ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও কলেরার মতো রোগ তীব্রতর হবে
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
এলনিনো শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই ২০১৯ সালে ২ লাখ ৪০ হাজার বর্গকিলোমিটার ভাড়-জঙ্গলে দাবানলে ঘটিয়েছে, প্রায় ৫০০ লোককে হত্যা করেছে, হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে এবং ৫শ’ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার মূল্যের ফসল ও গবাদিপশু ধ্বংস করেছে। এটি বিশ্বজুড়ে মাছের খামার এবং পশুসম্পদ ব্যবসার জন্য খরচ বাড়াবে যেগুলো খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ইতিমধ্যেই বছরের বেশিরভাগ সময় ধরে বিশ্বব্যাপী মাছের দাম চড়া রয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী চালের বাজারকেও নাড়া দিয়েছে। এরমধ্যেই, ভারত তার ফসলের বেশিরভাগ রপ্তানিকে আগেভাগেই নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এগুলো এল নিনোর প্রভাবের সূচনা মাত্র।
মানবিক সংস্থাগুলো খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যগত পরিচ্ছন্নতা হুমকি এবং আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বড় অংশে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও কলেরা সহ রোগের প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে সতর্ক করেছে। কয়েক দশক ধরে গবেষকরা শুধু ভূপৃষ্ঠেই নয়, ২হাজার মিটার পর্যন্ত গভীর সমুদ্রের তাপমাত্রাও নিচ্ছেন। ১৯৯০ এর দশক থেকে এই গভীর পানিতে একটি ক্রমবর্ধমান তাপায়ন চলছে। কিছু জলবায়ু গবেষক সন্দেহ করছেন যে, বিশ্বের সমুদ্র পৃষ্ঠের চারপাশে পর্যবেক্ষণ করা তাপমাত্রা এপ্রিলের বার্ড ফ্লুর সাথে যুক্ত।
এল নিনোর কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অত্যধিক গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়া দীর্ঘতর হবে। ইন্দোনেশিয়ার সম্ভাব্য ব্যাপক দাবানল এশিয়া জুড়ে বাতাসের গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এতই বিশাল যে, এর পৃষ্ঠের উষ্ণতা এক বা দুই ডিগ্রী বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য যথেষ্ট। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে যত বেশি পানি বাষ্পীভূত হবে, উপরের বায়ুম-লকে আরও উত্তপ্ত করে দেবে এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় বজ্রঝড় ডেকে আনবে। এই অতিরিক্ত শক্তি নিরক্ষরেখার উভয় পাশে উত্তর ও দক্ষিণে শীতল অঞ্চলেও প্রবহিত হবে। কোন সন্দেহ নেই যে, নেই বৈশি^ক উত্তাপ আরও বিস্তৃতভাবে এল নিনোকে আরও বিধ্বংসী করে তুলবে।
ব্রিটেনের আবহাওয়া সংস্থার অ্যাডাম স্কাইফ বলেছেন, ‹জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে এল নিনোর প্রভাবগুলো এক থাকে না, তারা আরও বড় হতে থাকে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর অর্থ হল বাতাসের সাথে পানির বেশি সংঘর্ষ হচ্ছে, বৃষ্টিপাতের ওঠানামা বাড়ছে। এবং সেকারণে, আমাদের অতীতের মতো একই রকমের শক্তিশালী একটি প্রদত্ত এল নিনো আরও বেশি পানির বর্ষণ, বা একটি বড় খরার কারণ হতে পারে। যেখানে ‘ট্রিপল ডিপ লা নিনা’ কিছু তাপ প্রশমিত করেছিল, যা তাপমাত্রাকে স্বাভাবিকেরর চেয়ে শীতল করে তুলেছিল, একটি এল নিনো সেই তাপকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।
শক্তিশালী এল নিনোর আরেকটি সম্ভাব্য ফলাফল হল রোগের বৃদ্ধি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাইরাসগুলো মশার মতো বাহকগুলোর মধ্যে আরও দ্রুত প্রতিলিপি তৈরি করে। এবং গরমে মশাও বেশি কামড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, দুই দশক ধরে এল নিনোর সাথে যুক্ত উত্তপ্ত আবহাওয়া কলম্বিয়া এবং ভেনিজুয়েলায় ম্যালেরিয়ার ঘটনা এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৯৯৭-৯৮ সালে শক্তিশালী এল নিনো ইথিওপিয়া, কেনিয়া এবং উগান্ডায় বড় ম্যালেরিয়া মহামারীর জন্য দায়ী ছিল। এই বছর ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যা ডেঙ্গুর সবচেয়ে প্রাদুর্ভাবকে প্রাণঘাতি করে তুলেছে এবং হাসপাতালগুলো আক্রান্তদের ভিড়ে ছয়লাব হয়ে গেছে। (চলবে)
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী
প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন