কক্সবাজার সৈকতে বন্ধ হয়নি হয়রানি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১০ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ঘিরে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটকের আগমন হয় কক্সবাজারে। কিন্তু সৈকতে অপরিকল্পিত দোকানপাট, ছাতা-চেয়ার, ঘোড়া ও বাইক চালকের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি এখনো। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে সমুদ্র সৈকতের আকর্ষণ ও সৌন্দর্য। অপরদিকে প্রতারণাসহ নানা অপকর্মে বিরক্তির উদ্রেক হয় পর্যটকদের।
কক্সবাজারের পর্যটন দেশের অর্থনীতির দরজা খুলে দিলেও লালন করা হচ্ছেনা পর্যটন শিল্পের। বিগত চার দলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় গঠিত আমলা নির্ভর একটি সীবিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এখনো পর্যটন জোন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে। হোটেল-মোটেল জোনের ছোট বড় ৫’শর মত হোটেল-মোটেল ও পর্যটকদের সানন্দে ছুটে বেড়ানোর দীর্ঘ সৈকত তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। আমলা নির্ভর এই কমিটিতে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা না থাকায় পর্যটকদের সুবিধা অসুবিধাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় থাকে তাদের জানার বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
সৈকত এলাকায় স্থাপনা নির্মাণে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাবশালীরা গড়ে তোলেছে বহুতল ভবনসহ শত শত স্থাপনা। প্রশাসন মাঝেমধ্যে সৈকতের ঝুঁপড়িগুলোতে অভিযান চালালেও এ পর্যন্ত অধরা থেকেছে বহুতল স্থাপনাগুলো। এসব স্থাপনা যেমন সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। তেমনি পরিবেশগত কারণে ঝুঁকিপূর্ণও। এছাড়াও এসব স্থাপনাগুলো ব্যবহার হয়ে থাকে নানা অপরাধ কাজে। এখানে পর্যটকরা হয়ে থাকে নানা হয়রানির শিকার। সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছাতা-চেয়ার বসিয়ে সৈকত এলাকা ঘিঞ্জি করে ফেলা হয়েছে। এতে সৈকতে পর্যটকদের উন্মুক্ত বিচরণের ক্ষেত্র সঙ্কুচিত করা হয়েছে। এই ছাতা-চেয়ার ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের জিম্মি করে হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীবিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি থেকে এই সব ছাতা-চেয়ার রাজনৈতিক বিবেচনায় লীজ নিয়ে সৈকত জবরদখল করে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই ছাতা চেয়ারে বসেই বড় বড় মাদক চালানের ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম হয়ে থাকে। এছাড়া সৈকতে ঘোড়া ও বাইক রাইডারদের দৌরাত্ম্য খুবই বিরক্তিকর। প্রতিদিন অসংখ্য ঘোড়ার মল-মুত্রে সৈকত এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও বাইক রাইডারদের দৌরাত্ম্যে গোটা সৈকত এলাকা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের জিম্মি করে ঘোড়া চালক ও রাইডাররা প্রতারণা করে টাকা আদায় করাসহ রয়েছে নানা হয়রানীর অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে হোটেল মোটেল রেস্ট হাউজ-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার বলেন, সব স্টেক হোল্ডারদের অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে সীবিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে আরো কার্যকর করা যেতে পারে।
সৈকতের ব্যবসায়ী জাতীয় পার্টি নেতা মোশাররফ হোসেন দুলাল বলেন, এক সময় তিনিও সীবিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ছিলেন। সৈকতে ১২ শতাধিক ছাতা চেয়ার ব্যবসায়ী আছে। এখানে অনেক বিষয় আছে যা বলা যায়না। তবে সব কিছু একটা নিয়মের মধ্যে থাকলে ভালো হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রাণীশংকৈলে ফিল্মি স্টাইলে দোকান চুরি, ১৮ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও চোর ধরতে ব্যর্থ পুলিশ
মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন
কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু
আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী
সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের