অভূতপূর্ব হারে বাড়ছে সর্বভুক, রোগবাহী প্রাণী ও কীটপতঙ্গ : জাতিসংঘ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
রোগবাহী ও সর্বভুক কুনো ব্যাড়ের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অস্ট্রেলিয়া বছরের পর বছর ধরে লড়াই করছে, কিন্তু কোন সফল হচ্ছে না। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসী বিপজ্জনক এই প্রাণীটি প্রথম ১৯৩৫ সালে কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে গুবরে পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য আনা হয়েছিল, যা অঞ্চলটির লাভজনক আখের খেত ধ্বংস করে দিয়েছিল। এখন নিয়মিত নির্মূল অভিযান সত্ত্বেও উত্তর উপকূল জুড়ে এবং পশ্চিমে এর ব্যাপক বিস্তার ঘটছে। এই সপ্তাহে প্রকাশিত জাতিসঙ্ঘের ইন্টার গভর্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিসি প্ল্যাটফর্ম অন বায়োডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস (আইপিবিইএস) একটি অভূতপূর্ব প্রতিবেদন অনুসারে, এইসব কুনো ব্যাঙ হল ৩৭হাজারেরে বেশি ক্ষতিকারক প্রজাতির মধ্যে একটি, যা মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে বা অসাবধানতাবশত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে।
বিশে^র ৪৯টি দেশের ৮৬ জন বিশেষজ্ঞের গবেষণা লব্ধ এই আইপিবিইএস এর প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে, পৃথিবীতে আক্রমণাত্মক প্রজাতির সংখ্যা নজিরবিহীন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এর মধ্যে ৩শ’ ৫০ টিরও বেশি ক্ষতিকর। ইউকে সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজির অধ্যাপক এবং এই গবেষণার অন্যতম সহ-সভাপতি হেলেন রায় এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আক্রমণকারী বিদেশী প্রজাতি জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বড় হুমকি এবং স্থানীয় ও বৈশ্বিক প্রজাতির বিলুপ্তি সহ প্রকৃতির অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করতে পারে, এবং মানুষের সুস্থতাও হুমকির মুখে।›
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই ধরনের প্রজাতি ডেঙ্গুর মতো রোগ ছড়াচ্ছে, যা এডিস ইজিপ্টি মশা দ্বারা বাহিত হয় এবং আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া হ্রদ জুড়ে ক্ষতিকর কচুরিপানার বিস্তার খাদ্য সরবরাহ এবং জীবিকাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, এই মারাত্মক প্রজাতিগুলি মেকাবেলার বৈশ্বিক ব্যয় ২০১৯ সালে বার্ষিক ৪২হাজার ৩শ’ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা ১৯৭০ সাল থেকে প্রতি দশকে কমপক্ষে চারগুণ করে বাড়ছে। গবেষণাটির অন্যতম সহ সভাপতি এবং চিলির ইন্সটিটিউট অফ ইকোলজি অ্যান্ড বায়োডাইভার্সিটির অ্যানিবাল পাউচার্ড উল্লেখ করেছেন যে, আক্রমণাত্মক বিদেশী প্রজাতিগুলি বিশ্বের ৬০ শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদের বিলুপ্তির একটি প্রধান কারণ ছিল এবং তাদের মধ্যে ১৬ শতাংশের একমাত্র বিলুপ্তকারী ছিল এবং স্থানীয় প্রজাতির উপর এই জৈবিক আক্রমণের নেতিবাচক প্রভাব ৮৫শতাংশ।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, জলবায়ু সঙ্কট আগাছা-পরগাছার মতো অনাকাঙ্খিত প্রজাতির প্রভাবকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে, যা ইতিমধ্যেই গত মাসে হাওয়াইতে ছড়িয়ে পড়া বিধ্বংসী দাবানলের জন্য দায়ী। এবং আক্রমণাত্মক প্রজাতিগুলি জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বড় হুমকি এবং তাদের বিস্তার বন্ধ করতে দেশগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাউচার্ড বলেন, ‹জৈবিক আক্রমণকে অন্য কারোর সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ভুল হবে। যদিও নির্দিষ্ট প্রজাতি যে ক্ষতি করে তা স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়, তবে এগুলির ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জের শিকড় বিশ্বব্যাপী, কিš ‘প্রভাব খুব স্থানীয়, প্রতিটি দেশে, সমস্ত পটভূমিতে এবং প্রতিটি সম্প্রদায়ে জন্য, এমনকি অ্যান্টার্কটিকাও প্রভাবিত হচ্ছে।’ সূত্র : আল জাজিরা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী
প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন
বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা