যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। ভিসা না দিলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে জিজ্ঞেস করেন। এটা আমাদের বিষয় না। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: দ্য ইয়ুথ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দিল্লিতে শেখ হাসিনা ও জো বাইডেনের মধ্যে আলাচনা হয়েছে। খুব ভালো, ভালো কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমি বাবা-মা, ভাইদের হারিয়েছি, পরিবারের লোকদের হারিয়েছি। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। তাদের মুখে দু’বেলা ভাত, জীবন মানের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করছি। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। ওই আলোচনায় নির্বাচন প্রসঙ্গ ছিল না।

মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পর অনেক শিক্ষার্থীর যুক্তরাষ্ট্রে স্কলারশিপ পাওয়ার পরও তাদের ভিসা বাতিল হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে জিজ্ঞেস করেন। এটা আমাদের বিষয় না। এটা তাদের মাথাব্যথা, আমার না। আমাদের অধিকাংশ লোকজন এসব ভিসা-টিসা নিয়ে খুব চিন্তিত নয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জো বাইডেনকে বলেছেন বাংলাদেশ সেই তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ নয়, গত কয়েক বছরে স্থিতিশীলতা ও নেতৃত্বের পরিপক্কতার কারণে বাংলাদেশ অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমার বিরাট পরিবার, ১৭০ মিলিয়নের পরিবার। এদের আমি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে চাই। আমাদের স্বপ্ন একটা সুন্দর বাংলাদেশ। আমার একটাই জীবনের কাম্য, আমার দেশবাসীর মঙ্গল করা।
শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কী বলেছেন, জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, তিনি বলেছেন, আমি জানি। নির্বাচন নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওগুলো নিয়ে আলাপ হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, এক সময় ভারতবর্ষ ছিল মূল আকর্ষণ। এখন আর সেই অবস্থা নেই। আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানকার দূতাবাসে গিয়ে ধর্ণা দিতে হবে না, ডেকে ভিসা দেবে। মানুষের ন্যায্য অধিকার বাড়িতে পৌঁছে যাবে। পাসপোর্ট পেতে তিন সপ্তাহের বেশি লাগবে না। এয়ারপোর্টে এসে কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আমরা কখনও চাপের মুখে ছিলাম না। আমরা চাপের মধ্যে নাই। আমরা আগামী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং আমরা কোনো চাপের মধ্যে নেই। আপনারা (গণমাধ্যম) বরং চাপের মধ্যে আছেন। আপনারা (গণমাধ্যম) আমাদের চাপের মধ্যে ফেলতে চান।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ।

বিভাগ : জাতীয়