সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উত্থাপন
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত, ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্ত, প্রতিরোধ, দমন ও উক্ত অপরাধের বিচার এবং আনুতোষিক বিষয়ে নতুন বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ‘সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কার্যক্রম স্থগিত করে আনীত এই বিলে ৪টি অজামিনযোগ্য ধারা রাখা হয়েছে। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের কারাদ- বা এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রাখঅ হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় বিলটির বিরোধীতা করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, এটি একটি কালো আইন হচ্ছে। এই আইনের বিষয়ে আইন মন্ত্রী অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রাখেননি। বিলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটির শুধু নামের পরিবর্তন ও কিছু ধারার পরিবর্তন পরিমার্জন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মৌলিক যে দূর্বলতা ছিল সেগুলো এখানে রয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার, যার মধ্যে বাক স্বাধীনতা, বিবেকের চিন্তার স্বাধীনতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরনের মত অনেক উপাদন সাইবার নিরাপত্তা আইনে রয়েছে। বিলের খসড়াকে নিবর্তনমূলক বলে মন্তব্য করেছে টিআইবি। টিআইবি মনে করে এটিও মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা হরণ করবে। এটিও কালো আইনে পরিণত হবে, এটিও মানুষের মৌলিক অধীকার হরণ করবে।
জবাবে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে যে সুবিধা হয়েছে একই সাথে সাইবার স্পেসে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ২০১২ সালে রামুতে বিএনপি জামাত শিবিরের সদস্যরা একটা মিথ্যা তথ্য ফেসবুকে-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে কিভাবে অনেক সম্পদ ও প্রাণের ক্ষতি করে। ২০১৬ সালে কেন্দ্রিয় ব্যাংকে সাইবার হামালা চালায়। সাইবার হামলা চালিয়ে হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে নিয়ে যায়। এর পরে আমরা কম্পিউটার রেসপন্স টিম তৈরি করি। পদ্মা সেতুনির্মানের শেষ দিকে সামাজিক মাধ্যমে একটা গুজব ছড়ানো হলো সেতুর পিলার শক্ত করতে নাকি শিশুদের মাথা দরকার। তারই ফলশ্রুতিতে মীরপুরে রেনু নামে একজন মহিলাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ধরণের অপরাধ বন্ধে বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টে যেগুলো অজামিনযোগ্য ধারা ছিল তা জামিন যোগ্য করা হয়েছে। পরে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বিলটি সংসদে উত্থাপণ করেন এবং অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সংসদে উত্থাপিত জামিন অযোগ্য ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি প্রাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে (ক) বে-আইনি প্রবেশ করেন; বা (খ) বে-আইনি প্রবেশের মাধ্যমে উহার ক্ষতিসাধন বা বিনষ্ট বা অকার্যকর করেন অথবা করিবার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (ক) ধারায় কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ বৎসর কারাদ-ে বা অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা অর্থদ-ে বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন; এবং (খ) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৬ বৎসর কারাদ-ে বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদ-ে বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন।
জামিন অযোগ্য ১৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো (ক) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হইতে কোনে উপাত্ত, উপাত্ত ভাঙার তথ্য বা উহার উদ্ধৃতাংশ সংগ্রহ করেন, বা স্থানান্তরযোগ্য জমাকৃত তথ্য-উপাত্তসহ উক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করেন বা কোনো উপাত্তের অনুলিপি বা অংশ বিশেষ সংগ্রহ করেন; (খ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো ধরনের সংক্রামক, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করান বা প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেন; (গ) ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, উপাত্ত বা কম্পিউটারের উপাত্ত-ভা-ারের ক্ষতিসাধন করেন, বা ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন বা উক্ত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে রক্ষিত অন্য কোনো প্রোগ্রামের ক্ষতি সাধন করেন বা করিবার চেষ্টা করেন; (ঘ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কোনো বৈধ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোনো উপায়ে প্রবেশ করিতে বাধা সৃষ্টি করেন বা বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেন; (ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত, কোনো পণ্য বা সেবা বিপণনের উদ্দেশ্যে, স্পাম উৎপাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা অযাচিত ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন; বা (চ) কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ বা কারসাজি করিয়া কোনো ব্যক্তির সেবা গ্রহণ বা ধার্যকৃত চার্জ অন্যের হিসাবে জমা করেন বা করিবার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।’ এই ধারায় সংঘটিত অপরাধের শাস্তি অনধিক ৭ বছরের কারাদ-ে বা অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-। বিলের ২১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যাি াল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচার বা উহাতে মদদ প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। এই ধারায় কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ বৎসর কারাদ-ে বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ্রুত হইবেন।’
জামিন অযোগ্য ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি (ক) রাষ্ট্রীয় অখ-তা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা এবং জনগণ বা উহার কোনো অংশের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করিবার অভিপ্রায়ে কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা বে-আইনি প্রবেশ করেন বা করা: (খ) কোনো ডিজিটাল ডিভাইসে এইরূপ দূষণ সৃষ্টি করেন বা ম্যালওয়ার প্রবেশ করান যাহার ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে বা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়; বা (গ) জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও সেবা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসসাধন করেন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেন; বা (য) ইচ্ছাকৃতভাবে বাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইন্টারনে নেটওয়ার্ক, সংরক্ষিত কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ বা অনুপ্রবেশ করেন বা এইরূপ কোনো সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ করেন যাহা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্রের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা জনশৃংখলা পরিপন্থি কোনো কাজে ব্যবহৃত হইতে পারে অথবা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্র বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার করা হইতে পারে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে সাইবার সন্ত্রাস অপরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি এই ধারার অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ বৎসর কারাদ- বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দন্ডিত হইবেন। জামিন অযোগ্য ৩৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহা হইলে উহা হবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১৪ বৎসর কারাদ- বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন।’ এই ধারায় ‘হ্যাকিং’-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘(ক) কম্পিউটার তথ্য ভা-ারের কোনো তথ্য বিনাশ, বাতিল, পরিবর্তন বা উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাসকরণ বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিসাধন; বা (খ) নিজ মালিকানা বা দখলবিহীন কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশের মাধ্যমে উহার ক্ষতিসাধন। প্রস্তাবিত আইনের ২৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ও রোবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বা আতসারে, এইরূপ কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য- উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন। বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করিবার, যা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা তদুদ্দেশ্যে, অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া আত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদ-ে বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদ-ে, বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন। ধারা ২৬ এ বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে অপর কোনো ব্যক্তির পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, বিক্রয়, দখল, সরবরাহ বা ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। এই ধারায় কেউ কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, আহা হইলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদ-ে বা অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে, বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন।’
বিলের ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসায়ে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এইরূপ কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যা অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। এই ধারায় কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক দুই বৎসর কারাদ-ে বা অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদ-ে বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন। বিলের ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা অর্থদ-ে দ-িত হইবেন। বিলের ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এইরূপ কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। এই ধারায় কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ বৎসর কারাদ-ে বা অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা অর্থদ-ে বা উভয় দ-ে দ্রুত হইবেন। প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি অফিশিয়াল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ বৎসর ারাদ-ে বা অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা অর্থদ-ে বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন।
বিলের ৪২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো স্থানে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছিয়া ফেলা, পরিবর্তন বা অন্য কোনো উপায়ে দুষ্প্রাপ্য হইবার বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবন্ধ করিয়া, নি¤œবর্ণিত কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন, উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল জব্দকরণ: উক্ত স্থানে উপস্থিত যে কোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইলে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন ও উক্ত অপরাধের বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে নূতন একটি আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজন বিধায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন ও এসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের সহিত সামজ রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ রহিতক্রমে বাস্তবতার নিরিখে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ