সিঙ্গাপুরে অন্য সম্পদসহ আরো সোনার বার, ঘড়ি উদ্ধার
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ পিএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় মানি লন্ডারিং মামলায় জব্দ সম্পদের মোট মূল্য ২.৪ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার (১৯ হাজার ৩২৮ কোটি বাংলাদেশি টাকা মাত্র)-এ দাঁড়িয়েছে। গত বুধবার স্থানীয় পুলিশ একথা জানিয়েছে। সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৭ কোটি ৬০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলারের বেশি নগদ অর্থ, ৬৮টি সোনার বার, ৩ কোটি ৮০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলারের বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি, ১১০টির বেশি সম্পত্তি এবং ১২ লাখের বেশি সিঙ্গাপুরি ডলার মূল্যের ৬২টি গাড়ি। পুলিশ গত বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, স্ক্যাম এবং অনলাইন জুয়াসহ তাদের সংগঠিত অপরাধমূলক কর্মকা-ের অর্থ পাচারে জড়িত বলে সন্দেহ করা একদল বিদেশি নাগরিক এর সাথে সম্পৃক্ত। তাদের বিরুদ্ধে আরো অভিযান চলছে।
সর্বশেষ পদক্ষেপটি গত মাসে শহর-রাজ্য জুড়ে একাধিক অন্যান্য অভিযানের পর দেখা গেছে। ওসব অভিযানে সম্পত্তি, যানবাহন, বিলাসবহুল পণ্য এবং ১ বিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলার (৭৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার) মূল্যের সোনার বার জব্দ বা ফ্রিজ করা হয়েছে। সাইপ্রাস, তুরস্ক, চীন, কম্বোডিয়া এবং ভানুয়াতুর নয়জন পুরুষ ও একজন নারীকে আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলাটি সিঙ্গাপুরের নিম্ন অপরাধ এবং ক্লিন ইমেজের জন্য পরিচিত একটি আর্থিক কেন্দ্র হিসাবে তার অবস্থার ওপর ছায়া ফেলেছে। পুলিশ বুধবার জানিয়েছে, সর্বশেষ অভিযানে অতিরিক্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত বা হিমায়িত করা হয়েছে, যার মোট অনুমান ২.৪ বিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলার (১৯ হাজার ২১৮ কোটি ৪৬ লাখ বাংলাদেশি টাকা মাত্র) হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মোট আনুমানিক মূল্য ১.১২৭ বিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলার মূল্যের ব্যাংক একাউন্ট এবং নগদ ৭ কোটি ৬০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলারের বেশি।
পুলিশ ৬৮টি সোনার বার, ২৯৪টি বিলাসবহুল ব্যাগ, ১৬৪টি বিলাসবহুল ঘড়ি, ৫৪৬টি গয়না, ২০৪টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং ৩ কোটি ৮০ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি জব্দ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ১১০টিরও বেশি সম্পত্তি এবং ৬২টি গাড়ির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করা হয়েছে যার মোট আনুমানিক মূল্য ১২৪ কোটি সিঙ্গাপুরি ডলার, সেইসাথে মদের বোতল, ওয়াইন এবং একাধিক অলঙ্কার। বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, ‘তদন্ত চলমান’।
সিঙ্গাপুরের মনিটারি অথরিটি বুধবার বলেছে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সন্দেহজনক তহবিল প্রবাহ, সম্পদ বা তহবিলের উৎেসর সন্দেহজনক ডকুমেন্টেশন এবং তাদের দেয়া তথ্যে অসঙ্গতি বা ফাঁকি দেয়ার মতো সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে, এটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে যেগুলো প্রয়োজনীয়তা লঙ্ঘন করে বা অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ রাখে।
গত মাসে, ৪০০ জন পুলিশ অফিসার সিঙ্গাপুর জুড়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছিল এবং ১০ জন বিদেশিকে মানি লন্ডারিংবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ বলেছে, ১০ জন সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ‘তাদের বিদেশি সংগঠিত অপরাধমূলক কর্মকা-ের অর্থ কেলেঙ্কারি এবং অনলাইন জুয়াসহ অর্থ পাচার করছে’। সূত্র : এপি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক