চট্টগ্রামে সেই ওসি মিজানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৬ পিএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
চট্টগ্রামে ২০১১ সালে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন এবং ধর্ষণচেষ্টার দায়ে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে। যিনি চট্টগ্রামে ওসি মিজান হিসাবে পরিচিত ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
আদালতের বিশেষ পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০ এর ৭ ধারায় আসামি সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদ-ের সাজা দেয়া হয়েছে। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই আইনের ৯(৪) ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদ-, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাস সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়েছে। উভয় সাজা একসাথে কার্যকর হবে এবং ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি) অনুসারে আসামির হাজতবাস সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে বলে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মিজানুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর একটি বেসরকারি কলেজের এক ছাত্রী ও তার এক ছেলেবন্ধু নগরীর ফয়’স লেকে বেড়াতে গেলে পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর তাদের জোর করে গাড়িতে তুলে নগরীর চকবাজার এলাকায় ‘আল আকাবা’ হোটেলে নিয়ে যান। সেই রাতে দু’জনকে হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে রেখে ছাত্রীটিকে মিজানুর ধর্ষণের চেষ্টা চালান বলে মামলায় অভিযোগ। সেসময় ওই ছাত্রী হোটেল কক্ষের বাথরুমে আশ্রয় নেন এবং জানালার কাঁচ দিয়ে নিজের হাত কেটে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন।
ঘটনার সময় মিজানুর একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে পাঁচ দিনের ছুটিতে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় দায়িত্ব পালনের আগে মিজানুর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় কর্মরত ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে ওই হোটেলে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠে। ঘটনার পরে মিজানুরকে বরখাস্ত করা হয়। পরে ওই বছরের ১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। এর আগে এ ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিন মাস পলাতক থাকা ওসি মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
২০১২ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্টের আদেশে তিনি জামিনে মুক্তি পান। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল জামিন বাতিল করে আসামি মিজানুর রহমানকে কারগারে পাঠান আদালত। এই মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভারতের সাথে চুক্তি সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর
খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড বিচার নিশ্চিত করতে হবে-বাংলাদেশ ইসলামী দল
উগ্রবাদী সাদপন্থীদের বিচার নিশ্চিতকরণ এবং কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি
কালিয়াকৈর নিট এশিয়ায় টেক্সটাইলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাইং কারখানায় আগুন
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন
একনেকে দুই হাজার কোটি টাকায় ১০ প্রকল্প অনুমোদন
মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হামলা হুথিদের, যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্রসহ মাদক উদ্ধার
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতি নিয়ে জাতীয় সেমিনার
লোহাগড়ায় কাঠ বোঝাই নসিমন উল্টে হেলপার নিহত
বাসার আল-আসাদ ও আসমা’র ডিভোর্সের সংবাদ প্রত্যাখ্যান রাশিয়ার
রাজশাহীতে সড়ক দূর্ঘটনায় মহানগরী জামায়াতের আমিরসহ আহত ৩
সাধারণ ক্ষমার বিনিময়ে দোষ স্বীকার করছেন আসাদের সৈন্যরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদুৎস্পর্শে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজশাহীতে ছাত্রীনিবাসে নি¤œমানের খাবার, গভীর রাতে রাস্তায় নেমে ছাত্রীদের বিক্ষোভ
কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত
টিকটক-এ ৭ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ওয়েব সিরিজ ‘প্রেমের বিকাশ’
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নগরীর যানজট নিরসন করা হবে: বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ