বড় ধরনের অর্থনৈতিক পতনের মুখোমুখি জার্মানি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১৯ পিএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
খুব বেশি দিন আগের কথা নয় যখন জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব থেকে শক্তিশালী অর্থনীতি ছিল। কিন্তু, এখন এটিকে ‘ইউরোপের অসুস্থ মানুষ’ হিসাবে অভিহিত করা হচ্ছে। কারণ চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এর অর্থনীতি একটি ‘বড় অবনতির’ সম্মুখীন হয়েছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এটি স্থবির রয়েছে এবং শীতকালে মন্দাকবলিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। দেশটি এ মুহূর্তে মন্দার মধ্যে না থাকলেও ইউরোপীয় কমিশন আশঙ্কা করছে যে, ২০২৩ সালে জার্মান অর্থনীতি ০.৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে এবং এর এটি মন্দায় ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ভূ-রাজনৈতিক শৃঙ্খলার পরিবর্তন অনেক সমকক্ষের তুলনায় জার্মানির অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিয়েছে। বিশেষ করে, এটি রাশিয়ান জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে জার্মানি তার গ্যাসের প্রায় অর্ধেক এবং এক তৃতীয়াংশেরও বেশি তেল রাশিয়া থেকে সরবরাহ করত। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অর্থ হল, এর জ্বালানি আমদানি বিল এ বছর এবং পরবর্তী বছর জুড়ে ১২ হাজার ৪শ’ কোটি ইউরোর বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২০২০ এবং ২০২১-এর সম্মিলিত ইউরো থেকে ৭শ’ কোটি বেড়েছে।
ইউরোপীয় কমিশন বলেছে যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের পর জ¦ালানির দাম কঠিন আঘাত হেনেছে। জার্মানি তার জ¦ালানি সরবরাহের বৈচিত্র্য আনতে অনেক কাজ করেছে, কিন্তু ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘জ¦ালানি-নিবিড় রাসায়নিক খাতের মতো খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলো পুনরুদ্ধার করতে সময় লাগবে’।
চীনের সাথে সম্পর্কও জার্মানির জন্যও চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। দেশটির অর্থনীতি প্রায় অনন্যভাবে তার আকারের একটি দেশে রফতানির ওপর নির্ভরশীল যেখানে রফতানি জার্মানির জিডিপির প্রায় ৫০ শতাংশ এবং চীন টানা সাত বছর ধরে জার্মানির বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ যেমন বলেছেন, সমালোচনামূলক নির্ভরতাগুলোকে দ্বিগুণ বা হ্রাস করার প্রচেষ্টা জার্মানিকে কঠোরভাবে আঘাত করবে। পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে জার্মানির সংগ্রামগুলো উৎপাদন ক্ষেত্রে তার অস্বাভাবিক নির্ভরতাকে প্রতিফলিত করে।
বিগত কয়েক বছর ধরে রাসায়নিক এবং গাড়ি উৎপাদনের মতো খাতগুলো জামানির অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসবে কাজ করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক শিল্প উৎপাদনের সূচক অনুসারে, জুলাই থেকে আগের মাসের তুলনায় উৎপাদন ০.৮ শতাংশ কমেছে। এটি ছিল টানা তৃতীয় পতন এবং অর্থনীতিবিতেতের দেয়া পূর্বাভাসের চেয়ে গভীর। আইএনজি-তে ম্যাক্রোর গ্লোবাল হেড কার্স্টেন ব্রজেস্কি বলেন, ‘এটি দেখায় যে, সরকার অবশেষে অর্থনীতির সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। বলা হচ্ছে, অর্থনীতিকে আবার গতিশীল করতে একই লক্ষ্যে আরো দৃঢ় পদক্ষেপের প্রয়োজন হবে। সূত্র : সিটি এএম।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬
সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান
জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল