সাধারণ মানুষ ভালো নেই
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

অবশেষে কৃষিমন্ত্রী স্বীকার করলেন যে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে কারণে সাধারণ মানুষের জীবন আজ দুর্বিসহ। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজ-রসুনের দাম বেশি, সাধারণ মানুষ ভালো নেই।
প্রতিদিনই আমরা খবর দেখছি পেঁয়াজের দাম বেশি, রসুনের দাম বেশি। বিশেষ করে কম আয়ের মানুষ যারা রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা- তাদের এই পেঁয়াজ, রসুন কিনতে গিয়ে অনেক খরচ করতে হচ্ছে। রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ‘কৃষি বিপ্লব ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক সমিনারে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইডিইবি এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ড. রাজ্জাক বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করা যে কত বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য এটা বলার ভাষা জানা নেই। তারপরও আমরা কিন্তু ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াচ্ছি। গতকালও আমি কয়েকজন মিলারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। মিলাররা খুব খারাপ অবস্থায় আছেন, কারণ তারা চাল কিনেছিলেন, ধান কিনেছিলেন, মনে করেছিলেন অনেক বেশি লাভবান হবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত দাম আরও কমের দিকে। এখন সব মিলার সরকারকে চাল দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাজারে চালের দাম সরকার ঘোষিত দামের চেয়ে আরও কম। আমি নিজেও খাদ্যমন্ত্রী ছিলাম, মিলাররা আমাদের সঙ্গে চুক্তি করেও চাল সরবরাহ করেন না। তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়, বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়। এরপরও তারা চাল দেন না, কারণ বাজারে দাম বেশি থাকে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই প্রতিকূল পরিবেশ কীভাবে মোকাীবলা করা যাবে, এটিই এখন চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তার জন্য বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করতে হবে যে, কোন ফসল বাংলাদেশে ফলানো সম্ভব। সার্বিক উন্নয়নে আমরা একটি বিপ্লব শুরু করবো। কৃষিকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় দেশ খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে।
এসময় বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শক্তিশালী বিরোধীদল চাই। আন্দোলন সংগ্রাম করে সরকারকে হটাতে পারবেন না। গত ১৪ বছরে পারেননি, এক-দেড় মাসেও পারবেন না। জনগণ যে রায় দেবে আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত। তাই বলছি আপনারা নির্বাচনে আসুন। ভুল পথ থেকে বেরিয়ে আসুন।
সমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপ করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এছাড়া ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন বিষয়ক প্রকল্প পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি এবং ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়ার্টার ম্যানেজমেন্টের পরিচালক খন্দকার মুহাম্মদ রাশেদ ইফতেখার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও





আরও পড়ুন

দিল্লিতে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গ্রুপ 'আরসা' ও 'আরএসও' এর সংঘর্ষে নিহত ২

রাজধানীতে মিশরীয় খাদ্য উৎসব, ৬ দিন চলবে

জার্মানির একত্রীকরণ ‘নিখুঁত’ হয়নি ৩৩ বছরেও

ফের শুরু হচ্ছে সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগ

পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু

রাজধানীতে থানায় থানায় জামায়াতের বিক্ষোভ

রাস্তায় যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় নোয়াখালীতে সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যা

বিরামপুরে বরযাত্রীর বাসের সঙ্গে বাইকের সংঘর্ষে এসআইসহ নিহত ২

কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া এদেশের জনগণ আর কোনো নির্বাচন মেনে নিবে না : ড. হেলাল উদ্দিন

ফেনীতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু

বিএনপির পেশাজীবী কনভেনশনে ভিড়

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠকে অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্বারোপ

বগুড়ায় ডিবি হেফাজতে আইনজীবী সহকারীর মৃত্যুতে তোলপাড়

কুবি উপাচার্যের আস্থাভাজন হওয়ায় অধ্যাপক হচ্ছেন বিশেষ বিবেচনায়!

শেওড়াপাড়ায় পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

সিকিমে আকস্মিক বন্যা, ২৩ ভারতীয় সেনা নিখোঁজ

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, বন্দরে ০৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

এ যেন এক অন্য অক্সফোর্ড, প্রকাশ্যে অপরাধ-মানচিত্র

আমাজন নদীতে মড়ক, শতাধিক ডলফিনের দেহ ভেসে উঠায় চিন্তায় প্রাণীবিদরা