ভাঙন রোধে নেই স্থায়ী ব্যবস্থা
৩১ আগস্ট ২০২৩, ১০:২১ পিএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
তিস্তা ব্যারেজ খুলে দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই যমুনায় পানি বেড়ে তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ফসলী জমি আমন ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের। প্রমত্তা যমুনা তার হিংস্র থাবায় কেড়ে নিয়েছে অনেকের বাড়ির ঠিকানা। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ। অন্যদিকে, ভাঙন রোধে নেই কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত :
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দীর উপজেলার ইচামারা গ্রামে যমুনার ভাঙনে ৩০ মিনিটে ৫০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিস্তা ব্যারেজ খুলে দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই যমুনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সারিয়াকান্দী উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ইচামারা, টিটুরমোড়, ফকিরপাড়া, খোকার মোড় বর্ষার প্রথম থেকেই হুমকির মুখে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে আসছিল। কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন আরও তীব্র হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার বেলা দুই টায় ইছামারা পয়েন্টে সৃষ্টি হয়ে ভাঙন শুরু হলে নিমিষেই বিধবা স্বপ্না বেওয়া, রবিন মিয়া, হাওয়া বেগম, আব্দুল বাছেদের বাড়িসহ ৫০টি বশতবাড়ী, গাছপালা, গৃহস্থালী জিনিস পত্র যমুনায় ভেসে চলে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদাররা ভাঙন রোধে কাজ শুরু করলেও কাজের গতি ছিল না। ধীর গতিতে কাজ করেছে তারা। প্রথম থেকে দ্রুত কাজ করলে এমনটি হতো না। রেজাউল আরও জানায়, মাত্র ৩০ মিটিটে ভাঙনের তান্ডব দেখে হতবাক হয়ে গেছি।
বগুড়া পাউবো’র সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির বলেন, বর্ষার শুরু থেকে কামালপুর ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৪ টি ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করা হয়। কয়দিন হলো উজান থেকে বয়ে আসা পানি যমুনায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। বৃহস্পতিবার যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। দুপুরে হঠাৎ করেই তীব্র স্রোত ও ঘূর্নাবর্তে ইছামারা গ্রামের ৫০টি বাড়ি বিলীন, জিনিস পত্র যমুনায় ভেসে যায়। সেখানে ঠিকাদাররা কাজ অব্যহত রেখেছে।
সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, সিরাজগঞ্জের কাছে প্রমত্ত যমুনা নদী ফুলে ফেঁপে উঠে আঘাত হানে জেলার নদী তীরবর্তী ৫টি উপজেলায়। তন্মধ্যে শাহজাদপুর, চৌহালী ও কাজীপুরের নদী ভাঙন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে এই উপজেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাজারও ঘর-বাড়ি, বসতভিটে, যমুনা নদী গ্রাস করেছে। রাক্ষুসে যমুনার তর্জন-গর্জনে নদী তীরবর্তী মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। কখন নদী ভাঙে, আর কখন পাততারি গোটাতে হয় সে চিন্তায় এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এই এলাকার মানুষ। সত্যি বিচিত্র এই যমুনা নদী, আরও বিচিত্র এর গতি পরিবর্তন। কখন কোন দিকে ভাঙে আর কখন কোন দিকে গড়ে তা বলা দুঃসাধ্য।
প্রমত্তা যমুনা তার হিংস্র থাবায় বাড়ির ঠিকানা কেড়ে নেয়ায় তাদের এমনতর দুরাবস্থার শিকার। তাই তাদের প্রচন্ড ক্ষোভ ও অভিযোগ- আমাদের দুঃখ, দুর্দশা, জ্বালা, যন্ত্রণা ও সমস্যা দেখার যেন কেউ নেই। বলা বাহুল্য, সিরাজগঞ্জ জেলার নদী তীরবর্তী ৫টি উপজেলা সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী ভাঙতে ভাঙতে এখন শুধু মানচিত্র থেকেই নয় সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে সড়ে গিয়ে টাংগাইল জেলার শেষ সীমান্তে মিলিত হয়েছে। অপর দিকে উত্তর প্রান্তের কাজীপুর উপজেলাও তীব্র ভাঙনের কারণে মিলিত হয়েছে জামালপুর জেলার সাথে। এভাবেই চলছে সিরাজগঞ্জ জেলার নদী তীরবর্তী ৫ টি উপজেলার নদীপারের ভাঙনের তান্ডব।
যমুনা বিধৌত ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ জেলাটি নদী বেষ্ঠিত। এ জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলা নদী তীরে অবস্থিত। সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর। এর মধ্যে তীব্র্র ভাঙনের কবলে কাজীপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে ভাঙছে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমেও যমুনা নদী যৌবনপ্রাপ্ত হয়ে আঘাত হানছে নদীপাড়ে। সেটা এখন পাহাড় সমান ভাঙনের দৃশ্যপট। এর একটি অংশ যমুনা নদীর পশ্চিম তীর সংলগ্ন বেলকুচির পার্শবর্তী এনায়েতপুর। এনায়েতপুর থেকে উপজেলা সদরে যেতে পারি দিতে হয় উত্তাল নদী পথ। দুর্গম চরাঞ্চলের দুর্গম রাস্তার দৃশ্য এখনও বর্তমান।
এদিকে চৌহালীর খাস পুকুরিয়া হতে চর ছলিমাবাদ পর্যন্ত নদীতীর সংরক্ষণ বাধের কাজ গত ২ জুন উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। বাগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম মোল্লা বলেন, ভুতের মোড় এলাকার রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ডাম্পিং চলমান রাখা দরকার। বসতি ও শিক্ষা অঙ্গন বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অপর দিকে কাজীপুরের নাটুয়ারপাড়া হাড্ডিয়ার ঘাটে প্রবল ভাঙন দেখা দিয়েছে। কাজীপুর উপজেলা ভাঙতে ভাঙতে এখন জামালপুর জেলার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। যমুনা ভাঙনে এযাবত কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে শক্ত কাঠামো গ্রোয়েন এবং নদী তীর রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করলে কোনটায় কাজে আসছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, এ যাবত যমুনা নদী ভাঙনে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে সেগুলো যদি কয়েনে রুপান্তরিত করে বস্তায় ভরে যমুনা নদী তে ফেলা হতো তবে নাকি যমুনা নদীই ভরে যেত। বার বার শক্ত কাঠামোর আর কোন দরকার হতো না।
বর্ষা এলেই যমুনা নদী ভাঙনে বাণিজ্য শুরু হয়। যে বরাদ্দ আসার শুষ্ক মৌসুমে সেই বরাদ্দ আসতে আসতে আসে বর্ষা মৌসুমে। ফলে পানির ভেতর কয়টা ব্লক ফেলা হয় আর কয়টা জিও ব্যাগ/বস্তাা ফেলা হয় তার হিসাব নিকাশে নাকি থাকে অনেক ফারাগ বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
প্রমত্তা যমুনা নদী ভাঙার পাউবোর কাজের ঠিকাদারদের নাকি রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এদের ক্ষমতা অনেক সময় প্রথিত। সিরাজগঞ্জ জেলার সিন্ডিকেট ঠিকাদার ছাড়া অন্য কোনো জেলা বা বিভাগের পাউবো ঠিকাদার কাজ পেলেও সিন্ডিকেটকে সালামি ঠুকে কাজ করতে হয়। লাভের গুর পিঁপড়ায় খাবে বলে ঐ ঠিকাদার তাদের কাজ সিন্ডিকেট এর কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। ঘটনার এখানেই শেষ নয় ঐ সিন্ডিকেট প্রতিবছর নাকি কোটি টাকার বিগ বাজেটের পিকনিক করে থাকে। তাদের এই টাকার উৎস কোথায়? জানতে প্রশ্ন করে নদী ভাঙন কবলিত এলাকার ভুক্তভোগী মহল। এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?
সিরাজগঞ্জের অপেক্ষাকৃত তরুণ ঠিকাদাররা এখন অল্প সময় কোটিপতি। রাজধানীতে তাদের অনেক গাড়ি বাড়ি হয়েছে বটে কিন্তু যমুনা নদীর ভাঙনের অবস্থা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি তাদের এতো টাকার উৎস কোথায় সুষ্ঠ তদন্ত করলে থলের বেড়াল বেরিয়ে আসবে।
নদী ভাঙনে সর্বস্বহারা প্রকৃত মানুষ যেমন অনুদান পান না, তেমনি নদী ভাঙনে অধিগ্রহণকৃত জমির টাকার ষোল আনা অংশ অনেকে না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সিরাজগঞ্জের স্বার্থসংগ্রাম কমিটি বেশ কয়েকবার মানববন্ধন করার সত্বেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই কমিটির সভাপতি ডা. রাজা জানান, অনেক ভূমিহীন ও অধিগ্রহণকৃত জমির মালিক ষোল আনা টাকা এখনও বুঝে পাননি। আর কবে পাবে তাও বলা যাচ্ছে না।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামে সবগুলো নদ নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করছে। জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ফসলী জমি আমন ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে দুঃশ্চিন্তা দিন কাটছে কৃষকদের। এছাড়া রাস্তা ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে ভোগান্তিতে মানুষজন। কুড়িগ্রাম পাউবো’র তথ্য মতে, জেলার ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে বিপদসীমা ৭ সে. মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদীর পানি ২১ সে.মি ও ধরলা নদীর পানি এখনো পানি বিপদসীমার ৩০ সে.মি নিচে রয়েছে। এছাড়া অনান্য নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্ট পানি বিপদসীমার ২ সে. মি নিচে রয়েছে। সদর উপজেলার চর যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান বলেন, ৫ দিন থেকে বন্যার পানিত খুব কষ্টে চলাচল করছি। নৌকা ছাড়া বের হতে পারছি না। যে হারে পানি বাড়তেছে জানি না কি হবে। ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের খেয়ার আলগা চরের বাসিন্দা আলো খাতুন বলেন, স্বামী বাড়িতে নাই, শহরে কাজে গেছে। বাচ্চা ৩টা ছোট। পানির মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে আছি।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, আমার এলাকার কয়েকটা চরে ব্রহ্মপুত্রের পানিতে প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দী। সরকারের থেকে ৪ টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে। সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি। বিশেষ করে শৌচাগারের সমস্যাটা বেশি দেখা দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি কিছুটা কমে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বেড়ে কিছু নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে । কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ইনকিলাবকে জানান, বন্যার জন্য বরাদ্দকৃত ৩৬২ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ নগদ টাকা ও ৩ হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার উপজেলা ভিত্তিক চাহিদামতো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেসব বিতরণের কাজ চলমান এবং শিশু খাদ্য বাবদ ২ লাখ ও গোখাদ্য ক্রয় বাবদ ৫ লাখ টাকা মজুদ আছে।
রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরে মেঘনার ভাঙনে মসজিদ, বিদ্যালয় ভবন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ঘর-বাড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভয়াবহ নদী ভাঙনে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, আসলপাড়া, বালুরচর, চরআলগী, বড়খেরী ও চরগাজী এবং কমলনগর উপজেলার পাটারীরহাট, ইসলামগঞ্জ, লুধুয়া ফলকন ও মধ্য চরফলকন এলাকায় বাস্তবায়নাধীন নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বালুভর্তি জিও ব্যাগের বাঁধ ধসে পড়ছে। গত এক সপ্তাহে ওসব এলাকার জিও ব্যাগের বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, বালু ও শ্রমিক সঙ্কট দেখিয়ে পাউবোর ঠিকাদাররা যথাসময়ে বেড়ি বাঁধের কাজ শুরু করতে পারেনি। এ কারণে ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, মেঘনার অব্যাহত ভাঙন থেকে কমলনগর ও রামগতি উপজেলাকে রক্ষায় ২০২১ সালের ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পাউবো একই বছরের আগস্টে ৯৯টি প্যাকেজ করে টেন্ডার আহ্বান করে। এর আওতায় এ পর্যন্ত ৪৩টি ভাগে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকার জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে কমলনগর উপজেলায় ২৬ এবং রামগতি উপজেলায় ১৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাঁধ নির্মাণে কাজ করছে।
উপজেলার পাটারীরহাট ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ এলাকায় দেখা যায়, ইতোমধ্যে ভাঙনে পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে ইসলামগঞ্জ বাজারটি। নদীগর্ভে চলে গেছে ইসলামগঞ্জ জামে মসজিদ। এখন বিলীনের পথে দক্ষিণ-পশ্চিম চরফলকন ইসলামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনসহ তিনটি পাকা ভবন। একই ইউনিয়নের পাটারীরহাট এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য অনেক আগে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও ঠিকাদাররা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাজ শুরু না করে কালক্ষেপণ করে। পরে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করলেও তা যথাযথ ভাবে করা হয়নি। যে কারণে এখন পানির চাপে জিও ব্যাগ মেঘনাগর্ভে ধসে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে পাটারীরহাট বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে তিনটি স্পটের প্রায় দেড়শ মিটার অংশের জিও ব্যাগের বাঁধ নদীতে ভেঙে পড়েছে। পাউবো লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, নদী উত্তাল থাকায় নদীভাঙন রোধের কাজের যথাযথ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গেল অর্থবছরে কাজ কম হলেও চলতি অর্থবছরে কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। বাঁধ নির্মাণ কাজে গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা