ঢাকা   শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
রেকর্ড জনশক্তি রফতানি হলেও প্রবাসী আয় কমছে

হুন্ডিই খাচ্ছে রেমিট্যান্স

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

বিদেশে শ্রমিক বা জনশক্তি রফতানিতে প্রতিদিনই নতুন মাইলফলক অতিক্রম করছে। দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি। বিদেশে শ্রমিক যাওয়া বাড়লেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসা ধারাবাহিক কমছে। হঠাৎ করেই গত আগস্টে রেমিট্যান্সের গতি তুলনামূলক কমে যায়। ওই মাসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় আসে দেশে। ধারাবাহিকভাবে সেপ্টেম্বরেও প্রবাসী আয় এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এটি গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। রেমিট্যান্স এভাবে কমে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গত দুই বছরে কাজের জন্য দেশের বাইরে গেছেন ২০ লাখ কর্মী। সে হিসেবে রেমিট্যান্স তো রেকর্ড পরিমাণে দেশে আসার কথা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যখন হুন্ডির চাহিদা বাড়ে, তখন রেমিট্যান্স কমে যায়। অর্থাৎ অবৈধ হুন্ডি খেয়ে ফেলছে বৈদেশিক রেমিট্যান্স। একই সঙ্গে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচারও হচ্ছে। কেন হুন্ডি বাড়ছে এই বিষয়টিকে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলা বাজারে ডলারের দাম বেশি হওয়াকেই দায়ি করছেন ব্যাংকাররা। এছাড়া বিদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের অর্থ পাঠাতে ব্যাংক হিসাব পরিচালনায়ও অর্থ খরচ হচ্ছে। এতে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ এখনও সর্বোচ্চ পৌঁছেছে। যে কারণে রেমিট্যান্সের একটি অংশ সার্ভিস চার্জ হিসাবে চলে যাচ্ছে। তাই বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন প্রবাসীরা।

জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড ১১ দশমিক ৩৭ লাখ কর্মী (জনশক্তি) বিদেশে রফতানি করেছে বাংলাদেশ; দেশের ইতিহাসে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, এই সংখ্যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪০ শতাংশ বেশি ছিল। চলতি বছরের আগস্টে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৫ জন শ্রমিক বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন, যা মাসের হিসাবে ছিল সর্বোচ্চ। অর্থাৎ এর আগে কখনো এক মাসে এতো বেশি শ্রমিক দেশের বাইরে যায়নি। সব মিলিয়ে গত আট মাসে বাংলাদেশ ৮ লাখ ৮২ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠিয়েছে। তাদের মধ্যে, সউদী আরবে পাড়ি দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি কর্মী, যা মোট সংখ্যার ৩৫ শতাংশ। এর পরে রয়েছে মালয়েশিয়া (৩০ শতাংশ), ওমান (১১ শতাংশ), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৮ শতাংশ), সিঙ্গাপুর (৪ শতাংশ), কুয়েত (৩ শতাংশ) এবং কাতার (৩ শতাংশ)। তবে জনশক্তি রফতানিতে এই মাইলফলক অর্জন সত্ত্বেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং ব্যাংকাররা এই অসঙ্গতির দুটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। প্রথমত, অনানুষ্ঠানিক হুন্ডি অপারেটর; তারা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের বিপরীতে উচ্চ বিনিময় হার প্রদান করে প্রবাসীদের আকৃষ্ট করছেন। দ্বিতীয়ত, বিপুলসংখ্যক অদক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠানোর ফলে সামগ্রিক রেমিট্যান্সের পরিমাণে প্রভাব পড়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা করছেন তারা। তবে কারণ যেটিই হোক, পরিস্থিতি এখন উদ্বেগজনক; কারণ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি গত দুই বছরে টাকার মান কমেছে ৩০ শতাংশ। সাধারণত ডলার সঙ্কট ও বাজার স্থিতিশীলতার জন্য রফতানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলো। এখন প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা দাম দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকা। এই সমস্যা সমাধানে ব্যাংকারদের পরামর্শ হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বর্তমান নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি হারে ডলার কেনার অনুমতি দেয়া। একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সিইও জানান, বর্তমানে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের জন্য ১১০ দশমিক ৫০ টাকা পর্যন্ত দেয়ার অনুমতি রয়েছে ব্যাংকগুলোর। সঙ্গে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। যেখানে হুন্ডি অপারেটররা ডলারপ্রতি ১১৮ টাকার বেশি প্রদান করছেন। এর ফলে অনানুষ্ঠানিক হুন্ডির মাধ্যমেই টাকা পাঠানোর দিকে বেশি ঝুঁকছেন প্রবাসীরা।

অব্যাহতভাবে কমছে রেমিট্যান্স
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৯১ কোটি ৬১ লাখ ডলারÑ যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে বৈধ পথে ও ব্যাংকের মাধ্যমে মাত্র ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রবাসী আয়ের এ অঙ্ক গত ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে এর চেয়ে কম ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। গত মাসের রেমিট্যান্সের এই অঙ্ক আগের বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১৯ কোটি ৫৯ লাখ বা ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ কম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এছাড়া গত আগস্টের তুলনায়ও সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় কমেছে ২৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা প্রায় ১৬ শতাংশ। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থ পাচার এবং ব্যাংকিং চ্যানেল ও খোলা বাজারে ডলারের দামের ব্যবধানের কারণেই কমছে রেমিট্যান্স। আর রেমিট্যান্স কমায় কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূলত অর্থ পাচারের কারণেই প্রবাসী আয় কমেছে। দেশ থেকে অর্থ পাচার বেড়েছে। তারা কিন্তু ১১৮ টাকা দিয়েই পাচার করছেন। হুন্ডির মাধ্যমে এই অর্থ পাচার হচ্ছে। যখন হুন্ডির চাহিদা বাড়ে, তখন রেমিট্যান্স কমে যায়। এটিই স্বাভাবিক। নির্বাচন সামনে রেখে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং অবৈধভাবে টাকা উপার্জনকারীরা এই পদ্ধতিতে টাকা পাচার করছেন। পাচার বেড়েছে বলেই রেমিট্যান্স কমে গেছে। নির্বাচনের আগে এবং পরে বেশকিছুটা সময় এই অবস্থা বজায় থাকবে। এছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলা বাজারে ডলারের দাম বেশি। এই কারণেও প্রবাসী আয় কিছুটা কমেছে বলে তিনি মনে করেন।

প্রণোদনায়ও থামছে না হুন্ডি
প্রবাসী আয়ের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। তারপরেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসার হার কমছে। খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকিং খাত এবং খোলা বাজারে ডলারের লেনদেনে বড় পার্থক্য তৈরি হওয়ার কারণেই আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে প্রবাসী আয় আসা কমে গেছে। ফলে বৈধ চ্যানেলে না এসে সেটা হুন্ডির কবলে পড়ে যাচ্ছে। ডলারের অভিন্ন বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করার জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের বিনিময় হার বেধে দিতে শুরু করে মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফর এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকার্সদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এই দুটি সংগঠন যৌথভাবে ডলারের দর বেধে দেয়। সব ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই দরে লেনদেন করতে বাধ্য, না হলে জরিমানার মুখোমুখি হবে। এতে দেশের বাজারে আমদানির ক্ষেত্রে অভিন্ন ডলার পাওয়া গেলেও বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার প্রবণতা কমতে শুরু করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসলে ডলার প্রতি পাওয়া যাচ্ছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। তার সঙ্গে প্রণোদনার দুই শতাংশ যোগ করে বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ১১৩ টাকা। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে বা খোলা বাজারে (কার্ব মার্কেটে) ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৮ টাকা দরে। ফলে যারা আগে বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করে টাকা পাঠাতেন, এমন অনেকে এখন হুন্ডির পথ বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খোলা বাজারেও ডলারের দাম বেড়েছে। মালয়েশিয়ার এ রকম একজন বাসিন্দা আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি মাসেই দেশে টাকা পাঠাতে হয়। আগে তো ব্যাংকের মাধ্যমেই পাঠাতাম। কিন্তু এখন বাইরে থেকে পাঠালে চার-পাঁচ হাজার টাকা বেশি লাভ হয়। তাই এভাবে পাঠানো শুরু করেছি। তিনি জানান, কুয়ালালামপুরে বেশকিছু দোকান রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝুলানো থাকে। সেখানে গিয়ে টাকা জমা দিলে বাংলাদেশের স্বজনদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথবা সরাসরি টাকা পৌঁছে দেয়া হয়। ব্যাংকিং রেটের চেয়ে এভাবে পাঠালে টাকাও বেশি পাওয়া যায়। এভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা লেনদেন বেআইনি হলেও প্রবাসী অনেকের সেই সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। বাংলাদেশেও হুন্ডি ব্যবহার করে দেশে টাকা আনা বা দেশের বাইরে অর্থ পাচারের অনেক অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাঝে মাঝে এর সাথে জড়িতরা গ্রেফতার হলেও বেশিরভাগই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

 

হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচারও বেড়েছে
দেশ থেকে অর্থ পাচারের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে ‘ডিজিটাল হুন্ডি’। সুরক্ষিত মোবাইল অ্যাপে যোগাযোগ এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবা (এমএফএস) ব্যবহার করে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে দেশে প্রাপকের কাছে টাকা পৌঁছানো হচ্ছে। এতে প্রবাসীর স্বজন টাকা পাচ্ছেন ঠিকই, তবে হুন্ডি কারবারিদের কারসাজিতে বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে দেশ। লোভনীয় কমিশনের বিনিময়ে কিছু এমএফএস এজেন্ট অনৈতিক এ কাজে সহায়তা করছেন। সম্প্রতি অনলাইন জুয়া ও হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ হাজার ৭২৫টি মোবাইল হিসাব (মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস-এমএফএস) বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউ সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসব হিসাবের বেশিরভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের। ভবিষ্যতে এ ধরনের লেনদেনে জড়িত না হতে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কও করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। বিএফআইইউ ২১টি মানি চেঞ্জার এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে পাঠিয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাস সভাপতিত্ব করেন। সভায় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ গ্রহণ করে বা নন-ফান্ডেড সুবিধাকে ফান্ডেড সুবিধায় রূপান্তর ও ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং, গেমিং, বেটিং, ডিজিটাল হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্লাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সমসাময়িক ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ওয়েজ আর্নারগণ যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠান সে বিষয়ে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সচেতনতা বাড়ানোরও তাগিদ দেন। বিএফআইইউ’র প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, দুষ্কৃতকারী ও অর্থ পাচারকারীরা যাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। বিএফআইইউ আর্থিক অপরাধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের পরিপালন ব্যবস্থায় দুর্বলতা পরিলক্ষিত হবে, তাদের বিষয়েই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, যারা অর্থ পাচার করেন তাদের পাচারটাই মূল টার্গেট। তাদের কাছে মুদ্রার বিনিময় হার বিষয় নয়। আমার মনে হয়, নির্বাচনের আগে টাকা পাচার বেড়ে গেছে। এটা আরো বাড়তে পারে। তারা প্রবাসী ভাই-বোনদের আয় উচ্চ রেটে দেশের বাইরে কিনে নিচ্ছেন। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় কমছে। সরকার চাইলে এই যে পাচারকারী, হুন্ডিচক্র তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পারে। এটা কোনো কঠিন ব্যাপার নয়।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা
ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে
জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা
টাকা খেয়ে আ.লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ভারতের মিডিয়া : সারজিস
আরও

আরও পড়ুন

অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু

অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু

বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার

বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার

নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত

নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত

কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০

রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার

রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার

উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের

উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা

সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে

ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন

দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন

কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা

জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক

সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা

সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ

ইউক্রেনে আহত উত্তর কোরীয় এক সেনা আটক

ইউক্রেনে আহত উত্তর কোরীয় এক সেনা আটক

টাকা খেয়ে আ.লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ভারতের মিডিয়া : সারজিস

টাকা খেয়ে আ.লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ভারতের মিডিয়া : সারজিস

বাংলাদেশের সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র : জাতীয় নাগরিক কমিটি

বাংলাদেশের সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র : জাতীয় নাগরিক কমিটি

সিরিয়ার সাবেক বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন

সিরিয়ার সাবেক বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন