২০৩৩ সালের মধ্যে ভ্রমণশিল্প হবে সাড়ে ১৫ লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতি
২১ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪৮ পিএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম
ভ্রমণ ২০৩৩ সাল নাগাদ একটি সাড়ে পনেরো লাখ কোটি ডলারের শিল্পে পরিণত হতে চলেছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির ১১.৬ শতাংশেরও বেশি। ২০১৯ সালে ভ্রমণ বিশ্বের মোট দেশীয় পণ্যের ১০.৪ শতাংশ ছিল যা ১০ লাখ কোটির মূল্যের তুলনায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করেছিল।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল ভ্রমণের ওপর ১০ বছরের এ পূর্বাভাস দিয়েছে। ২০২৩ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রভাব প্রতিবেদনের অংশ হিসাবে এটি মে মাসে প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত শিল্প নির্বাহীদের একটি ছোট অঙ্গণের বাইরে এ তথ্য প্রচার করা হয়নি। এ প্রতিবেদনটি বিশ্বের প্রধান পর্যটন বাজারগুলোর অর্থনৈতিক অবদানকে ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি জিডিপি অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের শীর্ষ পাঁচটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভ্রমণ এবং পর্যটন অর্থনীতিকে প্রকাশ করে। এ তালিকায় ২০১৯-এর মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং জাপান রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক তালিকায় জাপান যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। এ শিল্পটি ২০৩৩ সালের মধ্যে ৪৩ কোটি লোককে নিয়োগ দেবে। এটি বিশ্বব্যাপী প্রতি ৯টি কাজের মধ্যে প্রায় ১টির জন্য দায়ী হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সিম্পসন বলেন, ‘অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, বিশ্বব্যাপী জিডিপি বার্ষিক ভিত্তিতে বছরে প্রায় ২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ভ্রমণ এবং পর্যটনে, আমরা প্রায় ৫.১ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি আশা করছি।’ তিনি আরো জানান, আগামী ১০ বছরে মার্কিন ভ্রমণ অর্থনীতি চীনের কাছে তার জায়গা হারাবে, যা বর্তমানে বার্ষিক দুশ’ কোটি ডলার মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের বৃহত্তম। ২০৩৩ সালে চীনের ভ্রমণ খাতে ৪শ’ কোটি ডলারের অবদান রাখার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে এবং এটি চীনা অর্থনীতির ১৪.১ শতাংশ হবে। বিপরীতে মার্কিন শিল্প ৩শ’ কোটি ডলারে পৌঁছানোর অনুমান করা হয়েছে যা মার্কিন অর্থনীতির ১০.১ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করবে। একবার চীনা ভ্রমণকারীরা পূর্ণ শক্তিতে ফিরে গেলে যা ২০২৪ সালের মধ্যে প্রত্যাশিত, এটি বৈশ্বিক পর্যটনের জন্য বৃদ্ধির আরেকটি উল্লেখযোগ্য তরঙ্গ শুরু করবে। সাথে ২০৩৩ সালের মধ্যে বৈশ্বিক বহির্মুখী ভ্রমণ ব্যয়ের চীনা অংশ ২২.৩ শতাংশে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সিম্পসন বলেছেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও লোকেরা সত্যি সত্যিই ভ্রমণ করতে চায় এবং তারা ভ্রমণে তাদের ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’ সূত্র : ব্লুমবার্গ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬
সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান
জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল