আনসার ব্যাটালিয়ন আইন মন্ত্রিসভায় উঠছে আজ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
বিদ্রোহের চেষ্টা, অংশগ্রহণ বা অনুরূপ ষড়যন্ত্রে উসকানি দেওয়ার মতো গুরুতর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান র্বড়ার র্গাড় আইনের সামঞ্জস্য রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উঠছে আজ। এর আগে গত বছর আনসার ব্যাটালিয়ন আইনটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো কার্যপত্রে বলা হয়, ব্যাটালিয়ন আনসার আইন, ১৯৯৫ ধারা ৬ (ক) মোতাবেক বর্তমানে ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যদের চাকরি স্থায়ীকরণের সময়সীমা ৬ বছর। তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের সময়সীমা শূণ্য বছরে নিয়ে আসা অর্থাৎ চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে স্থায়ীকরণের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২০১৮ সালে জুলাই মাসে প্রস্তাব পাঠানো হয়। তখন বলা হয়ে বিদ্যমান আইনটির একটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব যথাযথ নয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ ভিবাগের নিদেশনার আলোকে বর্ড়ার র্গাড় বাংলাদেশে আইন,২০১০ এ বিদ্রোহ সংক্রান্ত অপরাধ,শাস্তির যে সকল বিধান রয়েছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাটালিয়ন আনসার আইন, ১৯৯৫ এর পরর্বিতে বর্তমান আনসার ব্যাটালয়িন আইন-২০১৯ প্রণয়ণের র্কাযক্রম চলামান রয়েছে। এর পরে ২০২২ সালে
১৯৯৫ সালের একটি আইন ছিল, চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন করতে গিয়ে দেখা গেলো অনেক বেশি পরিবর্তন করতে হয়, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিলো এটা পরিবর্তন করার দরকার নেই, নতুন করে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন প্রণয়ন করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এটা ওনারা নিয়ে এসেছেন। আইনে ৩৩টি ধারা আছে। বর্তমানে কোনো আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত নেই। ডিসিপ্লিনারি (অসদারচরণ) বিষয়ের জন্য আমাদের যেমন রুল আছে, তাদেরও থাকবে। ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং হবে। বাহিনীর অস্ত্র, গোলাবারুদ, পোশাক, যন্ত্রাংশ ও যানবাহনের অংশ ইত্যাদি পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করা ও এ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সংক্ষিপ্ত ব্যাটালিয়ন আদালতে সর্বোচ্চ তিন বছরের সশ্রম কারাদ- ও আর্থিক ক্ষতির ক্ষেত্রে সমপরিমাণ অর্থ অর্থদ- দেওয়া যাবে। অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের সশ্রম কারাদ- দেওয়া যাবে। এটা হলো সাধারণ অপরাধের ক্ষেত্রে- চুরিটুরি বা কিছু নষ্ট করলো সেক্ষেত্রে।
আর যদি অপরাধ শৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে, বিদ্রোহের চেষ্টা করে বা প্ররোচনা দেন বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন। এ জাতীয় হলে সেক্ষেত্রে মৃত্যুদ- বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- বা কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদ- হবে। এই বিচার হবে বিশেষ আনসার আদালতে। খসড়া আইন অনুযায়ী ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো আনসার সদস্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা কোনো সংবাদপত্র বা কোথাও কোনো তথ্য প্রকাশ করা বা এরসঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। সরকারি কর্মচারীদের মতো তাদেরও শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী লঘু ও গুরুদ- থাকবে। বিভাগীয় মামলায় আরোপিত গুরুদ-ের প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের কাছে ও লঘুদ-ের বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের কাছে আপিল করা যাবে। এই আইনে একটা বিশেষ জিনিস রয়েছে। সেটা হলো ব্যাটালিয়নে কোনো সদস্যের অপরাধ সংগঠনের জন্য বিচারের ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। দুটি আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত থাকবে। একটা সংক্ষিপ্ত ব্যাটালিয়ন আদালত, আরেকটা বিশেষ আনসার আদালত।
গত বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যদি কেউ বিদ্রোহের চেষ্টা করে, উসকানি দেয় বা ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়, তাহলে তাকে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হবে। তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো সদস্য অপরাধ করলে দুই ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য দুটি পৃথক আদালত থাকবে সামারি আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত এবং বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত। সামারি আদালত সাধারণ অপরাধ এবং অসদাচরণের বিচার করবে, আর বিশেষ আদালত গুরুতর অপরাধের বিচার করবে। প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনাল’ থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাধারণ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে তিন বছরের জেল। খসড়া আইনে আনসার ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। জননিরাপত্তা বিভাগ ১৯৯৫ সালের বিদ্যমান আইন সংশোধন না করে, একটি নতুন আইন তৈরি করেছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইউএনও কাবেরী, উপজেলা প্রকৌশলীর দুর্নীতির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক
বাংলাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় পুলিশের উদাসীনতায় রাতের আঁধারে জমি দখল করে ছাদ ঢালাই
গুচ্ছ নয়, সঠিক সময়েই হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা - জবি শিক্ষক সমিতি
২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সোমবার বিপিএলের মিউজিক ফেস্ট, গাইবেন রাহাত ফাতেহ আলী খান
নকলায় শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংঘের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
রাবিতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকার হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ, সাময়িক অব্যাহতি
রাজশাহীতে তেলের ট্রাকে বিস্ফোরণ: ৪শ’ ব্যারেল তেল ও ৮ দোকান ভস্মীভূত
স্ত্রী পর্দা করতে না চাইলে করণীয় প্রসঙ্গে।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন
১০০ টাকা ঘুষ খেলেও চাকরি থাকবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
সংস্কার কমিশনের কাছে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান
মানিকগঞ্জে প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন ইয়াছমিন খাতুন
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতৃবিয়োগ বিভিন্ন মহলের শোক জ্ঞাপন
মির্জাপুরে নিখোঁজের পাঁচ মাস পরও খোঁজ মিলেনি
মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ