সরকার গঠনে ফেউ থাই পার্টির জোটে যোগ দেবে সামরিকপন্থি দল

ইনকিলাব ডেস্ক :

১৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:২১ পিএম | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চ্যান-ওচা’র সাথে সম্পৃক্ত একটি সামরিকপন্থি দল বলেছে যে, তারা তিন মাসের অচলাবস্থার পর থাইল্যান্ডের পরবর্তী সরকার গঠনের প্রচেষ্টায় পপুলিস্ট ফেউ থাই পার্টির নেতৃত্বে একটি জোটে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে।
২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত রুয়াম থাই সাং চার্ট বা ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি, তার এবং পালং প্রচারথ পার্টির নেতা উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রবিত ওংসুওয়ানের মধ্যে স্পষ্ট বিবাদের পরে প্রয়ুথের আরেকটি মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একটি বাহন হিসাবে দেখা হয়েছিল যা ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর প্রয়ুথকে অফিস নিতে সাহায্য করেছিল।
প্রয়ুথ প্রথমে ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে সেনাপ্রধান হিসেবে ক্ষমতা দখল করেন এবং তারপর একটি সামরিক সরকারে প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি, তবে পালং প্রচারথের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন। দলটি নির্বাচন-পরবর্তী জোট গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল যা তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করেছিল।
প্রয়ুথ মে মাসের নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনাইটেড থাই নেশনে যোগ দেন। নির্বাচনে দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর, মাত্র ৩৬টি আসন নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা প্রয়ুথ ঘোষণা করেন যে, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন, কারণ থাইল্যান্ড নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রাম করেছে।
প্রগতিশীল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি মে মাসের নির্বাচনে আশ্চর্যজনকভাবে বিজয়ী হয়েছিল, কিন্তু এর নেতা পিতা লিমজারোয়েনরাত নির্বাচিত হাউস থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে ব্যর্থ হন এবং প্রয়ুথ-নেতৃত্বাধীন সামরিক সরকারের নির্বাচিত রক্ষণশীল নিযুক্ত সিনেট হওয়ার প্রয়োজন ছিল। প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজপরিবারের মানহানি করা অবৈধ করে এমন একটি আইন সংস্কারের জন্য তার দলের আহ্বানের কারণে অনেক সিনেটর পিতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। সমালোচকরা বলছেন যে, আইন, যেখানে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদ-ের বিধান রয়েছে, এটি একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে অপব্যবহার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর মতো সিনেটের সদস্যরা নিজেদেরকে ঐতিহ্যগত রক্ষণশীল রাজকীয় মূল্যবোধের অভিভাবক হিসেবে দেখেন।
ফেউ থাই হল সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সাথে সম্পৃক্ত দলগুলোর মধ্যে সর্বশেষতম, একজন বিলিয়নিয়ার জনতাবাদী যিনি ২০০৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। যেখানে থাকসিন-সমর্থিত দলগুলো নির্বাচনে সাফল্য লাভ করেছিল, তার উত্তরসূরিদের মধ্যে কেউই আদালতে আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে পদে থাকতে সক্ষম হননি, যা দৃঢ়ভাবে রক্ষণশীল সংস্থার সাথে যুক্ত ছিল যারা দীর্ঘদিন ধরে থাকসিনের প্রতি তীব্র শত্রুতা পোষণ করেছে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। রাস্তার প্রতিবাদ তার শত্রুদের দ্বারা পরিচালিত। থাকসিনের বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বে একটি ফেউ থাই সরকার, ২০১৪ সালের অভ্যুত্থানে প্রয়ুথ দ্বারা পতন ঘটে।
থাকসিন বলেছেন যে, তিনি বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় কারাদ- থেকে বাঁচতে বছরের পর বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনের পর শিগগিরই থাইল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। ইউনাইটেড থাই নেশনের জোটে যোগদানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ফেউ থাই থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি, তবে এর ডেপুটি নেতা ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বৃহস্পতিবারের শুরুতে বলেছিলেন যে, দুই দল সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেছে। সূত্র : এপি।

বিভাগ : জাতীয়