ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

দন্ডায়মান এক নোবেলজয়ী

Daily Inqilab সাঈদ আহমেদ

০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম

অপরাধ করিনি, শঙ্কিত হব কেন
হাজির হতে বলা হয়েছিল বেলা ১২ টায়। দেশের হোমরা-চোমরা কেউ হলে হয়তো সময় নিতেন। নানা অজুহাতে দিতেন টাইম প্রেয়ার। কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতেন লিখিত বক্তব্য। সরকারদলীয় কেউকেটা হলে হয়তো খোদ দুদক কর্মকর্তাকেই ডেকে নিতেন দফতরে। যা বলতেন সেটাই লিখে আনতেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে সেটি নথিতে যুক্ত থাকত ‘আসামির বক্তব্য’ হিসেবে। কিন্তু না। এর কোনোটিই ঘটল না। ঘড়ির কাঁটা ৯টা ৩৭ মিনিট ছুঁই ছুঁই। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)’র দুয়ারে হাজির হলেন গ্রামীণ চেকের ফতুয়া পরা সাদাসিধে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে বিরল সম্মান কুড়িয়ে আনা এই অর্থনীতিবিদ, নোবেল বিজয়ীর সামনে দÐায়মান অফ-হোয়াইট রঙের দুদক ভবন।

একজন নোবেল বিজয়ীর দীপ্ত পদক্ষেপ টের পায়নি সেগুন বাগিচার পথচারীরা। তার ছিল না কোনো প্রটোকল। আশপাশের এলাকায় তাই বাধেনি কোনো ট্রাফিক জ্যাম। বিশ্ববিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুদককের সামনে হাজির হলেন আইনজীবী পরিবেষ্টিত হয়ে। টিভি ক্যামেরাগুলো হয়ে গেলো বিশ্ববাসীর চোখ। তামাম দুনিয়া দেখল, স্বাধীন সার্বভৌম দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র কেমন করে একজন নোবেল বিজয়ীকে সম্মান(?) দেয়! লক্ষ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুট হয়ে যাওয়ার হদিস যে দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র করে না, সে দেশে একজন নোবেল বিজয়ীকে হাজির করা হয়েছে মাত্র ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ’ ও ‘পাচার’র মামলায়। এখানেই যেন নিরঅহঙ্কার ও বিনয়ের পদতলে জিঘাংসা ও দম্ভের নতি স্বীকার! সদাহাস্যোজ্জ্বল ইউনূসের অভিব্যক্তিতে মনে হয়নি যে তিনি নিজেকে অসম্মানিত মনে করছেন। বরং হাসির কটাক্ষে উপভোগ করলেন নিজেকে হেয় প্রতিপন্ন করার পুরো চেষ্টা।

ঢাকার-১, সেগুনবাগিচাস্থ দুদক কার্যালয়ে তিনি অবস্থান করেন সকাল ১০টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক পরিচালক মো: বেনজীর আহম্মেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম।

যখন দুদক কার্যালয় ত্যাগ করেন তখন সকাল ১১টা। সংবাদকর্মীরা প্রশ্নবাণ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি। ধীর-স্থির অবিচল ইউনূস এসব এড়িয়ে যান স্বভাবসুলভ কৌশলে। তার কাছ থেকে জানতে চাওযা হয়, দুদকের মামলা, তলব, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শঙ্কিত কি না। স্বল্প কথায় জানিয়ে দেন অনেক কথা। ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো, এটি লিগ্যাল বিষয়। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি। অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটি আইনি বিষয়। আমার আইনজীবী শান্তভাবে বুঝিয়ে দেবেন। সাংবাদিকরা প্রফেসর ইউনূসকে একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে থাকলে তিনি বলেন, ‘আমাকে দিয়ে আর কিছু বলাইয়েন না’।

এভাবে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সংবাদ মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি এড়িয়ে যান। তার পক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুদকে হাজির হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকরা আইনজীবীকে এড়িয়ে অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে বক্তব্য জানতে চান। এ নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসের আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র বাক-বিতন্ডা হয়। পরিস্থিতি বুঝে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার আইনজীবীকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

ব্যরিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং-এর অভিযোগ এনে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী বলেন, গ্রামীণ টেলিকম একটি সামাজিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। যার লক্ষ্য শিল্প কারখানা গড়ে তুলে বেকারত্ব দূর করা। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। তাতে বলা আছে, কেউ কোনো মুনাফা নেবে না। এই মুনাফা উন্নয়নের জন্য একের পর এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ব্যবহার করা হবে।

কোম্পানি আইনের ২৮ ধারার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আইনানুযায়ী যারা সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করবে তাদের কোনো মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। তাই এই গ্রামীণ টেলিকম, কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি সিদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এটি লেবার আইনে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি নয়। এটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কোম্পানি আইনে।

দুদকের এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগ সমুহের ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের নিজস্ব কোনো কার্যক্রম নাই। গ্রামীণ পল্লী ফোন কার্যক্রম, নোকিয়া হ্যান্ডসেটের বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে তারা চলেন। তিন বছরের চুক্তির মাধ্যমে। শ্রমিকদেরও তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। আমাদের পার্মান্যান্ট স্ট্রাকচার (স্থায়ী কাঠামো) নেই। তাই তারা শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল পাওয়ার অধিকারী নয়।

তিনি বলেন, মামলার পর বাধ্য হয়ে আমরা শ্রমিকদের সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি করে তাদেরকে পাঁচ শতাংশ দেয়ার কথা বললাম। চুক্তিতে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হলো। এই সময়ে কোম্পানির বোর্ড মিটিং ডাকা সম্ভব হয়নি। এই চুক্তি হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশনায়। হাইকোর্টের অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়ে। অর্ডারটি ৯ তারিখ প্রকাশ হবে। তাই বাধ্য হয়ে ৮ তারিখে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয় কোনো টাকা জমা দেয়া ছাড়া। এরপর ৯ তারিখ বোর্ডের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং করে সব বলা হয়।

এর আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠায়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক।

অভিযোগগুলো ছিল অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ। এছাড়া কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন দুদক কার্যালয়ের বাইরে তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে।

শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় বুধবার (৪ অক্টোবর) গ্রামীণ টেলিকমের তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। গত ২৭ সেপ্টেম্বর গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জন আসামিকে তলব করে দুদক।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালকসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অন্য সদস্যরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: নাজমুল ইসলাম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভিন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো: শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ২৭ সেপ্টেম্বর এক নোটিশে তলব করা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এজাহারভুক্ত ১৩ জনকে।

যা বলতে চাইছে দুদক :
অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতেই দুদক গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে বলে দাবি করেন দুদক সচিব মো: মাহবুব হোসেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীরা কলকারখানা অধিদফতরে একটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে কলকারখানা অধিদফতর প্রতিবেদন পাঠায় দুদকে।

অভিযোগগুলোর কিছু বিষয় দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় মামলার তদন্ত করেছে দুদক। তদন্তের অংশ হিসেবেই দুদক তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আইনগতভাবে এখানে হয়রানির কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে দুদকের বিরুদ্ধে ওঠা হয়রানির অভিযোগ সঠিক নয়।

মাহবুব হোসনে বলেন, দুদকের সিস্টেম হলো তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য। যেন ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় এজন্য তাদের চিঠি দিয়ে আহŸান জানায়। তাদের সম্পৃক্ততা আছে কি নাই এটা তারা তাদের মতো বলেন। আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করবেন, তদন্তের শেষ পর্যায়ে প্রতিবেদন দেবেন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি কোনোভাবে জানার সুযোগ নেই যে কোন পর্যায়ে আছে।

ড. ইউনূসের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যক্তি ইমেজের প্রভাবে দুদকের তদন্ত প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সংস্থার সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, দুদক কারও ব্যক্তিগত পরিচয় দেখে না। প্রভাবিত করার ও সুযোগ নেই।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে মাহবুব হোসেন বলেন, কাউকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ও গ্রেফতারের জন্য সুনির্দিষ্ট তিনটি বিষয় অনুসরণ করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আত্মগোপন করতে পারেন কিংবা আলামত নষ্ট করতে পারেন অথবা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেন।

প্রসঙ্গত বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত ‘ক্ষুদ্র ঋণ’র প্রবক্তা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পুরস্কার নোবেল লাভ করার পর শাসক মহল থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। বিশেষত পদ্মাসেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার নেপথ্য মানুষ বলে দায়ী করা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রায়ই তাকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ওপর মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা চাপের জন্য দায়ী করা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। সমালোচনার তীক্ষèতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তে থাকে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা। শ্রমিক আইনসহ বিভিন্ন আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এযাবত অন্তত ১৮টি মামলা করা হয়। যার সর্বশেষ সংযোজন দুদকের মামলা। চলতিবছর ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো: শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, গ্রামীণ টেলিকমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো: কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো: মাইনুল ইসলাম। এজাহারে দÐবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) (৩) ধারা প্রয়োগ করা হয়।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক

তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক

শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি

শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি

ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়

ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়

ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট

ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব

এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

দেশে সংস্কার  ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু