়োগকারী’ কিংবা ‘মক্কেল’র সন্ধানে। মক্কেল সংগ্রহে শিপন ব্যবহার করেন ওই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে। স্বচ্ছলতা আছে-এমন কাস্টমারদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে ভাব জমায়। স্থাপন করে সুসম্পর্ক ও বন্ধুত্ব। এক পর্যায়ে দেয় প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের প্রস্তাব। মিষ্টি ব্যবহার ও তার বাকপটুতারকারণে মানুষ দ্রুতই পটে যায়। কথার মারপ্যাঁচে জড়িয়ে ফেলেন প্রতারণার জালে। জাহান কবিরের প্রতারণায়নি:স্ব হয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু তিনি এমন কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ করেন যে, প্রতারিত মানুষ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারও চাইতে পারেন না। বিশেষত: বাংলাদেশের প্রবাসীরা অতিরিক্ত পরিশ্রম ও কষ্টে অর্জিত পাউন্ড ইউরোপের নানা নিয়ম-কানুনের ভয়ে ব্যাংকে গচ্ছিত রাখেন না। অনেকটা বিশ্বাসের ওপর নগদে লেনদেন করেন। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন শিপন। ফলে নগদ বিনিয়োগে মানুষ প্রতারিত হলেও স্থানীয় প্রচলিত আইনে বিচার চাইতে পারেন না।
শিপন তার রেস্টুরেন্ট এবং শপে এমন ব্যক্তিদের কাজ দেন যাদের ওয়ার্ক পারমিট কিংবা বৈধ কাগজপত্রের অভাব রয়েছে। ২০ ঘন্টার বেশি কাজ করার অনুমতি নেই-এমন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাজে যুক্ত করেন। জাহান কবির শিপনের অর্থ আত্মসাতের আরেকটি স্টাইল হচ্ছে, দোকানের জন্য বাকিতে মালামাল আনা। বিভিন্ন ভেন্ডারের কাছ থেকে তিনি ক্রেডিটে পণ্য কেনেন। পরে কথা মতো সেই পাওনা পরিশোধ করেন না। পরিশোধ করেন না কাউন্সিল ট্যাক্স, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ময়লা ও পানির বিল। এছাড়া অন্যের আইডি ও পাসপোর্ট ব্যবহার করে নেয়া ঋণও পরিশোধ করেন না।
শিপন যাদের আইডি ও পাসপোর্ট ব্যবহার করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন তাদেরকে না জানিয়েই ব্যাংক থেকে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করান। যেহেতু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হয় প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায়, তাই জাহান কবির কার্ডগুলো নিজের অধীনে রেখে একাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন। পরবর্তীতে যখন পাওনাদাররা টাকার জন্য আসে, ব্যাংক মামলা করে, সকল অবসহায় জাহান কবির অধরা থেকে যান। অন্যদিকে বিপদে পড়েন আইডি ও পাসপোর্ট হোল্ডার। শিপন তাজিনদার জানডু, ফারহানা শারমিনের মাস্টার কার্ড, আব্দুল আলীম, মাহবুব হাসান এম.ইউনূস ও মনোয়ার রহমানের ভিসা কার্ড ব্যবহার করেন।
একটা পর্যায়ে যখন পণ্য সরবরাহকারী পাওনাদাররা তাকে খুঁজতে থাকেন শিপন তখন আর ফোন ধরেন না। স্থানীয় কাউন্সিল ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করলেও ধরা- ছোঁয়ার বাইরে থেকে যান শিপন। কারণ, তার প্রতিষ্ঠানের কোনো কাগজপত্রই তার নামে নয়। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তিনি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন যে, এক পর্যায়ে স্থানীয় কাউন্সিল বা আদালত ওই কোম্পানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। শিপন তখন নতুন কোম্পানি গঠন করে দেউলিয়া ঘোষিত কোম্পানি নিজেই অধিগ্রহণ করেন। এভাবে চক্রাকারে তিনি বিনিয়োগকারী, সাপ্লাইয়ার, স্থানীয় কাউন্সিল ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বোকা বানিয়ে দেড় দশক ধরে বিদেশের মাটিতে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতারণা।
ইংল্যান্ডের মানবিক আইনের সুযোগ নিয়ে অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে অপরাধমূলক কর্মকা-। সেখানে বসবাসকারী ক্যামবারলি এলাকার প্রায় সব বাংলাদেশী বিষয়টি অবহিত। এর আগে একবার ইস্ট লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় তার প্রতারণার খবর ব্যাপক জানাজানি হলে সেখান থেকে সটকে পড়েন। চলে আসেন ক্যামবারলি। কিছুদিন আগে ক্যামবারলি থেকে চলে যান স্যানড হারসট এ।
জাহান কবির শিপনের অব্যাহত প্রতারণায় স্থানীয় দফতরে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এ প্রেক্ষাপটে লন্ডন পুলিশ জাহান কবির শিপনের পায়ে ট্যাগ লাগিয়ে দেয়। এতে শিপনের সার্বিক গতিবিধির ওপর তারা সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখে। তার এহেন কর্মকান্ডে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ কমিউনিটি চরমভাবে বিব্রত।
অভিযোগের বিষয়ে হোয়াটনঅ্যাপে জাহান কবির শিপনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্ট করা হয়। কিন্তু তিনি এসএমস ‘সীন’ করলেও কোনো সাড়া দেননি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার