রাজপথ কাঁপাবে বিএনপি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
বছরজুড়ে নানান কর্মসূচি পালনের পর অবশেষে বিএনপি এক দফা আদায়ের ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়েছে। সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে একদফা দাবি আদায়ে ১৫ দিনের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় আজ মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। নতুন এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সিলেট, বরিশাল, খুলনা, চট্রগ্রাম বিভাগসহ মোট ৫ বিভাগে রোড মার্চ। পাশাপাশি ৬টি সমাবেশ এবং ২টি কনভেনশন ও আইনজীবীদের কর্মসূচিসহ একটি দোয়া মাহফিল করা হবে এই ১৫ দিনের মধ্যে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন অফিসে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ থাকায় তার বদলে কর্মসূচি ঘোষণা করেন নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে নজরুল ইসলাম খান, বলেন, (১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা জেলা জিনজিরা, কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ হবে। ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ- মৌলভীবাজার-সিলেটে রোডমার্চ। সিলেট বিভাগের রোড মার্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা যোগদান করবেন। ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশুরোগ মুক্তি কামনায় বাদ জুমা সারা দেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-পটুয়াখালীর রোড মার্চ। বরিশাল বিভাগের রোড মার্চে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং জাতীয় শিক্ষা কমিটির সদস্য সেলিমুর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা যোগ দেবেন। ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার ঢাকা মহানগর নয়াবাজার ও ঢাকা জেলা আমিন বাজারের সমাবেশ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার খুলনা বিভাগের রোড মার্চ। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা যোগ দেবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ঢাকা মহানগর গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা জন সমাবেশ। ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঢাকায় মহিলা সমাবেশ। ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকা শ্রমজীবী কনভেনশন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, পহেলা অক্টোবর রোববার ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ রোড মার্চ। ময়মনসিংহ বিভাগের রোড মার্চে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা যোগ দেবেন। ২ অক্টোবর সোমবার ঢাকায় কৃষক সমাবেশ। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই-চট্টগ্রামে রোড মার্চ। চট্টগ্রাম বিভাগের রোড মার্চে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মামুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা যোগ দেবেন।
পাশাপাশি আইনজীবীদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং কর্মসূচিতে আন্দোলনরত সব দল সমর্থন দেবে বলে জানান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সরকার যদি আমাদের দাবি না মেনে এককভাবে নির্বাচন করার চেষ্টা করে তাহলে জনগণ সেটা মেনে নেবে না। সারা দুনিয়া জানে যে, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তারপরও যদি তারা নির্বাচন করে তাহলে শুধু জনগণ বা আমরা নয়; গোটা দুনিয়া বুঝবে সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। এর ফলে পুরো দুনিয়ার সবাই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, অপশক্তিকে দূর করার জন্য বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক উপায় বিশ্বাস করি। আর আমাদের পন্থাটি শান্তিপূর্ণ। আর তা সরকার মানবে কি মানবে না এটা সরকারের বিষয়। পুরো বিশ্বের কাছে সরকারের নৈতিক পরাজয় ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তবে আমাদের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছি যেখানে মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সরকার টিকে থাকতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার কিছু হলে এক দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারকে নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে বেশি যে ভূমিকা রেখেছেন তিনি হলেন বেগম খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে আপনারা খবর পেয়েছেন, তিনি ক্রিটিক্যাল অবস্থায় সিসিইউতে ভর্তি। গত রোববারের তুলনায় সোমবার কিছুটা ভালো আছেন। তবে মেডিকেল বোর্ড বলছে, তার চিকিৎসার জন্য অ্যাডভান্স হাসপাতালের প্রয়োজন আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন হাসপাতাল নেই। তাই আমরা বার বার বলছি, সরকার যেন বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আমরা যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি এতে সমমানের দলগুলোর অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে তারা অংশ নেবেন। আর কখন আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেবে সেটা রাস্তায় বলে দেবে। জনগণের স্বার্থের বাইরে গেলে কোনো সরকারি টিকে থাকতে পারে না। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। ##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক