মালচিং পদ্ধতিতে ব্লাকবেবি তরমুজে কৃষকের সাফল্য
৩১ আগস্ট ২০২৩, ১০:১৮ পিএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বর্ষায় মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় চাষ করা কালো রংয়ের তরমুজে ভরে গেছে খেত। এতে তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। ভাল ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। চলতি বছর উপজেলায় ১২ জন কৃষক সাড়ে ৬ কানি জমিতে বর্ষায় তরমুজ চাষ করেছে। একই সঙ্গে বেশি লাভের আশা করছেন তারা। কৃষকের খেতের মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। ব্লাক বেবি জাতের এসব তরমুজ কিছু কিছু বাজার জাতের সময়ও হয়েছে। ফলনকে বিষমুক্ত রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে মালচিং পদ্ধতি ও ফেরোমন ফাঁদ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বরুমচড়া ও বারশত ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ১২ জন কৃষক সাড়ে ৬ কানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। কৃষকরা তরমুজ চাষে মালচিং পদ্ধতিতে ব্যবহার করেছে। এ পদ্ধতি মূলত চীন ও জাপানের বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতার কারণে হলুদ, সবুজ ও কালো রংয়ের তরমুজ হলেও এখানে ব্লাকবেবি জাতের তরমুজ চাষ করেছে কৃষকরা। কৃষকদের মধ্যে বরুমচড়া এলাকার আলমগীর, ফোরকান, মোরশেদ ও বারশত ইউনিয়নের ওয়াহেদ শাহসহ আরো অনেকেই বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করেছেন।
বরুমচড়া এলাকার কৃষক মো. ফোরকান বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে মালচিং পদ্ধতিতে ১২ শতক জমিতে ৩৬টি ট্রেতে বীজ বপন করি। এতে ১৮০টি তরমুজের চারা পরিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠে। এরপর নানা পরিচর্যায় গাছগুলোতে ফুল আসতে শুরু করে। আমার খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা তরমুজ ৬৫ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। তরমুজের ওজন ২-৩ কেজি হবে। স্থানীয় বাজারে বারোমাসি তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতি কেজি তরমুজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। এতে ধান ও সবজি চাষের প্রায় দ্বিগুণ লাভ হতে পারে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সরোয়ার আলম বলেন, স্থানীয় কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল হিসাবে বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। আনোয়ারার চাষিরা ফেরোমন ফাঁদ ও মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করায় ফলন হবে বিষমুক্ত। ধান ও সবজি ক্ষেতের চেয়ে কম খরচে তরমুজ চাষে কৃষকেরা বেশি লাভবান হয়। আশা করছি মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় তরমুজ চাষ এ এলাকায় আরো সম্প্রসারিত হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য পাওয়া গেছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে। কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। মালচিং পদ্ধতিতে প্রতি হেক্টরে ৩০ থেকে ৩৫ টন তরমুজ উৎপাদন হবে। তরমুজ চাষের এ প্রযুক্তি আগামীতে আরো সম্প্রসারিত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা