রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে আসছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৬ এএম
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে থেকে তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো তেমন অগ্রগতি নেই।
বরং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিদিন অবনতি হচ্ছে। মাদক ও অস্ত্রের চোরাচালান, অপহরণ এবং চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে আরসাসহ অন্তত ১১টি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায়ই খুনের ঘটনা ঘটছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের (ইউএনডিএসএস) সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকা বাংলাদেশে আসছেন।
গত সোমবার এক কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফরের সময় কক্সবাজার সফরে যাবেন। তিনি সেখানে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি শিবিরের পরিস্থিতি দেখভালের সঙ্গে যুক্ত জাতিসংঘের কর্মী এবং মানবিক সহায়তায় যুক্ত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ সময় তিনি সেখানকার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন, সেটা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করবেন।
জানা গেছে, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকা রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের পাশাপাশি ঢাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে কক্সবাজারের শিবিরের নিরাপত্তা বেশ কিছুদিন ধরে ক্রমেই অবনতির দিকে রয়েছে। রোহিঙ্গাদের দেখভালের বিষয়ে গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কক্সবাজারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের কোনো প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফরে আসেননি।
এ দিকে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের সফরটি কৌতুহলোদ্দীপক। কারণ, পশ্চিমা দেশ এবং জাতিসংঘ ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করে আসছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের নানা উদ্যোগের পরও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের অবনতিশীল পরিস্থিতি ঠেকানো যাচ্ছে না। শিবিরে সক্রিয় পরস্পর বিবদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা), আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনসহ (আরএসও) আরো অন্তত ১১টি সশস্ত্র গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রতিনিয়ত সংঘাতে যুক্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ছয় বছরে শিবিরে অন্তত বিবদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে প্রায় ১৭৬ জন খুন হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি ইয়াবা এবং আইসের মতো মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এপিবিএন, বিজিবি, র্যাব, জেলা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে যৌথ অভিযানও পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭
রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ
ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা
উপদেষ্টা হাসান আরিফকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন
ডলার বাজারে অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৯ টাকা
উত্তরার বিপ্লবী জনতাকে যে কঠিন মূল্য দিতে হয়েছিল
পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষকর্মী নিতে আগ্রহী লিবিয়া
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের
দক্ষিণ কোরিয়ার সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে বিপদের ফাঁদে পর্যটকরা
ঢাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ
হিরো নয় কারিনার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি
রাওয়ার নেতৃত্বে আবদুল হক ও ইরশাদ সাঈদ
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ কিশোর নিহত
গাজীপুরে কারখানা থেকে দগ্ধ আরও এক লাশ উদ্ধার
সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান