সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল ডুবেছে বৃষ্টির পানিতে
০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল অধুষিত সাভার-আশুলিয়া বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, বাজার, স্কুল, বাসাবাড়ি। এমন পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন শিল্পাঞ্চলে বসবাসরত লাখ লাখ মানুষ। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার মধ্যেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
জলাবদ্ধতার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সাভার পৌর এলাকাতেও। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা সাভারের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের সড়কেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীসহ যানবাহনের চালকেরাও। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে পানি জমে যায় প্রায় হাঁটু পর্যন্ত। কখনো কখনো সড়কের পানি দোকানপাটসহ সড়কঘেঁষা বাড়িঘরেও ঢুকে তলিয়ে যায়। কাদাযুক্ত ড্রেনের ময়লা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাস স্ট্যান্ড এলাকার মাসরুম সেন্টারের সামনে, মডেল মসজিদের পূর্ব পাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কলোনী, রেডিকলোনী, গেন্ডা, সোবহানবাগ, রাজাশন, মজিদপুর, ভাগলপুর, বালুঘাট, বনপুকুরসহ পৌরসভার অধিকাংশ মহল্লায় পানি জমে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। আর সড়কে খানাখন্দের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। যে যার মতো পৌর এলাকার জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ তুলে ধরছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
পৌরসভার সিআরপি রোডে গিয়ে দেখা যায়, পুরো সড়কটিতেই হাটু সমান পানি জমে আছে। এতে সড়কটি ধরে চলচলকারীদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে। প্রবণ বর্ষণের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাইল ও ডিইপিজেড এলাকায় কোথাও কোমড় পানি আবার কোথাও হাটু পানি। গণপরিবহন সঙ্কটে অনেকেই এই পানিতেই বাধ্য হয়েই চলাচল করেছেন। মাঝেমধ্যে বিকল হতে দেখা গেছে যানাবাহন, ঘটেছে দুর্ঘটনাও। শুধু সড়কই নয়, জামগড়া, ইউনিক, চিত্রশাইল, শিমুলতলা, নরসিংহপুর, কবিরপুর, ভাদাইল, ও গাজীরচটসহ আশপাশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে।
সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের দিলখুশা সুপার মার্কেটের পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কিছু কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। তাছাড়া সড়কের পাশে ফেলা ময়লা বৃষ্টির কারণে পানিতে ভাষতে থাকে। যা থেকে ছড়িয়ে পরে দূগর্ন্ধ। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি। মজিদপুর এলাকার বাসিন্দা হাজী মোতালেব শিকদার জানায়, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় আমরা পানি বন্দি হয়ে পড়েছি।
সাভার পৌরসভার গেন্ডা টিয়াবাড়ি মহল্লার প্রায় অধিকাংশ বাড়ির ভেতরেই প্রবেশ করেছে ড্রেনের ময়লা পানি। এই এলাকার একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমাদের এলাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই ঘরের ভিতর ময়লা পানি ঢুকে যায়। আগে এদিকে একটা খাল ছিলো বৃষ্টি হলে পানি খালে গিয়ে পরতো। আর এখন খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আবদুল গণি বলেন, সাভারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক ভালো। আমরা ড্রেন পরিষ্কার রাখতে নিয়মিতই কাজ করে যাচ্ছি। এই দু’দিন অতিবৃষ্টির কারণে একটু জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই এসব পানি নেমে যাবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কৃষকের ৫০০ কলাগাছ কেটে দিল যুবলীগ কর্মীরা
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ১০ পরিবহনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
নায়িকার গাড়ির চাপায় শ্রমিক নিহত
দোয়া চাওয়ার ১০ মিনিট পরেই সড়ক দুর্ঘটনায় ইমামের মৃত্যু
চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজের জামাত পড়ার সময় তিন রাকাত না পেলে কেরাত পড়া প্রসঙ্গে।
৩১ ডিসেম্বর কী হতে যাচ্ছে? যা জানা গেল
পটুয়াখালীতে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিল
টোল প্লাজার দুর্ঘটনা সন্তান বেঁচে নেই, এখনও জানেন না বাবা-মা
নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি স্থগিত
শিল্পাচার্য জয়নাল আবদিনের ১১০ তম জন্মবার্ষিকী পালন
এশিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ইরানি ভারোত্তোলকের স্বর্ণ জয়
রহমত ২৩১*, শাহিদি ১৪১*, বুলাওয়েতে ঐতিহাসিক দিন
এইচ এম কামরুজ্জামান খান সারা জীবন আধিপত্যবিরোধী রাজনীতি করে গেছেন
বন্দরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া ধ্বংসের পায়তারা করছে আ.লীগের দোসররা
ময়মনসিংহে আলোচিত ‘বালু খেকো’ আওয়ামী লীগ নেতা জামাল গ্রেপ্তার
বিজয় দিবস রাগবিতে চ্যাম্পিয়ন সেনাবাহিনী
কোরআন শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব- মামুনুল হক
বাংলাদেশে বেড়েই চলেছে খাদ্যপণ্যের দাম : বিশ্বব্যাংক
সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত
একইসময়ে রহস্যময় স্ট্যাটাস দিয়ে কী বুঝাতে চাইলেন আসিফ-হাসনাত!