চোখের পানি ছাড়া আর কিছুই নেই
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
আমার দোকানে ৮০-৯০ লাখ টাকার কাপড় ছিল। এগুলোর কিছুই সরাতে পারিনি। এখন রাস্তায় ভিখারির মতো হাতও পাততে পারি না। কে আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করবে? এখন আমাদের চোখের পানি ছাড়া আর কিছুই নেই। গতকাল সোমবার কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের অগ্নিকা-ে নিঃস্ব হয়ে পড়া থান কাপড়ের ব্যবসায়ী তারেক ক্লথ স্টোরের মালিক মো. আব্দুস সালাম ভূইয়া। এ সময় ইমাম হোসেন ও জসিমসহ আরো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী আগুনে নি:স্ব হওয়ার কথা বলেন।
ব্যবসায়ী তারেক ক্লথ স্টোরের মালিক মো. আব্দুস সালাম ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, কেউ হয়ত সাহায্য করবে সেই আশায় এখনো মার্কেটের সামনে সবসময় চেয়ে থাকি। অপেক্ষায় আছি কখন আবার এখানে বসে বেঁচে থাকার জন্য কোনো ব্যবস্থা করতে পারব। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১০টি টাকাও মালিকপক্ষ কিংবা কারো কাছ থেকে অনুদান পাইনি। এই দুরাবস্থার মধ্যে আমরা দিন পার করছি। এখন যে যেভাবে বলছে, সেভাবেই তাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছি। আমরা ঢাকায় পরিবার নিয়ে বাসায় ভাড়া থাকি। এখন সেই বাসাভাড়া দেয়া সম্ভব হবে না। আমাদের বাসা ছেড়ে দিতে হবে। কারণ, আমরা বাসা ভাড়া কোথায় থেকে দেব? এই দোকান থেকে আমি ১০টি টাকাও নিয়েও বের হতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমার কাছে একটি টাকাও নেই যে, ১০ টাকার জিনিস আমি কিনে সংসার চালাব। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় পানি খেয়ে বের হয়ে এসেছি। আল্লাহ যে কখন আমার রিজিক রেখেছেন, সেটি একমাত্র তিনিই জানেন।
খোকন স্টোরের মালিকের ভাই মোহাম্মদ ইমাম হোসেন বলেন, পুড়ে যাওয়া অংশ দেখিয়ে জনগণ বলছে এগুলো ময়লা। কিন্তু আমি বলছি এগুলো ময়লা নয়, এগুলো সবই হচ্ছে টাকা। এই ব্যবসা নিয়ে জীবন বাঁচানোর যে আশা-ভরসা ছিল সে আশা তো এখন শেষ। এখন যে একটা মানুষ উঠে দাঁড়াবে সেই ক্ষমতাও কারো নেই। সিটি কর্পোরেশন যদি এই ময়লাগুলো নিয়ে আমাদের ব্যবসা করার একটু সুযোগ-সুবিধা দিতো, তাহলে হয়ত আমরা ধার বা ব্যাংক লোন করে আবার ব্যবসা-বাণিজ্য করার চেষ্টা করতে পারব। তাছাড়া আর কিছু করার নেই।
মার্কেটের খ-৪০ ও খ-৮৫ দোকানের মালিক ইয়াসিন বলেন, সিটি কর্পোরেশন যদি টিনগুলো সরিয়ে দেয় তাহলে আমরা ব্যবসা শুরু করতে পারব। আমরা তো অলরেডি মরেই গেছি, আর কী মরব! কিন্তু ক্রেতাদের যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য অন্তত জায়গাটা পরিষ্কার করে ময়লাগুলো নিয়ে যাক।
মুদি দোকানের মালিক আব্দুল লফিত বলেন, বর্তমানে যদি এই মার্কেটের ময়লা পরিষ্কার করে পুড়ে যাওয়া টিনগুলো সরিয়ে দিয়ে এবং এঙ্গেলগুলো যদি সোজা করে দেয়, তাহলে হয়ত আমরা আবার ব্যবসা শুরু করতে পারব। আমাদের আর তেমন কোনো সহযোগিতার দরকার নেই। আমরা নিজেরা দোকানদারি করতে পারব। এখন আমাদের একটাই দাবি এগুলো সরিয়ে দেওয়া হোক।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনকে জানানো হয়েছে। তারা বলেছে যে, আপনার কিছু ধরবেন না আমরা সব পরিষ্কার করে দেব। কিন্তু এই যে তিনদিন হয়ে গেল এখন পর্যন্ত তারা কোনো পরিষ্কারই করেনি। আমরা নিজেরা ময়লা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু টাকা দিয়েও আমরা গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারছি না। আমরা এই মুশকিলের মধ্যে আছি এখন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় আরও একজনসহ গ্রেপ্তার ৬
সাধ্যের বাইরে গিয়ে মা-বাবার চাহিদা পূরণ করা প্রসঙ্গে?
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন
ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান
জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল