ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
ডলার সংকটে বকেয়া পরিশোধ করা যাচ্ছে না জ্বালানি মন্ত্রণালয় নীরব, এলএনজি আমদানি ফান্ডে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

বিপিসিকে তেল দিচ্ছে না বিদেশি কোম্পানি

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৯ পিএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম

মাসে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টন পরিশোধিত এবং এক লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে বিপিসি। তা রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানি করে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও এলসি খুলতে অনীহা প্রকাশ করছে। অন্তত ৩০ দিন আগে তেল সরবরাহকারী সব প্রতিষ্ঠানে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। প্রতি মাসে তেলের সম্ভাব্য চাহিদা অনুযায়ী আমদানি সূচি নির্ধারণ করে থাকে বিপিসি। সেই অনুযায়ী চলতি মাসের বাকি সময়ে বিএসপির ৫০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল সরবরাহের কথা রয়েছে। আগামী অক্টোবরের প্রস্তাবিত আমদানি সূচি অনুযায়ী, দুই দফায় প্রতিষ্ঠানটি ৮০ হাজার টন তেল সরবরাহ করার কথা। অক্টোবরে ভিটল পাঁচটি পার্সেলে সরবরাহ করার কথা ১ লাখ ১৫ হাজার টন ডিজেল ও ৩৫ হাজার টন জেড ফুয়েল। ডলার সংকটে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ডলারের কারণে বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় চুক্তি অনুযায়ী তেল দিতে রাজি হচ্ছে না বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ইনকিলাবকে বলেন, পেট্রোবাংলা আইটিএফসি থেকে ঋণ নিতে চেয়েছে। এরপর জ্বালানি বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিপিসির দেনা দাঁড়িয়েছে ৪০৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার। প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে যা ৪ হাজার ৪৮১ কোটি টাকার বেশি। এদিকে ডলারের জোগান নিশ্চিত করতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে বিপিসি। ডলার সংগ্রহ না হলে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহ ব্যাহত হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। গত সোমবার বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ স্বাক্ষরিত জরুরি চিঠি জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তেল আমদানির বিপরীতে বকেয়ার চিত্র পাঠানো হয়। ডলার সংকটের কারণে আমদানি জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে করতে দেরি হচ্ছে। ডলার সংকটের কারণে দিন দিন বকেয়ার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল আমদানি ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জ্বালানি বিভাগ। গত বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দেওয়া এক প্রতিবেদনেও এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করা হয়। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডলারের বিষয় কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি জ্বালানি বিভাগ বলে জানা গেছে।

অপর দিকে তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশনকে (পেট্রোবাংলা) ঋণ দিতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)-র নেতৃত্বাধীন ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সিন্ডিকেট তহবিলে ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ ঋণ দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে পেট্রোবাংলা।

জ্বালানি তেল আমদানি করতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) গত ১৫ বছর ধরে ঋণ নিচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্যও আইটিএফসি থেকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের চুক্তি করেছে বিপিসি। ইতিমধ্যে বিপিসি আইটিএফসি থেকে চলতি অর্থবছরের এই অর্থও নিয়েছে, যা দিয়ে বিপিসি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করছে। বিপিসির ঋণেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কো-ফাইন্যান্স রয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) থেকে জ্বালানি বিভাগে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ডলারের অভাবে বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় চুক্তি অনুযায়ী তেল দিতে রাজি হচ্ছে না বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বকেয়া পরিশোধ ছাড়া তারা তেল দেবে না। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিপিসির দেনা দাঁড়িয়েছে ৪০৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার! প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে যা ৪ হাজার ৪৮১ কোটি টাকার বেশি। এদিকে সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া প্রতিবেদনে জ্বালানি বিভাগ বলে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপিসির আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ডলার সংকটে জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে ১০ থেকে ৫০ দিন পর্যন্ত দেরি হচ্ছে। এতে বাড়ছে বকেয়ার পরিমাণ। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি আমদানি ব্যাহত হতে পারে। বেসরকারি কিছু ব্যাংক দুই বছর ধরে ঋণপত্র (এলসি) খুলছে না উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপিসি শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানি করছে। মাসে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টন পরিশোধিত এবং এক লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে বিপিসি। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও এলসি খুলতে অনীহা প্রকাশ করছে। বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন। পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১ টাকা বাড়ালে বছরে ভর্তুকি কমবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের স্বল্পতা, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও কয়লার মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং রেন্টাল থেকে ক্রয়-বিক্রয়ের পার্থক্য বাবদ চলতি অর্থবছরে ৩৫ হাজার থেকে ৩৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। তবে গ্যাস উত্তোলন দিনে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়লে ঘাটতি কমবে ৬ হাজার কোটি টাকা।

বিপিসির পরিচালক (অর্থ) কাজী মুহাম্মদ মুজাম্মেল হক ইনকিলাবকে বলেন, ডলার সংকটে বিপিসির বকেয়া দিন দিন বাড়ছে। বিপিসির অর্থ সংকট নেই। আর তেলের দাম পরিশোধ করতে হয় ডলারে। তাই ডলারের জোগান চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিপিসির চিঠিতে বলা হয়, ডলার সংকটে বিপিসির বকেয়া দিন দিন বাড়ছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেনা দাঁড়িয়েছে ৪০৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভিটল ও বিএসপি তাদের পাওনা পরিশোধে অনুরোধ জানিয়ে বিপিসিকে চিঠি দিয়েছে। ভিটল ও বিএসপি সেপ্টেম্বরের বাকি সময় ও অক্টোবরে যদি কার্গো সরবরাহ না করে, তাহলে নিরবচ্ছিন্ন তেল সরবরাহ সম্ভব হবে না। বিপিসির একটি সূত্র জানায়, ভিটলের চিঠিতে বলা হয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিপিসির কাছে তাদের পাওনা ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ৪৬ হাজার মার্কিন ডলার। এই বকেয়ার কারণে বিপিসি থেকে ইস্যু করা এলসি তারা নিশ্চিত করবে না। জটিলতা এড়াতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ধাপে ধাপে হলেও ১১ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ডলার পরিশোধের অনুরোধ জানায় সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান ভিটল। বকেয়া পরিশোধ না হলে ‘বিলম্বজনিত সুদ’ আরোপ করার কথাও চিঠিতে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি অক্টোবরের জন্য বিপিসির চাওয়া সব কার্গো বাতিল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। আর ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠান বিএসপি তাদের চিঠিতে উল্লেখ করে, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিপিসির কাছে তাদের পাওনা ৭ কোটি ১ লাখ ২৭ হাজার মার্কিন ডলার। এই বকেয়া ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ধাপে ধাপে পরিশোধের করতে বলে তারা। অন্যথায় সেপ্টেম্বরের বাকি সব কার্গো বাতিল হবে বলে জানায়। প্রতি মাসে তেলের সম্ভাব্য চাহিদা অনুযায়ী আমদানি সূচি নির্ধারণ করে বিপিসি।

সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া প্রতিবেদনে জ্বালানি বিভাগ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপিসির আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ডলার সংকটে জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে ১০ থেকে ৫০ দিন পর্যন্ত দেরি হচ্ছে। এতে বাড়ছে বকেয়ার পরিমাণ। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি আমদানি ব্যাহত হতে পারে। বেসরকারি কিছু ব্যাংক দুই বছর ধরে ঋণপত্র (এলসি) খুলছে না। বিপিসি শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানি করছে। মাসে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টন পরিশোধিত এবং এক লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে বিপিসি। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও এলসি খুলতে অনীহা প্রকাশ করছে।

অন্যদিকে সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন। পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১ টাকা বাড়ালে বছরে ভর্তুকি কমবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের স্বল্পতা, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও কয়লার মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং রেন্টাল থেকে ক্রয়-বিক্রয়ের পার্থক্য বাবদ চলতি অর্থবছরে ৩৫ হাজার থেকে ৩৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। তবে গ্যাস উত্তোলন দিনে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়লে ঘাটতি কমবে ৬ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশনকে (পেট্রোবাংলা) ঋণ দিতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)-র নেতৃত্বাধীন ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সিন্ডিকেট তহবিলে ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পেট্রোবাংলা এই ঋণ দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে। পেট্রোবাংলার এই ঋণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার মজুদও কিছুটা কমবে। কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বিপিএম৬ পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে এ ধরনের ঋণ বা বিনিয়োগে অর্থায়ন করা অংশ বাদ দেওয়া হয়। গত বুধবার চিঠি দিয়ে আইটিএফসিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কো-ফাইন্যান্স করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জ্বালানি বিভাগ। এলএনজি আমদানির জন্য পেট্রোবাংলার এটিই প্রথম ঋণ নেওয়া। ৬ মাস মেয়াদে পেট্রোবাংলা এই ঋণ নিচ্ছে। এর সুদ হার হবে এসওএফআর রেটের সাথে ২%। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ সেপ্টেম্বর সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট ছিল ৫.৩১%। আইটিএফসি নিজস্ব তহবিল থেকে এই অর্থ পেট্রোবাংলাকে দিচ্ছে না। একটি সিন্ডিকেট ফাইন্যান্সিংয়ের আওতায় কো-ফাইন্যান্স ব্যবস্থায় এ অর্থায়ন করা হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে অংশ নিচ্ছে। গত ২৩ জুলাই অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার আইটিএফসি থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব করেন। যদিও ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা এই ঋণ না নেওয়ার পক্ষে মতামত দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কো-ফাইন্যান্স ছাড়া আইটিএফসি ঋণ দিতে রাজি হয়নি। আইটিএফসি সবসময় কো-ফাইন্যান্স ভিত্তিতে অর্থায়ন করে থাকে। যে দেশের প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া হয়, সেই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়া ঋণের তহবিল গঠন করা হয় না। এরপর জ্বালানি বিভাগসহ সরকারের এ সংক্রান্ত নীতিনির্ধারকরা বাংলাদেশ ব্যাংককে কো-ফাইন্যান্স করার সুপারিশ করে। বিভিন্ন পর্যালোচনা শেষে দুই মাস পরে ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের ২০% কো-ফাইন্যান্স করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এখন আইটিএফসির সাথে পেট্রোবাংলার একটি চুক্তি হবে। চুক্তির পর অর্থ ছাড় হবে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান