দায়িত্ব প্রশাসনের চালায় ছাত্রলীগ মিছিল-মিটিংয়ে না গেলেই নির্যাতন বের করা হয় হল থেকে বস্তির মানুষের চেয়ে মানবেতর জীবন হলের শিক্ষার্থীদের : ড. কামরুল হাসান

ঢাবিতে গণরুম-গেস্টরুম আতঙ্ক

Daily Inqilab রাহাদ উদ্দিন

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম ও গেস্টরুম সংস্কৃতি পৃথিবীর অন্যকোন দেশে অকল্পনীয়। কিন্তু বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪ জনের রুমে ১৫-৩০ জন শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকা, নিয়মিত গেসরুমে ছাত্রনেতাদের সামনে হাজিরার নামে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়া নিত্যদিনের ঘটনা। যার নেতৃত্ব দিয়ে থাকে ক্ষমতাসী দলের ছাত্রসংগঠনগুলো। মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাধ্যতামূলক মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ, নিয়মিত গেস্টরুমে হাজিরা দেয়া, ছাত্রনেতাদের প্রটোকল দেয়া শিক্ষার্থীদের রুটিনে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম-গেস্টরুমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে আতঙ্কের নাম “গণরুম-গেস্টরুম”। হলগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের পাশাপাশি বিকল্প প্রশাসন হিসেবে গড়ে উঠেছে ছাত্রলীগের শাসন। কে সিট পাবে কে পাবে না, কে হলে থাকবে কে থাকবে না, এটি আর হল প্রশাসন নির্ধারণ করে না। করে দেয় ছাত্রলীগ। যদিও ২০২১ সালের অক্টোবরে আবাসিক হলগুলো থেকে গণরুম বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনেকগুলো হলের গণরুমে নতুন সিটেরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত কেবল মুখে মুখেই রয়ে গেছে। সময়ের ব্যবধানে সেসব সিটও আজ উধাও। এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে গণরুম। যেখানে রাতভর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উপর চলে ছাত্রলীগের অমানুষিক নির্যাতন। গণরুমের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও গেস্টরুমের নির্যাতনের মধ্য দিয়েই মানবেতর জীবনযাপন করছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই হলগুলোতে আসন বরাদ্দ পান। কিন্তু কাগজে কলমে সিট বরাদ্দ হলেও কার্যত ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত রুমেই থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার ১৮। এর মধ্যে ২০ হাজারের অধিক সংখ্যক ছাত্র এবং প্রায় ১২ হাজার ছাত্রী। ছাত্রদের জন্য ১৩টি হল ও ২টি হোস্টেলে আসন আছে ১১ হাজারের কিছু বেশি, ছাত্রীদের জন্য ৫টি আবাসিক হল ও ২টি হোস্টেলে রয়েছে ৫ হাজার ৭০০ জনের আবাসনব্যবস্থা। অর্থাৎ মোট শিক্ষার্থীর ৫৫ শতাংশেরই আবাসনব্যবস্থা নেই। তবে জগন্নাথ হল ও বঙ্গবন্ধু হলের নতুন ভবনগুলো উদ্বোধনের পর একটা বড় সংখ্যক শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা হবে বলে মনে করেন ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানের আওতায় আরো অনেকগুলো আবাসিক ভবন নির্মাণের কথা জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে অন্তত ১৬০টি গণরুম আছে। শুধু গণরুম নয়, ছাত্রদের ১৩টি হলের প্রায় ৮০ শতাংশ কক্ষও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে। আসন বরাদ্দে ছাত্রদের হলগুলোতে প্রশাসনের ভূমিকা সামান্য। যেমন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের ২৯৬টি কক্ষের মধ্যে প্রায় সব কক্ষই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। স্যার এ এফ রহমান হলের ১০৪টি কক্ষের অন্তত ১০০টিই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ৩৮৮টি কক্ষের ৭০ শতাংশই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৩৮৮ কক্ষের প্রায় সবকক্ষই ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া কিছু হলে ‘মন্ত্রিপাড়া’ নামেও রাজনৈতিক ব্লকও আছে। কবি জসীমউদ্দিন হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের মতো ছোট ও মাঝারি হলগুলোতে প্রায় প্রতিটি কক্ষই একেকটি মিনি গণরুম। বিজয় একাত্তর হলে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় গণরুম। যেখানে ২৫০ থেকে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকতে হয়।

ছেলেদের ১৩ টি হলের প্রায় প্রতিটি হলেই প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত গণরুমগুলোতে উঠেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা প্রথম দিকে মাথা গুজার ঠাঁয় পেতে এসব রুমে আশ্রয় নেয়। আর এরই সুযোগ লুফে নেয় ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনগুলো। প্রথম বর্ষের এসব শিক্ষার্থী গণরুমে উঠার কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেরুদ- সোজা করে তাদের অনেকেই হল থেকে বের হয়ে যায়। আবার অনেককে জোর করে হল ছাড়া করা হয়।

অপরদিকে মেয়েদের ৫টি হলেও রয়েছে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত রুম। যেখানে প্রথম বর্ষে মেয়েরা হলে উঠলে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের মিছিল সমাবেশে উপস্থিত থাকতে হয়। তবে এসব হলে প্রশাসনেরও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। হল ভেদে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে পাওয়া যায় লিগ্যাল সিট। লিগ্যাল সিটে উঠলে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না গিয়েও থাকার সুযোগ হয়।

ছেলেদের হলগুলোতে প্রথম বর্ষে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা গণরুমে উঠা এসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রায় শেষ দিন পর্যন্ত ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণেই থাকতে হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পুরো সময়টা ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ তাদের জন্য বাধ্যতামূলক। এর ব্যত্যয় হলে ক্ষেত্র বিশেষে হলও ছাড়তে হয়।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেন, দাসপ্রথার আধুনিক সংস্করণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম। আমাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। লজ্জা-শরম ত্যাগ করে বলতে হচ্ছে তৃতীয় বর্ষে এসেও আমরা গণরুমে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

মানবাধিকার বিষয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস অ্যাগেইন্টস টর্চারের (স্যাট) একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৭ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে গুটিকয়েক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়ার নজির রয়েছে।

গত ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের মহাসমাবেশ উপলক্ষে হলের রিডিংরুমে গিয়েও প্রচারণা চালাতে দেখা যায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগের কর্মসূচি থেকে পালানোর জন্য অনেকেই রিডিংরুমকে বেছে নেয়। কিন্তু এখন দেখছি রিডিংরুমেও তাদের হানা। যা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। চার বছর ধরে স্নাতকের পুরো সময় ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেও মাত্র একদিন কর্মসূচিতে অংশ না নেয়ায় গত মাসের শেষের দিকে হল ছাড়তে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের স্নাতকোত্তরের ছাত্র ইনামুল ইসলাম নোমান। তাকে হল ছাড়তে বাধ্য করে হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম অনিক। অনিক হল ছাত্রলীগের পরবর্তী কমিটিতে সভাপতি/সম্পাদক পদপ্রার্থী। রাজনীতিতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দুই নবীন শিক্ষার্থী রনি ও সিয়াম (ছদ্মনাম) বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পূর্বে ভেবেছিলাম অনেক সুন্দর বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে আমাদের জন্য। কিন্তু এখন দেখি সম্পূর্ণ বিপরীত! বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ব করার স্পৃহা আর পাচ্ছি না। গণরুমে রাতে ঘুমাতে পারি না। খুব কষ্ট হয় থাকতে। এমন পরিবেশে কখনোই থাকতে হয়নি।
নবীন শিক্ষার্থী রনি বলেন, আগস্টে আমাদের ইমেডিয়েট সিনিয়ররা রুমে এসে জাস্ট সাধারণ আলাপ আলোচনা করতেন। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে আমাদের গেস্টরুম নেয়া শুরু হয়। রাজনৈতিক অনেক ম্যানার আমাদেরকে শেখানো হচ্ছে। যেমন ভাইদের যেখানেই দেখা হবে সালাম দিয়ে হ্যান্ডশেখ করে নাম, ডিপার্টমেন্ট, জেলা বলা। এবং তা যতবার দেখা হবে ততবারই বলতে হবে। কোনোরকমে স্কিপ করলে রাতে গেস্টরুমে ব্যাপক গালাগালির জন্য প্রস্তুত হতে হয়। এছাড়া যে কোনো কাজে ভাইদের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে হলের বাইরে কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে হয়। বিপত্তি ঘটলেই রাতে অকথ্য গালিগালাজ শুনতে হয়।

জানা যায়, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী রয়েছে গেস্টরুমের ভিন্নতা। সাধারণত একটা সেশনের সকল শিক্ষার্থীকে নিয়ে হলের অতিথি কক্ষে তাদের সিনিয়ররা গেস্টরুম নিয়ে থাকেন। সিনিয়ররা অতিথি কক্ষের সোফায় বসে থাকে আর জুনিয়ররা সামনে থাকা চেয়ারগুলোতে বসে। যেসব হলে চেয়ার নেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। আবার কোনো কোনো হলে এই প্রশিক্ষণ চলে গণরুমগুলোতেই। জুনিয়রদের কারো যদি অপরাধের মাত্রা একটু বেশি হয় তাহলে অন্য কোনো কক্ষে ডেকে নিয়ে মানসিক ও শারীরিক নিপীড়ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে কখনো কয়েকজন শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে ডাকা হয়। এর নাম মিনি গেস্টরুম। কখনো আবার শুধু একজন শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়। এর নাম সিঙ্গেল মিনি গেস্টরুম। মিনি গেস্টরুম ও সিঙ্গেল মিনি গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের বেশি নিপীড়ন করা হয়। এখানে মাঝেমধ্যে স্টাম্প-রড দিয়েও শিক্ষার্থীদের পেটানো হয় বলে অভিযোগ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের নি¤œ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর পলিটিক্যাল গডফাদারদের ছত্রছায়ায় ধীরে ধীরে হয়ে উঠে ক্রিমিনাল। তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সিস্টেম চলে আসছে, যেখানে কাগজে কলমে একটা প্রশাসনিক বডি থাকলেও কার্যত ক্ষমতার অধিকারী ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন। তাই এসব থেকে উত্তরণ তখনই সম্ভব হবে যখন দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে, আইনের শাসন থাকবে; গণতন্ত্র থাকবে। তা না হলে ৫০ বছর ধরে চলে আসা নৈরাজ্য কোনোদিনও বন্ধ হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, দেশ নাকি অনেক উন্নত হয়েছে। দেশে পাচার করার টাকার অভাব নেই। অথচ যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বস্তির মানুষের জীবন থেকেও খারাপভাবে থাকে, গেস্ট রুমে টর্চারের শিকার হয়।স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও ছাত্রছাত্রীদের ন্যূনতম চাহিদা পড়ার জন্য একটি টেবিল, ঘুমানোর জন্য একটি বিছানা আর কাপড় রাখার একটি ওয়ার্ডরোবের ব্যবস্থা করতে পারেনি এই বিশ্ববিদ্যালয়।

গণরুমের পরিবেশ পড়াশোনার পরিবেশের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, গণরুম গেস্টরুমে প্রায় আমরা শিক্ষার্থী নির্যাতনের কথা শুনি। এর ফলে মানসিকভাবে অনেক শিক্ষার্থী ভেঙে পড়ে এবং পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়ে। তাই এসব বন্ধে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গেস্টরুমে নির্যাতনের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ইনকিলাবকে বলেন, আমরা দায়িত্বে আসার পর থেকে গেস্টরুম কালচার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যেটা হয় তাকে কালচারাল প্রাকটিস বলা যায়। তিনি বলেন, আমরা কয়েকদিন আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নিকট গিয়ে আবেদন জানিয়েছি যে, আমরা এই গণরুম চাই না। তিনিও এ ব্যাপারে পজিটিভ বলে মনে হচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.মো.আখতারুজ্জামান বলেন, ছেলে-মেয়েরা যারা আসে তারা নিছক অতি প্রয়োজনে এই কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়। তারা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে হলগুলোতে থাকে। তারপরও কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে কারণ ঢাকায় তাদের থাকার বিকল্প সুযোগ নেই। হলগুলোতে তারা যে পরিবেশে থাকে তা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য মানের না। এখন আমরা কিছু কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

আমিরাতের উন্নয়নে বাংলাদেশিদের অবদানের প্রশংসা এবং সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ
কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ভাটা, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা
ব্রিফিংয়ে জয়সোয়াল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ!
আমদানি বৃদ্ধি ও শুল্ক কমানোর পণ্য তালিকা চূড়ান্ত হচ্ছে
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না: প্রেস উইং
আরও
X
  

আরও পড়ুন

আমিরাতের উন্নয়নে বাংলাদেশিদের অবদানের প্রশংসা এবং সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ

আমিরাতের উন্নয়নে বাংলাদেশিদের অবদানের প্রশংসা এবং সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ

কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ভাটা, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা

কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ভাটা, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা

ব্রিফিংয়ে জয়সোয়াল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ!

ব্রিফিংয়ে জয়সোয়াল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ!

আমদানি বৃদ্ধি ও শুল্ক কমানোর পণ্য তালিকা চূড়ান্ত হচ্ছে

আমদানি বৃদ্ধি ও শুল্ক কমানোর পণ্য তালিকা চূড়ান্ত হচ্ছে

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না: প্রেস উইং

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না: প্রেস উইং

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না: প্রেস উইং

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না: প্রেস উইং

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে পতিত সরকারের করা চুক্তি স্থগিত করুন

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে পতিত সরকারের করা চুক্তি স্থগিত করুন

কমলো উড়োজাহাজের তেলের দাম

কমলো উড়োজাহাজের তেলের দাম

লিবিয়ায় ভয়াবহ সংঘর্ষ, বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ

লিবিয়ায় ভয়াবহ সংঘর্ষ, বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ

আমরা কি নতুন কোনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি? প্রশ্ন মেজর হাফিজের

আমরা কি নতুন কোনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি? প্রশ্ন মেজর হাফিজের

মঙ্গলের মাটির তলায় তরল পানির সন্ধান

মঙ্গলের মাটির তলায় তরল পানির সন্ধান

পুঁজিবাজারে আবারো বড় দরপতন

পুঁজিবাজারে আবারো বড় দরপতন

পুঁজিবাজারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান বিএমবিএ

পুঁজিবাজারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান বিএমবিএ

ক্রিলিক একটি পরিপূর্ণ জ্ঞান ভান্ডারে পরিণত হবে -এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী

ক্রিলিক একটি পরিপূর্ণ জ্ঞান ভান্ডারে পরিণত হবে -এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী

হাইকোর্টের আদেশ চেম্বারে স্থগিত নগদে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ

হাইকোর্টের আদেশ চেম্বারে স্থগিত নগদে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ

পুলিশ কোনো কিলার ফোর্স হতে পারে না : আইজিপি

পুলিশ কোনো কিলার ফোর্স হতে পারে না : আইজিপি

হাসিনার ভয়ে যারা গর্তে লুকিয়ে ছিল তারা এখন সংস্কারের তালিম দিচ্ছে : আমীর খসরু

হাসিনার ভয়ে যারা গর্তে লুকিয়ে ছিল তারা এখন সংস্কারের তালিম দিচ্ছে : আমীর খসরু

সিএজি কার্যালয়ে বিশেষ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

সিএজি কার্যালয়ে বিশেষ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

পদ্মা সেতু দিয়ে কি নদীর ক্ষতি করছেন না, প্রশ্ন মৎস্য উপদেষ্টার

পদ্মা সেতু দিয়ে কি নদীর ক্ষতি করছেন না, প্রশ্ন মৎস্য উপদেষ্টার

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের সাঁড়াশি অভিযান

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের সাঁড়াশি অভিযান