ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১

আনসার ব্যাটালিয়ন আইন মন্ত্রিসভায় উঠছে আজ

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম

বিদ্রোহের চেষ্টা, অংশগ্রহণ বা অনুরূপ ষড়যন্ত্রে উসকানি দেওয়ার মতো গুরুতর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান র্বড়ার র্গাড় আইনের সামঞ্জস্য রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উঠছে আজ। এর আগে গত বছর আনসার ব্যাটালিয়ন আইনটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।

আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো কার্যপত্রে বলা হয়, ব্যাটালিয়ন আনসার আইন, ১৯৯৫ ধারা ৬ (ক) মোতাবেক বর্তমানে ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যদের চাকরি স্থায়ীকরণের সময়সীমা ৬ বছর। তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের সময়সীমা শূণ্য বছরে নিয়ে আসা অর্থাৎ চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে স্থায়ীকরণের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ২০১৮ সালে জুলাই মাসে প্রস্তাব পাঠানো হয়। তখন বলা হয়ে বিদ্যমান আইনটির একটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব যথাযথ নয়।

পরে মন্ত্রিপরিষদ ভিবাগের নিদেশনার আলোকে বর্ড়ার র্গাড় বাংলাদেশে আইন,২০১০ এ বিদ্রোহ সংক্রান্ত অপরাধ,শাস্তির যে সকল বিধান রয়েছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাটালিয়ন আনসার আইন, ১৯৯৫ এর পরর্বিতে বর্তমান আনসার ব্যাটালয়িন আইন-২০১৯ প্রণয়ণের র্কাযক্রম চলামান রয়েছে। এর পরে ২০২২ সালে
১৯৯৫ সালের একটি আইন ছিল, চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন করতে গিয়ে দেখা গেলো অনেক বেশি পরিবর্তন করতে হয়, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিলো এটা পরিবর্তন করার দরকার নেই, নতুন করে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন প্রণয়ন করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এটা ওনারা নিয়ে এসেছেন। আইনে ৩৩টি ধারা আছে। বর্তমানে কোনো আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত নেই। ডিসিপ্লিনারি (অসদারচরণ) বিষয়ের জন্য আমাদের যেমন রুল আছে, তাদেরও থাকবে। ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং হবে। বাহিনীর অস্ত্র, গোলাবারুদ, পোশাক, যন্ত্রাংশ ও যানবাহনের অংশ ইত্যাদি পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করা ও এ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সংক্ষিপ্ত ব্যাটালিয়ন আদালতে সর্বোচ্চ তিন বছরের সশ্রম কারাদ- ও আর্থিক ক্ষতির ক্ষেত্রে সমপরিমাণ অর্থ অর্থদ- দেওয়া যাবে। অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের সশ্রম কারাদ- দেওয়া যাবে। এটা হলো সাধারণ অপরাধের ক্ষেত্রে- চুরিটুরি বা কিছু নষ্ট করলো সেক্ষেত্রে।

আর যদি অপরাধ শৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে, বিদ্রোহের চেষ্টা করে বা প্ররোচনা দেন বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন। এ জাতীয় হলে সেক্ষেত্রে মৃত্যুদ- বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- বা কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদ- হবে। এই বিচার হবে বিশেষ আনসার আদালতে। খসড়া আইন অনুযায়ী ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো আনসার সদস্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা কোনো সংবাদপত্র বা কোথাও কোনো তথ্য প্রকাশ করা বা এরসঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। সরকারি কর্মচারীদের মতো তাদেরও শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী লঘু ও গুরুদ- থাকবে। বিভাগীয় মামলায় আরোপিত গুরুদ-ের প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের কাছে ও লঘুদ-ের বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের কাছে আপিল করা যাবে। এই আইনে একটা বিশেষ জিনিস রয়েছে। সেটা হলো ব্যাটালিয়নে কোনো সদস্যের অপরাধ সংগঠনের জন্য বিচারের ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। দুটি আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত থাকবে। একটা সংক্ষিপ্ত ব্যাটালিয়ন আদালত, আরেকটা বিশেষ আনসার আদালত।

গত বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যদি কেউ বিদ্রোহের চেষ্টা করে, উসকানি দেয় বা ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়, তাহলে তাকে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হবে। তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো সদস্য অপরাধ করলে দুই ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য দুটি পৃথক আদালত থাকবে সামারি আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত এবং বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত। সামারি আদালত সাধারণ অপরাধ এবং অসদাচরণের বিচার করবে, আর বিশেষ আদালত গুরুতর অপরাধের বিচার করবে। প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনাল’ থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাধারণ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে তিন বছরের জেল। খসড়া আইনে আনসার ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। জননিরাপত্তা বিভাগ ১৯৯৫ সালের বিদ্যমান আইন সংশোধন না করে, একটি নতুন আইন তৈরি করেছে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা