মন্ত্রী-এমপির নামে অভিযোগের পাহাড়
২৩ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৫ পিএম
কেন্দ্র থেকে বিএনপির এক দফার আন্দোলন ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা এবং নির্বাচনের আগে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- জনগণের কাছে তুলে ধরে প্রচারণার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওই নির্দেশনার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। মাঠ পর্যায়ে কয়েকটি জেলায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বে মন্ত্রী-এমপি, এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যান এবং তৃর্ণমূল নেতাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি কার্যত বন্ধ। মাঠের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ নেতানেত্রীদের মধ্যে বিরোধ ওপেন সিক্রেট। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং অর্ধশতাধিক এমপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমা পড়েছে কেন্দ্রে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক তৃণমূল নেতাদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দলের তৃণমূল থেকে দলের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিজ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সংসদ সদস্যদের স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে যেমন অভিযোগ করেছে, তেমনি এমন অনেক অভিযোগ এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধানের কাছে সরাসরিও অভিযোগ করেছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে তৃণমূলের কোন্দল ও বিভাজন নিয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা ইনকিলাবকে বলেন, আসলে ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলের এমন কিছু মানুষকে সংসদ সদস্য করা হয়েছে তারা দলের অনেক ক্ষতি করেছেন। তাদেরই কয়েকজন বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে দলের তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে খেয়াল-খুশি মতো নিজেদের পছন্দের লোককে মনোনয়ন দিয়েছে। এর পর থেকে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে যা আগামী নির্বাচনে চরম ক্ষতির কারণ হতে পারে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং দায়িত্বশীল যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে নিয়মিত লিখিত অভিযোগ আসছে। সারাদেশে মন্ত্রী, এমপি ও তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে অন্য দলের লোকদের আকৃষ্ট করা, আধিপত্য বিস্তার, দলীয় পদ প্রদানসহ তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, দলের অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা আবার স্থানীয় সংসদ সদস্যদের এলাকায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধেই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য তুলে ধরছে। এ বিষয়টি নিয়ে দলীয় প্রধান দলের সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। যদি কোন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ান তার দল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের দ্বন্দ্ব বিভিন্ন জেলা থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার বেশির ভাগেই রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এ ধরনের ইস্যুতে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়েছে এবং এবং অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছে। এসব দ্বন্দে¦র পেছনে রয়েছে জেলা, উপজেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় মন্ত্রী-এমপিদের দ্বন্দ্ব। সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে কোন্দল ও বিভক্তি তীব্র হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই এ ধরনের দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। সম্প্রতি মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম খান কৃষিমন্ত্রী ও দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধান সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের একাধিক কপি ইনকিলাবের কাছে আছে। ড. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে গত মে মাসে একটি অভিযোগ করেছেন টাঙ্গাইল মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি ও সাধারণ সম্পাদক ছয়োরার আলম খান আবু। অভিযোগে তারা লিখেছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আ: রাজ্জাক সাহেবের অগঠনতন্ত্র ও স্বেচ্ছাচারী কার্মকা-ে তৃণমূলের দলীয় নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন বিশেষ করে গত কয়েক মাস পূর্বে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনীত নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে তার ব্যক্তিগত পছন্দের লোকদের নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে তাদের পক্ষে অবস্থান নেন এবং নৌকাকে পরাজিত করান যা মধুপুরের দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ জানেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে বহিষ্কৃৃত দুইজন ব্যক্তিকে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আঃ রাজ্জাক সাহেব দুইটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেন। তাতে দলীয় নেতাকর্মীরা ভীষণভাবে বিক্ষুদ্ধ হয়। অভিযোগে তারা আরো লিখেছেন, বর্তমানে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক দলের মধ্যে যে ধরনের নোংরা গ্রুপিং তৈরি করেছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দলীয় কর্মসূচি পালনে আমরা কৃষিমন্ত্রীর বাধার সম্মুখীন হই। এছাড়া চিঠিতে আরো বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে তারা বলেন, উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা কৃষিমন্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে মধুপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলবো না। সরাসরি কথা বলতে পারলে বলবো।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, তৃণমূল নেতাদের একই ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছে কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিখলী) আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধেও। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন ওই এলাকার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ওই অভিযোগপত্রে সংসদ সদস্য ও তাঁর স্বজনদের হাত থেকে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাঁচানোরও আহ্বান জানানো হয়।
অভিযোগপত্রে লেখা আছে, কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন তার ক্ষমতার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে দলের পুরনো পরীক্ষিত নেতা কর্মীদেরকে বাদ দিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি করতে নবাগত, নিজের আত্মীয় স্বজন এবং বিএনপি জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে উপজেলা কমিটি গঠন করেছেন। ইউনিয়ন কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করে মৌখিকভাবে বিভিন্নজনকে বিভিন্ন পদ দিয়ে দেন। তার সহোদর ভাইকে মেয়রপ্রার্থী করেছেন এবং আওয়ামী লীগের অন্য কাউকে স্থানীয়ভাবে মনোনয়ন চাওয়ার সুযোগ পর্যন্ত দেননি। একই কাজ করেছেন বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময়। তার ভাগ্নেকে একক প্রার্থী করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। সংসদ সদস্য এবং তার আত্মীয়-স্বজনের নির্যাতনের ভয়ে আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী এলাকাছাড়া এমন ঘটনাও ঘটেছে। অপেক্ষাকৃত কম মূল্য দিয়ে জোরপূর্বক জায়গা কিনে নেয়া, জায়গা বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় পিটিয়ে আহত করার ঘটনাও ঘটেছে সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের ছত্রছায়ায়। তার ভাই, ভাগ্নে, শ্যালকদের অন্যায় কর্মকা-ের কারণে সাধারণ মানুষ এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা ও আতঙ্কে থাকে যা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রায় ৫ থেকে ৬টি গ্রুপ ও উপগ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। যারা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আগামী সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেও জানা গেছে।
পাবনার সুজানগর উপজেলা থেকেও একই লিখিত অভিযোগ কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা পাবনা-২ (সুজানগর-আমিনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য ও প্রভাব বৃদ্ধির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
সুজানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ইনকিলাবকে বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য যে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন এ বিষয়ে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর আওয়ামী লীগ থেকে অভিযোগ দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি সব জায়গায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে একজন করে বিদ্রোহী দাঁড় করিয়েছেন। উনি নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজের প্রার্থীর প্রার্থী দিয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে যে উনার কোন সম্পর্ক নেই সেই বিষয়ে অভিযোগ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, সহজ কথায় তৃণমূল অর্থ্যাৎ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংসদ সদস্যের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুয়াপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার। ইউনুস কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ পাঠান।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দলের তৃণমূলে কোন্দল চলছে পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা ও গলাচিপা) আসনে। যেখানে দলের সংসদ সদস্য রয়েছেন এস এম শাহজাদার সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দ্বন্দ্ব চলছে। রাজশাহী-৩ (গোদাগাড়ি-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগ কমিটির সঙ্গে নোয়াখালী-৪ আসনের (সদর) সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে এসেছে। নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঙ্গে জেলার আরেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুসের দ্বন্দ্ব পুরনো। সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-ধর্মপাশা) আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্দু চৌধুরী বাবুল এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
দলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে চলতি বছরেই তৃণমূল নেতারা দেশের কয়েকটি এলাকায় সংঘাতে জড়ান। গত ২ মার্চ বরিশানের উজিরপুরে দলীয় সংসদ সদস্য (বরিশাল-২) মো. শাহ আলম তালুকদারের সামনেই সংঘাতে জড়িয়ে পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ওরফে ইকবালের বিরুদ্ধে একই কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস সরদারকে (৪৫) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠে। যদিও ওই ঘটনাকে তখন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেছিলেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যেও গত ১৭ মার্চ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তারও আগে একই মাসে গত ৯ মার্চ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ এবং পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন। উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিকে ঘিরে এ সংঘর্ষ হয় বলে দলীয় কয়েকটি সূত্র জানায়। এছাড়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে মিরসরাইয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের অন্তত ১১ আহত হন।
গত ৬ আগস্ট গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায়ও আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা জানিয়েছেন, সংসদ সদস্যরা আওয়ামী লীগের অনেক উপজেলায় একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে দলীয় কর্মসূচিকেও তোয়াক্কা করেন না। দলীয় নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক বলয় তৈরি করেছেন দীর্ঘদিন। এখন আওয়ামী লীগের নেতাদেরও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা ইনকিলাবকে বলেছিলেন, আমার মনে হচ্ছে, এবার জেলার সংসদ সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন বাদ পড়তে যাচ্ছেন। বিষয়টি দলীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের পরিস্থিতি তিনি সবটাই জানেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, গাজায় নিহত বেড়ে প্রায় সাড়ে ৪৫ হাজার
সচিবালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ, নিরাপত্তা জোরদার
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে মিলল নিখোঁজ ২ পর্যটকের মরদেহ
পশ্চিম তীরে ইসরাইলের ড্রোন হামলা, নারীসহ ৮ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় নয়: আসিফ মাহমুদ
ভারতে শঙ্করাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করে হস্তক্ষেপ চাইলেন একদল বাংলাদেশি হিন্দু
অবশেষে সচিবালয়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
হাসিনাকে ভারত কি ফেরত পাঠাবে, আলজাজিরার প্রতিবেদন কি বলছে
সচিবালয়ে সেনাবাহিনী-বিজিবি মোতায়েন
কানু দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে, দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি
বাংলাদেশ থেকে নথি না আসাতেই জামিন পিকে হালদারের?
সময় টিভির সাংবাদিক বরখাস্ত: এএফপির প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন হাসনাত
আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয়তলা
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিলো স্থানীয়রা
গাজীপুরে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ গ্রেফতার
সচিবালয়ের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস
ফ্যাসিবাদের সময় উত্তরবঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে: নীলফামারীতে উপদেষ্টা আসিফ
সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত ফায়ার ফাইটার সোহানুর
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০ ইউনিট