বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ
১১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
২০২৩ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এসময়ে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ হবে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক বৈঠকে প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ শীর্ষক আইএমএফের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে। তবে ২০২৮ সালে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৭ শতাংশে উন্নীত হবে। গতকাল মঙ্গলবার আইএমএফের এ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকার সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর পূর্বাভাসের বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়ার পাশাপাশি আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২৮ সালে তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামতে পারে। এ ছাড়া চলতি হিসাবে ভারসাম্যে ঘাটতি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। তারা বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিশ্ব অর্থনীতি। যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি বাজার বিঘিœত হয়েছে; সেই সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে নীতি সুদহার অভূতপূর্ব হারে বাড়ানো হয়েছে—এসব কারণে বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি।
আইএমএফ বলেছে, প্রবৃদ্ধি যে সবখানে একই হারে হচ্ছে তা নয়; সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতানৈক্য বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেছে আইএমএফ; দৌড়াচ্ছে না। মূল্যস্ফীতির হার অভূতপূর্ব উচ্চতায় উঠে গেলে গত বছরের শেষ বিশ্ব অর্থনীতির কার্যক্রম সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমে আসে, যদিও মূল্যস্ফীতির হার ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। তবে মহামারি আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই আওতার বাইরে চলে যাচ্ছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও উদীয়মান দেশগুলোয়।
এই পরিস্থিতিতে আইএমএফের পূর্বাভাস, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশে নেমে আসবে; আগের বছরে যা ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে তা ২ দশমিক ৯ শতাংশে নামতে পারে। এটা ঐতিহাসিক গড় মানের চেয়ে কম। তবে চলতি বছর সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হারও কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ; আগের বছরে যা ছিল ৯ দশমিক ২ শতাংশ। সেই সঙ্গে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য ব্যতীত মূল্যস্ফীতির যে হিসাব, সেই মূল্যস্ফীতির হারও কমে আসবে।
এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা হওয়ার সম্ভাবনা কম। অর্থনীতির বিশেষ ক্ষতি না করে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটি উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেকর্ড হারে নীতি সুদহার বাড়ালেও বেকারত্ব তেমন একটা বাড়বে না বলেই পূর্বাভাস। ২০২৫ সালে এই হার সামান্য বেড়ে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। তবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে, উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উন্নত দেশগুলোয় অর্থনীতির গতি আরও কম। আবার উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা বেশ চাঙা হলেও ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতির গতি কম। আবার চীন ব্যতীত অনেক উদীয়মান দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আইএমএফের পূর্বাভাস, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশে নেমে আসবে; আগের বছরে যা ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে তা ২ দশমিক ৯ শতাংশে নামতে পারে। এটা ঐতিহাসিক গড় মানের চেয়ে কম। তবে চলতি বছর সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হারও কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ; আগের বছরে যা ছিল ৯ দশমিক ২ শতাংশ। সেই সঙ্গে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য ব্যতীত মূল্যস্ফীতির যে হিসাব, সেই মূল্যস্ফীতির হারও কমে আসবে। এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা হওয়ার সম্ভাবনা কম। অর্থনীতির বিশেষ ক্ষতি না করে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটি উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেকর্ড হারে নীতি সুদহার বাড়ালেও বেকারত্ব তেমন একটা বাড়বে না বলেই পূর্বাভাস। ২০২৫ সালে এই হার সামান্য বেড়ে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। তবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে, উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উন্নত দেশগুলোয় অর্থনীতির গতি আরও কম। আবার উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা বেশ চাঙা হলেও ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতির গতি কম। আবার চীন ব্যতীত অনেক উদীয়মান দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এক বছরে ১৫০ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ৮৬
ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় বেনাপোল সীমান্তে আটক ৭
মতলব দক্ষিণে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
৫৭৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে রূপালী ব্যাংক
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের জন্য হেলথকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
ঢাবি দাবা প্রতিযোগিতা শুরু
জোকোভিচ-কিরগিওস জুটির বিদায়
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকাভুক্তির সময় বাড়ল
হাসিনার বিরুদ্ধে সিনেমা করে হুমকির মুখে তিশা
ডুয়েটে টেকনিক্যাল সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রতিদিনের বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হলেন মোরছালীন বাবলা
‘লেখাপড়া না করে দেশ শাসন করতে গেলে আ.লীগের মতো ভুল করার আশঙ্কা রয়েছে’
বিরলে অবৈধ সুদ ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বিরলে বুরো বাংলাদেশের আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ
বিরল প্রেস ক্লাবে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
বিরলে পৃথকভাবে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
লামায় অবৈধ ৭টি ইট ভাটায় অভিযান ৭লক্ষ টাকা জরিমানা
২৭ জানুয়ারি পবিত্র শব-ই-মিরাজ
সিলেটে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক কর্মশালা