ডিএমপির তদন্তে আস্থা ছাত্রলীগের
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
ছাত্রলীগের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনা নিয়ে দু’দিন ধরে তোলপাড় চলছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ কার্যত মুখোমুখি অবস্থানে। এ নিয়ে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে বিতর্ক। সেয়ানে সেয়ানে লড়াইয়ের মতোই ক্ষমতার প্রভাবশালীদের এই লড়াইয়ের মধ্যেই ডিএমপির রমনা বিভাগ থেকে বদলি হওয়া এডিসি হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন, সেহেতু তাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
মারধরে শিকার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে হলে ফিরে গেছেন। আনোয়ার হোসেনের ৪-৫টি দাঁত তুলে ফেলেছে এডিসি হারুন ও তার লোকজন। এদিকে গতকাল সোমবার ডিএমপি কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। বৈঠক শেষে তিনি সংবাদিকদের বলেন, দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় হারুনসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে না ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় ডিএমপির বিভাগীয় তদন্তের প্রতি আস্থা রাখতে চায় সংগঠনটি।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনের অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি টিম ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সরাসরি একজন ভুক্তভোগীও এসেছিলেন। তারা তাদের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের বেশকিছু দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন। ডিএমপি কমিশনার ছাত্রলীগকে জানান, পুলিশ অত্যন্ত পেশাদার একটি সংস্থা। ব্যক্তির দায় পুলিশ বহন করবে না। পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে ঘটনাটি যখন সবার নজরে আসছে তখন তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনার তাকে (এডিসি হারুন) রমনা থেকে সরিয়েছেন। পরে আইজিপি ডিএমপি থেকে তাকে এপিবিএন-এ বদলি করেন। এছাড়া ডিএমপি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে।
শুধু এডিসি হারুনই নয়, ভুক্তভোগীর অভিযোগ ১০-১২ জন পুলিশ থানায় তাকে মারধর করেছে। প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, একশ পার্সেন্ট নিশ্চিত থাকেন যারা জড়িত ছিল সবার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একজন জড়িত নাকি পাঁচ-দশজন জড়িত তদন্ত কমিটি যাকে যতটুকু দায়ী করবে তার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই ধরনের দ- রয়েছে। একটি লঘুদ- অন্যটি গুরুদ-। লঘুদ-ের মধ্যে চারটি বিষয় রয়েছে, গুরুদ-ের মধ্যেও চারটি বিষয় রয়েছে। কেউ চাকরিচ্যুত হতে পারে কেউ বা তিরস্কারও হতে পারে।
ডিএমপির তদন্তে আস্থা ছাত্রলীগের : গতকাল ডিএমপি কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে না ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় ডিএমপির বিভাগীয় তদন্তের প্রতি আস্থা রাখতে চায় সংগঠনটি।
তিনি বলেন, যে অনাকাক্সিক্ষত ও দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে এতে বাংলাদেশ সব শ্রেণির নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া যেন নিশ্চিত করা হয় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যেন আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হয় সেজন্য আমরা গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। পরে সোমবার ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ডিএমপি কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ডিএমপি কমিশনের সঙ্গে দেখা করে আমরা আমাদের দাবিগুলো তাকে জানিয়েছে। ডিএমপি কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তাদের বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যুগে যুগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ যে দায়িত্বশীলতা ও সু-বিবেচনার পরিচয় দিয়েছে, এর উপরেই ভিত্তি করে বলতে পারি ছাত্রলীগ এ বিষয়ে একটি নিয়মতান্ত্রিক সুস্পষ্ট সমাধান পাবে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কোনো আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে কি না? ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা মামলা দায়ের করবে কিন্তু ছাত্রলীগ নিষেধ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। ডিএমপির তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যেন দ্রুত দেয়া হয় সেজন্য আমরা বলেছি। তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ সর্বোচ্চ শাস্তি যেন নিশ্চিত করা হয় সেটিই আমরা বলেছি। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পরিবারকে মামলা দায়ের করতে দেওয়া হচ্ছে না দাবিটি মিথ্যা বলেও জানান তিনি।
পুলিশের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে? জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ডিএমপি কমিশনার আমাদের বলেছেন যে তারা এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন। তারা এ বিষয়ে বিব্রতবোধ করছেন। এছাড়া আমরা ডিএমপিকে বলেছি এ ঘটনায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে যা যা করণীয় তারা যেন তাই করে।
এ ঘটনায় ছাত্রদলের উদ্বেগের বিষয়টিকে ছাত্রলীগ কীভাবে দেখছে? জানতে চাইলে এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, যারা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাদের বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। যারা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটতে চায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চায়, তাদের ফাঁদে ছাত্রলীগ পা দেবে না। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো ধরনের তিক্ত সম্পর্ক সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না? প্রশ্ন করা হলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, সেটির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যরা ছিল মুখোশপরা : ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেনকে নির্যাতন করা হয় শাহবাগ থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) কক্ষে। সেখানে ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুনের উপস্থিতিতে তদন্ত নেতৃত্বে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য হামলে পড়েছিল তার ওপর। তারা প্রত্যেকেই ছিলেন মুখোশ পরা। পোশাক থেকে সরানো ছিল নেমপ্লেট।
জ্ঞান হারানোর আগে মুখোশ টেনে পরিদর্শক (তদন্ত) চিনতে পেরেছিলেন আনোয়ার। এরপর তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আমি। কিন্তু তাতে নির্যাতন কমেনি, উল্টো বেড়েছে, নির্যাতনে একসময় জ্ঞান হারান নাঈম।
সে রাতে শুধু আনোয়ার নয়, তার আগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রেসিডেন্টের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে। শাহবাগ থানায় তারাও পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হন। পুলিশের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার নাঈমের বক্তব্যে ও ঘটনার সময় থানায় উপস্থিত এক পুলিশ সদস্যের দেওয়া বক্তব্যে এ ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে।
ঘটনা জানতেন রমনার ডিসি আশরাফ : পুলিশের একাধিক সূত্র ও কর্মকর্তার বক্তব্যে জানা গেছে, শাহবাগ থানা হেফাজতে দুই ছাত্রলীগ নেতা ও প্রেসিডেন্টের এপিএস মামুনকে মারধর করা হচ্ছে- ওই খবরে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয় রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহকে। তিনি গিয়ে আনোয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ওই রাতে এডিসি হারুন ও ওসি তদন্ত ছাড়া নির্যাতনের ঘটনার আগে-পরে অন্য কোনো কর্মকর্তা এসেছিল কি না, ডিসি জানতো কি না? জানতে চাইলে আনোয়ার বলেন, এডিসি শাহেন শাহ পরে এসেছিলেন। ডিসি জানতে পেরেই এডিসি শাহেন শাহকে পাঠান। এডিসি শাহেন শাহ’র সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। তাকে দেখেই আমি শুধু বলছিলাম, আমাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। এরপর আমাকে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার বক্তব্যের সত্যতা মেলে এডিসি শাহেন শাহ’র বক্তব্যে। এডিসি শাহেন শাহ বলেন, ডিসি আশরাফ আর আমি একটা প্রোগ্রামে ছিলাম। স্যারের নির্দেশে আমি সে রাতে শাহবাগ থানায় যাই। আমি যাওয়ার পর কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। আমি গিয়ে আনোয়ারকে ওসি তদন্তের রুমে পাই। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
ছাত্রলীগের তৃণমূলে অসন্তোষ : ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি হল শাখা ছাত্রলীগ বিচার চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কোনো বিবৃতি দেয়নি। একই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়ন। অবশ্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হতে পারছেন না নেতা-কর্মীদের একটি অংশ। মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ওই অংশটি তিন নেতাকে পেটানোর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিতে কেন্দ্রের দুই শীর্ষ নেতার আন্তরিকতার ঘাটতি দেখতে পাচ্ছেন।
ছাত্রলীগ নেতাদের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্রলীগ বিষয়টি নিয়ে আগাচ্ছে। এটা পরিণত আচরণ।
ভুক্তভোগী নেতাদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্টের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঘটনার জেরে এডিসি হারুন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতাদের ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন আজিজুল। অবশ্য এডিসি হারুনের বদলিতে সন্তুষ্ট নন ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতা-কর্মীদের বড় অংশ। তাদের দাবি, এডিসি হারুন ছাত্রলীগের তিন নেতাকে যেভাবে পিটিয়েছেন, সেটা ফৌজদারি অপরাধ। তাকে বরখাস্ত করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হতে হবে। রাকিব ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে লিখেছেন, হারুন-টারুন কিছুই না। যেদিন থেকে ফুল, পাখি, গান, জারুল হওয়া শুরু করেছে, সেদিন থেকে ছাত্রলীগ লাল সুতায় ঝুলে গেছে। আর এর সঙ্গে নতুন সুর যোগ হইছে আবার আহ্হা, উহ্হু। রাকিব আরো লিখেছেন, আমরা সেই ছাত্রলীগ ফিরে পেতে চাই, যে ছাত্রলীগের একজন কর্মীর জয় বাংলা সেøাগানে প্রকম্পিত হতো রাজপথ। আমরা এই ফুল, ফল, জারুল অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই। একই ধরনের পোস্ট দিতে দেখা গেছে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফরিদ, সূর্যসেন হল শাখার সদস্য মিনহাজুল ইসলামসহ কয়েকজনকে।
এডিসি হারুনের ঘটনা তদারকি করছেন ডিএমপির এমন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, শাহবাগে জাদুঘরের সামনে চুড়ির দোকানে সিভিল ড্রেসে রমনা বিভাগের সাবেক এডিসি হারুন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সানজিদা আফরিনকে চুড়ি কিনে পরিয়ে দিচ্ছিলেন। এই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সাথে খুব ভাল সম্পর্ক পুলিশের এডিসি হারুনের। অবাক করা তথ্য হচ্ছে, এই এডিসি সানজিদা আবার এডিসি হারুনের সাবেক স্ত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। সানজিদা আফরিন এবং হারুনকে হাতেনাতে ধরেন সানজিদার স্বামী ৩১তম বিসিএসের অ্যাডমিন ক্যাডারের বর্তমানে বঙ্গভবনে কর্মরত আজিজুল হক মামুন। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নেতা সানজিদার স্বামীর সাথে উপস্থিত ছিলেন। এডিসি হারুনও সাবেক পদধারী ছাত্রলীগ নেতা। থানায় আটকে এমন নির্যাতনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সানজিদাও। প্রাথমিকভাবে পাওয়া এসব তথ্য গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রাণীশংকৈলে ফিল্মি স্টাইলে দোকান চুরি, ১৮ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও চোর ধরতে ব্যর্থ পুলিশ
মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন
কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু
আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী
সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের