দুই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে বেধড়ক পিটুনি
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় ধরে নিয়ে বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় ডিএমপির রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এডিসি হারুনকে গতকাল পুলিশ সদর দফতরের এক আদেশে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। নারীঘটিত একটি বিষয়ের জেরে এডিসি হারুন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। ঘটনার পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার দিবাগত রাতের মর্মান্তিক ওই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রলীগ। দেশের সবচেয়ে বড় ছাত্রসংগঠনটির বর্তমান ও সাবেক নেতারা এই ঘটনায় এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এডিসি হারুন অর রশিদের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
এ দিকে এডিসি হারুনের পেটানোর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি। গতকাল বিকেলে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানা গেছে। এ কমিটিকে আগামী দুই দিনের মধ্যে তদন্ত করে ডিএমপি কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মো. আবু ইউসুফকে। আর সদস্য করা হয়েছে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ্ ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-মতিঝিল) মো. রফিকুল ইসলামকে।
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন অর রশিদ শাস্তি পাবেন। এটা যে করেছে, সে পুলিশের হোক বা যেই হোক না কেন, অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে। কেন করেছে, কী করেছে, আমরা জিজ্ঞাসা করব। তার ভুল কর্মকা-ের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে এর আগেও মারধরের অভিযোগ ছিল-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিরবারের ঘটনাটি প্রথম উল্লেখযোগ্যভাবে এসেছে, আমরা একটু দেখে নিই। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। সে যতখানি অন্যায় করেছে ততখানি শাস্তি সে পাবে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে পিওএমে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে বদলির বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি হবে। পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটি হবে। সেখানে কে দোষী, কে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।
এডিসি হারুনের এমন অপকর্ম এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ৩১তম ব্যাচের পুলিশ ক্যাডারের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সহকর্মীকে প্রকাশ্যে থাপ্পড়, সাংবাদিক নির্যাতন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বৃদ্ধির আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ আছে। নিউ মার্কেট এলাকায় দোকান মালিক, বিক্রেতা ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সহকর্মীকে চড় মারেন এডিসি হারুন। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন আন্দোলন দমনে তাকে লাঠি হাতে আন্দোলনকারীদের পেটাতে দেখা যায়। এছাড়া গত মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের পেটান হারুন। প্রতিবারই পুলিশ তার ঘটনায় শুধু দুঃখ প্রকাশ করে। কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে : পুলিশসহ ঘটনার সময় উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এবং ছাত্রলীগ নেতারা জানান, পুলিশের ৩১তম ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন গত শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। জানতে পেরে ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী ২৮ বিসিএস কর্মকর্তা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিত-া হয়। একপর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে পুলিশ ডেকে এনে তাদেরকে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে। সূত্র জানায়, ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতিক্রিয়া : ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রসংগঠনটির বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। এদিকে দুই নেতাকে পুলিশের বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল আমিন রহমান লিখেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বন্ধু আনোয়ার হোসেন নাঈমের পাশে আছি আমরা। সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সাইকোপ্যাথ ছাড়া কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না। আরেক সহ-সভাপতি শরিফুল আলম লিখেছেন, ছাত্রলীগ আসলেই এতিমদের সংগঠন। কাল থেকে আমাদের হাতে চুরি পরে ঘরে বসে থাকা উচিত।
উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন লিখেছেন, এডিসি হারুন একজন সন্ত্রাসী। বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ায় সাহস বেড়ে গেছে। ঢাকা কলেজের অনেক ছাত্রের জীবন নষ্ট করেছে। তার বিচার না হলে থামব না। আহত নাঈমের ছবি শেয়ার করে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ লিখেছেন, আমার ছাত্রলীগের ছোট ভাই, কেন এমন হলো, কী জন্য এমন হলো জানতে চাই। এটা কি মেনে নেওয়ার মতো ঘটনা!
ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি লিখেছেন, আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং শরীফ আহমেদ মুনিমের ওপর যে বর্বরতা চালানো হয়েছে তার কঠোর বিচার দ্রুত নিশ্চিত হোক। বাংলাদেশের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার দায়িত্ব বর্তমান ছাত্রলীগের সবার।
এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে যত পেটানোর অভিযোগ : রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ থামাতে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ এক পুলিশ কনস্টেবলকে থাপ্পড় মারছেন। তখন তার এ ধরনের আচরণের নিন্দা জানিয়েছিলেন অনেকে। ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ১৮ এপ্রিল রাতে। নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশ সদস্যদের রাবার বুলেট ছোড়ার নির্দেশ দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। এসময় ‘গুলি শেষ হয়ে গেছে’ বলায় ওই পুলিশ কনস্টেবলকে থাপ্পড় মারেন তিনি। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়েছিল। শুধু নিজের সহকর্মীকেই না, এডিসি হারুন তার নেতৃত্বে শাহবাগে সমাবেশকারীদের পেটানোর ঘটনা, এমনকি তিনি নিজেই লাঠি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের পেটাচ্ছেনÑ এমন ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। তবে বারবার এসব ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বা পুলিশ সদরদপ্তর থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো দীর্ঘদিন স্বপদে বহাল ছিলেন তিনি।
গত ৭ আগস্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামি আবদুল্লাহ। তখন তার মাথায় ১৪টি সেলাই। এই শিক্ষার্থী জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শাহবাগে একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেদিন ‘শান্তিপূর্ণ’ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ব্যাপক লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে তিনিসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। সেদিনের ঘটনায় নেতৃত্বে দেন এডিসি হারুন অর রশীদ। এডিসি হারুন সম্পর্কে এ ধরনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের মন্তব্য হলো ‘তিনি (এডিসি হারুন) শুধু পেটান।’ প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রাজধানীর রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে ‘বিনা উসকানিতে’ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করা হয়েছে। শুধু এটা নয়, এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরাও একই অভিযোগ করেছেন।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। অবরোধ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলছিল। এরপর পুলিশ এসে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। সেখান থেকে সরে শাহবাগ থানামুখী রাস্তার দিকে এগোলে পুলিশ চাকরি প্রত্যাশীদের কয়েকজনের ওপর লাঠিপেটা করে। এডিসি হারুনও লাঠিপেটা করে যুবকদের ধাওয়া দেন বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। সেসময় ছবি তুলতে গেলে কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে এডিসি হারুন দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
সাংবাদিকরা তখন অভিযোগ করেছিলেন, বিক্ষোভকারীদের শাহবাগ মোড় থেকে বল প্রয়োগ করে সরানোর সময় ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করে এবং কয়েকজন সাংবাদিককে ধাক্কা দেয়।
গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধর করার বিষয়টি প্রমাণ হলে ডিএমপির এডিসি হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটি তদন্ত করা হবে। তদন্তে এডিসি হারুন দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানার ওসির দায়িত্ব পান নূর মোহাম্মদ। এর আগে তিনি একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, যখন সিনিয়র অফিসার এমন ঘটনায় জড়ান তখন অধিনস্থ অফিসাররা তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য হন। কারণ তা না হলে নিজেই বিপদে পড়ার ভয়ে থাকেন বা সিনিয়রদের জানালে যদি হিতের বিপরীত হয়। তাই অতি উৎসাহী কর্মকর্তার সঙ্গে তারাও এ ধরনের কাজে সরাসরি অংশ নেন। এতে তারা ন্যায্য-অন্যায্য হিসাব করেন না। একই কাজ করেছেন ওসি নূর মোহাম্মদ।
ঘটনার বর্ণনা দিলেন আহত ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গতকাল সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রেসিডেন্টের সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক তার এলাকার বড় ভাই। তাদের বাড়ি গাজীপুরে। আজিজুল শনিবার সন্ধ্যায় ফোন করে তাকে শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে যেতে বলেন। রাত আটটার দিকে তিনি সেখানে যান। বড় ভাই বারডেম জেনারেল হাসপাতালে আছেন জেনে সেখানে ছুটে যাই। হাসপাতালের চারতলায় গিয়ে দেখি প্রেসিডেন্টের সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক ও পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদের মধ্যে বাগ্বিত-া হচ্ছে। আমিসহ ছাত্রলীগের আরও দুই নেতা মিলে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি।
তিনি আরও বলেন, এডিসি হারুন ঘটনার একপর্যায়ে শাহবাগ থানার ওসিকে (তদন্ত) ফোন করে হাসপাতালে ডেকে নেন। পুলিশ গিয়ে আজিজুল, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে মারধর করে। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ জোর করে আজিজুলসহ তিন–চারজনকে গাড়িতে থানায় নিয়ে যায়।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ফোনে রমনা বিভাগের ডিসি (মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন) মারধরের ঘটনাটি জানিয়ে শাহবাগ থানায় যাই। গিয়ে দেখি ওসি তদন্তের কক্ষে সবাইকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। এডিসি হারুন ও ওসিও মারধর করছেন। ওসির কক্ষের দরজা টেনে ভেতরে ঢুকতেই ১০ থেকে ১৫ জন আমার ওপর হামলা করেন। আমার মুখে কিলঘুষি মারেন। একপর্যায়ে আমাকে নিচে ফেলে পা দিয়ে লাথি মারেন। প্রেসিডেন্টের সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হকের স্ত্রীও ডিএমপির একজন এডিসি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এডিসি হারুন সেখানে গিয়েছিলেন তার সহকর্মী হিসেবে। হাসপাতালটি তার আওতাধীন এলাকায় বলেই সেখানে যান তিনি। কী হয়েছিল জানতে চাইলে ওই নারী কর্মকর্তা বলেন, আপনারা সবকিছু ইনফর্মড (জানেন)। তারপরও কেন জিজ্ঞেস করছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে- কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত