মাদকে জড়িয়ে পড়ছেন পিআইও’রা
১২ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৮ পিএম | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের কাজ দেশের বেশিরভাগ জেলা-উপজেলায় কাজের ভাগাভাগির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সরকারি উন্নয়ন কাজের বাস্তবায়ন না করে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের সাথে এবার মাদক নেশায় জড়িয়ে পড়ছেন উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা। সারাদেশ থেকে ২০৫ জন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে দিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এর মধ্যে ৪৭ জন কর্মকর্তা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। উলিপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও ব্যবহারের করেন বলে মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া যেসব জেলার উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাদক সেবনের সাথে জড়িত সে জেলাগুলো হচ্ছে, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং নোয়াখালী জেলার কয়েকটি উপজেলার কর্মকর্তারা জড়িত বলে দুযোগ ও ব্যস্থাপনা অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও মাদককে সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে অনেক কর্মকর্তাকে রক্ষার জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা তদবির করছেন। আবার অনেক কর্মকর্তাকে লঘুদ- দেয়া হয়েছে বা তিরস্কার করা হয়েছে। জড়িত এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। আবার অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকজন কর্মকর্তাকে বারখাস্ত করা হলেও আসল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণসহ নানা অনিয়মে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্বে বিভাগীয় মামলা করা হয়, আবার কয়েকেজনকে শাস্তি দেয়া হলেও মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত কর্ম-পরিকল্পনা প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইন/অফলাইনে প্রাপ্ত অভিযোগ লক্ষ্যমাত্রা ৯০ শতাংশ, এর মধ্যে গতবছর জুলাই-সেপ্টেম্বর ৮টি, অক্টোরব থেকে ডিসেম্বর ২২টি, চলতি বছরের জনুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৭টি, এপ্রিল থেকে জনু পযর্ন্ত ১২টি অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে ২৫ শতাংশ নিষ্পত্তি করা হয়। আর লিখিত অভিযোগ সরাসরি জমা হলে সেগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি এ প্রতিবেদনে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না করে ভাগাভাগির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। অনেক জেলায় প্রকল্পের কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়েছেন এমন শত শত অভিযোগ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে রয়েছে। আবার ৪০ থেকে ৫০ জন মাদক সেবন করেন। এসব অভিযোগের কোনো তদন্ত হচ্ছে না। আবার অনেক কর্মকর্তাকে রক্ষায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা তদবির করছেন।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, বিভিন্ন উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ আমার কাছে আসার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর মাদক সেবনকারী কর্মকর্তারা অপরাধ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি নিজেই কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সািচব মো. কামরুল হাসান দেশের বাহিরে অবস্থান করার কারণে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, আসলে অনকে অভিযোগ আসে। সব কিছু আমাদের করার থাকে না। অনেক অভিযোগরে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত হয়। মাদক সেবনকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে কুড়িগ্রাম জেলা উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু অভিয়োগে উল্লেখ করেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো, সিরাজুদ্দৌলা দীর্ঘ সাড়ে চার বছরে প্রকল্পের কমিশন বাবাদ কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন। এছাড়া নিয়মিত অফিস করেনে না। প্রতিনিয়িত মাদক সেবন করেন। উপজেলা পরিষদের পরিবেশ নষ্ট করছেন। তার রুমে যে কোনো সময় ফেন্সিডিল পাওয়া যাবে। এছাড়া তাকে কয়েকবার উপজেলা সমন্বয় সভায় অবগত করা হয়েছে। এর আগের উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম ২০১৭-১৮ সালের টিআর কর্মসূচির আওতায় তিনটি অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পের বিল ভাউচার সৃজন করে কমিটির যোগসাজশে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৮ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এ বিষয়ে দুদকের তদন্তে সত্যতা মেলায় তিনি সেই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে দেন। এরপর তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) আইনে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। তিন বছরের বর্ধিত বেতন কর্তন করেছে মন্ত্রণালয়। বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কাছে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাহমুদুল ইসলাম নিজেও স্বীকার করেন যে, তিনি প্রকল্প পরিদর্শন না করেই বিল ভাউচার করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩ (খ) মতে অসদাচরণের দায়ে ও একই বিধিমালা ৪ (২) এর খ মতে বার্ষিক বর্ধিত বেতন তিন বছরের জন্য কর্তন করার আদেশ দেওয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক আমিনুল হক স্বাক্ষরিত গত ৪ জানুয়ারি লিখিত এক প্রজ্ঞাপনের এ আদেশ দেয়া হয়। এ ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহামুদুল ইসলাম বলেন, এটা ভুলবশত হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প হয়ে আসে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প ছিল ডবল। এটা না দেখার কারণে এমনটি হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণসহ নানা অনিয়মে অভিযুক্ত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকারকে বরখাস্ত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। এর আগে, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে নুরুন্নবী সরকারকে বান্দরবান সদর উপজেলায় বদলির আদেশ দেয় অধিদফতর। কিন্তু বান্দরবানে যোগদান না করায় তাকে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তের আদেশ দেয়া হয়। এরপরেও প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করেননি নুরুন্নবী সরকার। ২০১৫ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মে জড়িতে পড়েন নুরুন্নবী। গত ৫ বছরে হামলা-মামলা ও ঘুষ-দুর্নীতির দায়ে নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে দুদকসহ পাঁচটি মামলা দায়ের হয়।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতি কোনভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রতিটি প্রকল্প থেকে মানুষের কাছ থেকে ২/৩ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এ টাকা সংগ্রহ করে থাকেন পিআইও অফিসের অফিস সহায়ক জীবন চন্দ্র দাস। কেউ ঘুষের টাকা দিতে না চাইলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন। দীর্ঘদিন প্রকল্প কর্মকর্তার অফিসে সে ঘুষ বাণিজ্য চালালেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুকূলে ৩১৮ মে. টন চাউল বরাদ্দ দেন। এসব চাল প্রক্রিয়া করে ওঠাতে টনপ্রতি অফিস খরচের কথা বলে গত এক সপ্তাহে ৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) প্লাবন পালের লাগামহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে বানিয়াচং পিআইও অফিস ঘুষ-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লোহাগড়ার পিআইও দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এস এম এ করিমকে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর এ বরখাস্তের আদেশ দেয়। অধিদফদরের উপ-পরিচালক (উপসচিব) লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এ বরখাস্তের আদেশ বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে পৌঁছেছে। বরখাস্ত আদেশে বলা হয়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে লোহাগড়া উপজেলার সেতু নির্মাণ খাতের ১৬টি প্রকল্পের শিডিউল বিক্রির সংখ্যা কম দেখিয়ে পিআইও এস এম এ করিম ৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনি সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। নড়াইলের জেলা প্রশাসক এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ৯ নভেম্বর অধিদফতরে দিয়েছিলেন।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় এ নিয়ে বাগ-বিত-ার ঘটনাও ঘটে। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) বিচারসহ প্রত্যাহারের দাবি করেন। এর আগে ওই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন পিআইওর বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম এ উপজেলায় যোগদানের পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সমন্বয় না করে নামমাত্র ত্রাণ বিতরণ করে বাকি সব নিজেই আত্মসাৎ করেন। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে বিল উত্তোলনও করেন পিআইও মাইদুল ইসলাম। এছাড়া টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পগুলোতে ২০ শতাংশ কমিশন শর্তে বিলে স্বাক্ষর করে থাকেন এ পিআইও -এমন অভিযোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। পিআইও মাইদুল ইসলামের কারণে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের ভাগাভাগি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের পাল্টা-পাল্টি হামলা ও মামলার ঘটনাও ঘটে।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৯ টাকা আত্মসাত করেছেন। দুদক বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে দুদক আইনে এই মামলা করেন। এতে পিআইও আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে কাজ না করেই ২৯৫টি ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে দুই কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দ-বিধির ৪০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মো. সিরাজুদ্দৌলার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে কথা বলতে চাননি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ