বাংলাদেশে নির্বাচন : ঘুম নেই কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের
২৭ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
‘যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া-পড়শির ঘুম নাই’ প্রবাদটি কোলকাতা কেন্দ্রিক ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে যুথসই উদাহরণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। জাতিসংঘ, উন্নয়ন সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান চায় সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভারতও চায় বাংলাদেশের জনগণ ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ‘নতুন ভিসা নীতি’ ঘোষণা করেছে। তবে নির্বাচন কী প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো কেউ জানেনা। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক দফার আন্দোলন করছে। ২০০৬ সালের এমন দাবিতে আন্দোলনের মধ্যেই ২০০৭ সালে ১১ জানুয়ারি ওয়ানইলেভেন সংঘটিত হয়েছিল। ক্ষমতায় এসেছিল ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকার।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই ক্ষমতায় থেকে নতুন ফর্মে পাতানো নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। তাদের বক্তব্য সংবিধান থেকে একচুলও নড়বো না। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। দুই পক্ষের কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কী প্রক্রিয়ায় হবে তা এখনো অনিশ্চিত। এর মধ্যেই দেশি-বিদেশী বিশেষ করে কোলকাতার কিছু বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ঘুম হারাম হয়ে গেছে। যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হোক তারা আওয়ামী লীগের বিজয়ী দেখতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন। তারা অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন কবে ভোটের নামে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় বসবে তা দেখার জন্য। চাতক পাখি যেমন আকাশে মেঘ দেখলে মাটিতে শুইয়ে পা উপরে করে আকাশ আটকানোর চেস্টা করে; অনেকটা সে রকমই ওই বুদ্ধিজীবীরা লিখেই দিল্লির আশির্বাদের ছাতা আওয়ামী লীগের মাথায় ধরানোর চেস্টা করছেন। এদের সঙ্গে ভারতের মূল শ্রোতের বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্ক নেই। এমনকি ভারতের জনগণ থেকেও এরা বিচ্ছিন্ন। এরা ভারতে বসে বাংলাদেশের ক্ষমতার হালুয়া-রুটির ভাগ পায়; এবং ফরমায়েশি গল্প-কলাম-প্রতিবেদন লিখে টাকা পয়সা কামায়।
প্রবাদে রয়েছে আত্মীয় বদল করা যায়, কিন্তু প্রতিবেশি বদল করা যায় না। ভারত বৃহৎ প্রতিবেশি রাষ্ট্র। ভারতের বর্তমান বিজেপি সরকার মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম করলেও সে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের মঙ্গল চায়। তারা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেখেছে প্রতিবেশি দেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ভারতের সাধারণ জনগণ, মূল শ্রোতের বুদ্ধিজীবী এমনকি মোদী সরকারও চায় বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাক। অথচ কোলকাতার কিছু সাংবাদিক সত্যমিথ্যা মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বানোয়াট প্রতিবেদন লেখালেখির মিশনে নেমেছে। গণমাধ্যমে মনের মাধুরি মিশিয়ে কলাম-প্রতিবেদন লিখছেন। সুত্র জানায় নির্ভর ‘ফেইক নিউজ লিখে’ বিশেষ দল ও গোষ্ঠির নজরে আসার চেস্টা করছেন। কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে এসব করছেন বলে প্রচারণা রয়েছে। ওই সব কলামে মিথ্যার বেসাতি করতে গিয়ে পাঠকের কাছে লেখার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে মনগড়া তথ্যের সঙ্গে কিছু সত্য তথ্য জুড়ে দেয়া হচ্ছে। ওই সব রগরগা খবর ও কলাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক হচ্ছে। গরম হয়ে উঠছে নেটদুনিয়া। এ যেন ‘যার বিয়ে (বাংলাদেশের নির্বাচন) তার খবর নাই পাড়া-পড়শির ঘুম নাই’ প্রবাদের মতোই অবস্থা।
বাংলাদেশের নির্বাচন, রাজনৈতিক অবস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও ভারতের ভুমিকা নিয়ে কার্যত কোলকাতার কিছু ভাড়াটে সাংবাদিকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা নানা ভাবে ‘মায়ের কাছে মামা বাড়ির গল্প’ বলার মতোই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ভুমিকা নিয়ে গল্প, প্রতিবেদন ফেঁদে কলাম-প্রতিবেদন লিখছেন। ভারতের ‘আনন্দ বাজার’, দ্যা টেলিগ্রাফ, ‘দ্য ইস্টার্ন লিংক’, যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ফেডারেল’সহ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করছেন। রিপোর্ট ও কলামগুলো পড়লে বোঝা যায় বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তাদের ধারণা তেমন নেই। তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে চেনে এবং সেই দলের নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। সে সুত্র ধরে দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশে এসেছে সরকারের নানামুখি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের বাইরে আর কোনো বড় রাজনৈতিক দল আছে সে ধারণাই তাদের নেই। তারা জামায়াতকে চেনে ইসলামী ধারার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে। যদিও বাংলাদেশের জামায়াত আর ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির চরিত্র প্রায় অভিন্ন। বরং বিজেপি সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর জুলুম নির্যাতন করলেও বাংলাদেশের জামায়াত সেটা করেনি। কারণ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার অবস্থা দলটির নেই। অথচ তারা কিছু লিখলে বিএনপির নামের সঙ্গে জুড়ে দেন জামায়াতের নাম। জামায়াত এক সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছে। পরবর্তীতে বিএনপির সঙ্গে রাজপথে আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠন করেছিল। এখন বিএনপি ও জামায়াত দু’জনার দুটি পথ দু’দিকে গেছে বেঁকে অবস্থা। কিন্তু তবুও আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে তারা বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের নাম ব্যবহার করেন। লেখা পড়লে বোঝা যায় ফরমায়েশি লেখা। বিএনপির প্রতি গাত্রদাহ থেকেই তারা লেখালেখি করেন। কলকাতাভিত্তিক সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক (এক সময় বিবিসিতে ছিলেন), গৌতম দাস, অগ্নি রায়দের লেখা পড়লে বোঝা যায় এরা ‘ভাড়াটে সাংবাদিক’। এরা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ নেতাদের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার। যারা ইউরোপ-আমেরিকার মতো মুক্তবাজার অর্থনীতির দেশগুলোর গণমাধ্যমের খোঁজখবর রাখেন তারা জানেন, ওইসব দেশে টাকার বিনিময়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট ছাপানো যায়। তবে টাকার বিনিময়ে ছাপানো রিপোর্টের নিচে লেখা থাকে ছাপানো শব্দ। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশে অর্থের বিনিময়ে ‘ফরমায়েশি’ লেখা ছাপানো হলেও তা স্বীকার করা হয় না। ফলে মানুষ ধরে নেয় লেখাগুলো ওই সব পত্রিকার নিজস্ব। অবশ্য এখন অনেক গণমাধ্যমের চরিত্র বদল হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র তথা জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ভারতের সাধারণ মানুষ ও মূল শ্রোতের বুদ্ধিজীবীরা খুবই পজেটিভ। বরং বাংলাদেশের কিছু প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী সব সময় ভারতের স্বার্থে কথা বললেও দিল্লির ওই বুদ্ধিজীবীরা ভারত কেন তিস্তা চুক্তি করছেন না, দিল্লি কেন বাংলাদেশের স্বার্থ দেখছে না তা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বিজেপি সরকারের সংখ্যালঘু মুসলমানের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাক করেছেন বহুবার। বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়া নানা রকম মন্তব্য করছে আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরামর্শ দিচ্ছে। ২০১৪ (সুজাতা সিংয়ের কর্মকা-) ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে (রাতের ভোট) ভারত বিতর্কিত ভুমিকা রাখলেও এবারের আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারত কিছুদিন নীরব ছিল। তবে গত ১৯ আগস্ট নীরবতা ভেঙ্গে ভারত নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত দেখতে চায় ভারত। এ জন্য দেশটি নিজেদের মতো পরিকল্পনা করুক। বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সে দেশের মানুষের ইচ্ছা অনুসারেই হবে। ভারত গভীরভাবে তা পর্যবেক্ষণ করছে। ভারত চায় নির্বাচন পরিকল্পনামাফিক হোক।’ দিল্লির সাউথ ব্লকের এই পরিস্কার অবস্থানের পরও সুবির ভৌমিক, গৌতম দাস, অগ্নি রায়দের বাংলাদেশের রাজনীতি ইস্যু নিয়ে বানোয়াট তথ্য সম্বলিত লেখালেখি বন্ধ হয়নি, বরং বেড়েছে।
নির্বাচন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৪ মে বাংলাদেশের উপর ‘নতুন ভিসা নীতি’র কথা প্রকাশ করেছে। তার আগে ৩ মে এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে জানিয়ে দেয়া হয়। ২৬ মে বিবিসি বাংলা ‘মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি সামলানোর উপায় কী শেখ হাসিনা সরকারের’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত স্পষ্ট করে বলেন, ‘ভিসা ইস্যুতে ভারত সরকার আওয়ামী লীগের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দেন-দরবার করবে না’। শ্রীরাধা দত্তের ওই মন্তব্যের পর সুবির ভৌমিক গংরা প্রতিবেদন-প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখে মোদী সরকারকে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ্যে আনার মিশন নিয়ে মাঠে নামেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই মোদী সরকারকে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ নেয়ার উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। প্রথমে তারা প্রচার করেন নরেন্দ্র মোদী ২১ জুন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে জো বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলবেন। কিন্তু মোদী বাংলাদেশ নিয়ে ওয়াশিংটনে কোনো কথা বলেননি। বরং জো বাইডেনের বাংলাদেশে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
অথচ গত ১৯ আগস্ট ভারতের কোলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ওয়াশিংটনকে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে ‘বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভূমিকায় ভারত খুশি নয়। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার দুর্বল হলে তা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কারও পক্ষেই ভালো হবে না বলে মনে করে ভারত।’ একই দিন আনন্দবাজার পত্রিকার ওই প্রতিবেদন হুবহু প্রকাশ করে জার্মানভিত্তিক ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ)। তবে ডয়চে ভেলে ওই রিপোর্টের সঙ্গে ভারতের সাবেক একজন সেনা কর্মকর্তার মন্তব্য জুড়ে দেয়। আনন্দবাজারের সহযোগী ইংরেজি পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ এ এই প্রচার করা হয় ‘শেখ হাসিনা সরকার দুর্বল হলে তা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কারও পক্ষেই ভালো হবে না’। মূলত এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ইস্যুতে দিল্লির সাউথ ব্লকের অবস্থান পরিস্কার করেন। তারপরও দমেননি সুবির ভৌমিক গং। এ যেন হালুয়া-রুটি-রুচির দায়। কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক তিনি একের পর এক কলাম লিখে যাচ্ছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সুবির ভৌমিক যুক্তরাজ্যের ইংরেজি গণমাধ্যম ‘দ্য ফেডারেল’এ বাংলাদেশের নির্বাচন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক, বিএনপির রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে দীর্ঘ গালগল্প লিখেছেন। এই লেখায় বাংলাদেশ তথাত আওয়ামী লীগ সরকারকে চীনঘেষা হিসেবে চিত্রায়িত করে চীনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। বিশ্লেষণধর্মী লেখায় তিনি কিছু বস্তবচিত্র তুলে ধরলেও হালুয়া-রুটির চায় এড়াতে পারেননি। তিনি এমন ভাবে কিছু গালগল্প তুলে ধরেছেন যে সেগুলো যাতে মানুষ বিশ্বাস করে সে জন্যই কিছু সত্য চিত্র সংযোজন করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগকে খুশি করতেই বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে জুড়ে দিয়েছেন। এমন ভাবে লেখা হয়েছে যে নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসার অর্থই হলে জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো। ‘জামায়াতকে ক্ষমতায় বসতে দেবে না ভারত’ বক্তব্যটি ইনিয়ে বিনিয়ে তুলে ধরেছেন। কলকাতার এই ভাড়াটে বাবুরা বিএনপি ও জামায়াত যে পৃথক রাজনৈতিক দল সেটা জানার পরও পরিকল্পিত প্রতিবেদনে দুই দলকে একই কাতারে ফেলছেন।
জানা যায়, কলকাতার বাবু সুবীর ভৌমিকের ‘দ্য ইস্টার্ন লিংক’ একটি ভুঁইফোড় নিউজ পোর্টাল রয়েছে। সেখানেও তিনি ‘ফরমায়েশি’ স্টোরি লিখেই যাচ্ছেন। ভারতের সাংবাদিক মহলে আলোচনা রয়েছে সুবীর ভৌমিকের কলাম-প্রতিবেদনকে আজকাল আর কেউ সিরিয়াসলি নেন না! ভারতের অনেক গণমাধ্যম তার লেখা ছাপায়ও না। তারপরও তিনি লিখেই চলেছেন বাংলাদেশ নিয়ে এমন সব আজগুবি গল্প। বাংলাদেশের নির্বাচন অথচ সুবির ভৌমিক-অগ্নিরায় বাবুদের যেন ঘুম নেই। তবে এটা ঠিক সুবির ভৌমিক-অগ্নিরায়-গৌতম দাসরা সফল এই অর্থে যে তাদের গালগল্প কেউ বিশ্বাস করেনা; কিন্তু সে সব নিয়ে ইউটিউব-সমাাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক হচ্ছে, খিস্তি-খেউর হচ্ছে। ভাড়াটে লেখক-সাংবাদিক হিসেবে এটাই তাদের স্বার্থকতা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার
নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত
কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০
রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার
উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা
ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে
দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন
কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম
জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা
ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক
সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা
শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ
ইউক্রেনে আহত উত্তর কোরীয় এক সেনা আটক
টাকা খেয়ে আ.লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ভারতের মিডিয়া : সারজিস
বাংলাদেশের সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র : জাতীয় নাগরিক কমিটি
সিরিয়ার সাবেক বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন
ফেসবুকে কাকে ননসেন্স বললেন শবনম বুবলী