কী হবে সেপ্টেম্বরে?
৩১ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৬ পিএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
রাজপথে গরম হাওয়া বইছে। আসন্ন নির্বাচন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা নেট দুনিয়ায় চলছে যুদ্ধ-প্রতিযুদ্ধ। এর মধ্যেই নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ ১৮৩ জন বিশ্বনেতা তার বিরুদ্ধে মামলা ও জুলুম বন্ধের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনসহ অনেক বিশ্ববরেণ্য নেতা বিশ্ববাসীকে ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ড. ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সত্য-মিথ্যা তথ্য মিলিয়ে গুজব-প্রপাগান্ডা চলছে। ড. ইউনূসের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে যখন প্রকাশ্যে বিতর্ক চলছে; তখন পর্দার আড়ালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে চলছে রাজপথ দখলের প্রস্তুতি। ‘রাজপথ দখলে যার, জনমত পক্ষে তার’ প্রবাদটি উপজীব্য করে রাজপথ দখলের পরিকল্পনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ চায় কর্মসূচি পালন, রাষ্ট্রযন্ত্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে; বিএনপি চায় এই সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এক দফার আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দুই দলই রাজপথ কাঁপানোর টার্গেট নিয়েই মাঠে নামার মহাপরিকল্পনা নিচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এ মাসে (সেপ্টেম্বর) নির্বাচনী প্রচারণায় নামার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ অনেক আগেই। আর সরকারের পদত্যাগ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন করার একদফা আন্দোলন নিয়ে বিএনপিও মাঠে নামবে এ মাসেই।
এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণায় নামবে। আর বিএনপি সরকার পতনের একদফা দাবি নিয়ে মাঠে নামবে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে। এটা আসলে আগুনের মধ্যে ঘি ঢালার মতো। এটা এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা। এতে দেশে চরম অস্থিরতা বাড়বে।
গত ২৮ আগস্ট ‘উন্নয়ন ও শান্তি’ সমাবেশে আন্দোলনরত বিএনপিকে সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনীতি করেন, দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না, সন্ত্রাস করবেন না। বিএনপির (আন্দোলনে) জনগণ আসে না, তাই বিএনপি সন্ত্রাসের পথে যাচ্ছেন। নির্বাচনের মাত্র চার মাস আছে। এখন দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা রাজপথ দখল করে বিশৃঙ্খলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি। জবাবে গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। জনগণের সঙ্গে যারা প্রতারণা করে তাদের ছেড়ে আমি চলে যেতে পারি না। আমরা যুগে যুগে শুধু মার খাব না। এ জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। কেউ আঘাত করলে পাল্টা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা কোনো প্রাণহানি চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ চাই। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত শেখ হাসিনার পতনের জন্য মাঠে থাকব। শেখ হাসিনার পতনের আগে গয়েশ্বর রায় চিতায় উঠবে না। তার পতন করেই চিতায় উঠব।
এদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থানে। কোনো অবস্থাতেই উন্নয়ন সহযোগী দেশটি বাংলাদেশে আর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো পাতানো নির্বাচন হতে দেবে না। এ জন্যই গত মে মাসেই ‘ভিসা নীতি’ ঘোষণা করেছে। আবার ভারতও জানিয়ে দিয়েছে তারা বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়ে সরকার গঠন করতে পারে এমন নির্বাচন দেখতে চায়। এ অবস্থায় গত বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। ইংরেজিতে প্রকাশিত ওই বক্তব্যটির বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয় না। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে আমরা সমর্থন করি।
মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ছবি সংবলিত লিখিত বক্তব্যটি প্রচারের কিছু সময়ের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। হাজার হাজার নেটিজেন এটি ‘ভিউ’ করেছেন। শুধু তাই নয়, হঠাৎ পিটার হাস দূতাবাসের মানবাধিকার কর্মকর্তাদের নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে গিয়ে সেখানকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন। এর কয়েক দিন আগে তিনি আরেকটি তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে যান। পিটার হাসের এই দৌড়ঝাঁপে পরিষ্কার নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সেপ্টেম্বরে তাদের তৎপরতা আরো বেড়ে যাবে। গতকাল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের অ্যাকশনে যাবে সেটাই হবে বাংলাদেশের আগামী দিনগুলোর রাজনীতির গতি-প্রকৃতির জন্য বড় ফ্যাক্টর।
আওয়ামী লীগের মাঠ দখলে রাখার ধারাবাহিকতায় ‘শান্তি সমাবেশ’-এর আদলে ছাত্রলীগ আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে। সমাবেশে ৫ লাখ লোক সমবেত করার কথা প্রচার করেছে। পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও চলতি মাসেই খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিপরীতে আজ বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি করবে দলটি। অতঃপর আগামী রোববার অথবা সোমবার রাজপথে নতুন কর্মসূচি দেবে দলটি।
মূলত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের পাতানো নির্বাচন কার্যত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। যার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত দু’টি আন্তর্জাতিক ‘গণতন্ত্র সম্মেলনে’ বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে যাদের বয়স এখন ৩২ থেকে ৩৪ বছর তারা এখনো ভোট দিতে পারেননি। ফলে আগামীতে যাতে ভোট দিতে পারেন সে প্রত্যাশা তরুণ-তরুণীদের। আবার জাতিসংঘসহ যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ইউরোপীয় ইউনিয়ন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জনগণের ভোট নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তারা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। কূটনৈতিক ভাষায় তারা বোঝাচ্ছেন বাংলাদেশের দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণ হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা এই সত্য না বোঝার ভান করে বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে কয়েকটি দলের অংশগ্রহণ এবং জনগণের ভোট দেয়া। গত ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ ভোট দিতে পারে সেটাই অংশগ্রহণমূলক। গত ১৪ বছরে জনগণ ভোট দিয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। বাস্তবতা হলো জনগণ গত ১৪ বছর ভোট দিতে পারেনি এবং ভোট দিতে না দেয়ায় মানুষ নির্বাচনবিমুখ হয়েছে। এমনও দেখা গেছে, উপনির্বাচনে ৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে যায়নি। আওয়ামী লীগ চায় সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজেদের অধীনে ফের একটা পাতানো নির্বাচন করতে। অবশ্য ২০১৪ ও ২০১৮ সালের পাতানো নির্বাচনে ভারতের সমর্থন পেলেও এবার পাচ্ছে না। অন্যদিকে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এবং নির্বাচন হতে দেবে না ঘোষণা দিয়েছে। ফলে রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখন মারমুখী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সরকারের পদত্যাগসহ একদফা দাবি নিয়ে কর্মসূচিতে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে মাঠ কাঁপাবে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাঠ দখলে নেয়ার আগাম ঘোষণা দিয়ে গত ১২ জুলাই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘কোনো দুষ্কৃতকারীকে আমরা রাজপথ ইজারা দেইনি। রাজপথ দখল করে সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করবে সেটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতে দেবে না। বিএনপির ব্যানারে দুষ্কৃতকারীরা আবার যাতে মানুষের কোনো ক্ষতি করতে না পারে সে জন্যই আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথ দখলে রাখব।’ আবার গত ২৬ জুলাই বিএনপিকে ঠেকাতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে ১৪ দল। আওয়ামী লীগ এতদিন ‘শান্তি সমাবেশ’ নামে মাঠে থাকলেও ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা হাত গুটিয়ে বসে ছিল। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় নেতারা জানান, সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রণ নেয়া হবে রাজপথের। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য দেন। গত কয়েক মাস থেকে রাজধানীতে একই সঙ্গে শোডাউন করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। পাল্টাপাল্টি চলছে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন ও শান্তি সমাবেশ। আওয়ামী লীগের সাথে সক্রিয় রয়েছে সহযোগী সংগঠনগুলো। বিএনপির সঙ্গে রয়েছে ১২ দলীয় জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা দলসহ প্রায় অর্ধশত দল। এ ছাড়াও সিপিবি ও ইসলামী আন্দোলন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মাঠে রয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে রাজপথ যে উত্তপ্ত থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে যারা আছেন
‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব
সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার
পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক
পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত
পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ
ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি
এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!
ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র
স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?
চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১
পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি
যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত
১৬ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল : সংস্কার কমিশন প্রধান
জিনিসের দাম একবার বাড়লে কমানো কঠিন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা