নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন
১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পূর্বে নির্বাচনী প্রচারণা আচরণ বিধির লঙ্ঘন। আর ধারা- ১৮-তে বলা হয়েছে, বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় নৌকায় ভোট চেয়ে বিধিমাল লঙ্ঘন করেছেন যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম রব বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিল ঘোষণার পূর্বে কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো দল বা ব্যক্তি অংশগ্রহণ করতে পারে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮-এর ধারা ১২তে বলা হয়েছে- ‘কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা উহার কোনো মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্যকোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্যে নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করিতে পারিবেন না।
কিন্তু সরকার প্রধান বেশ কয়েকটি জনসভায় বিশেষ করে গত শনিবার কাওলার সিভিল এভিয়েশন মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বলেছেন- নৌকা মার্কায় ভোট দেন, আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন, আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই আপনারা সবাই কি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন? অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
তিনি বলেন, জনসভায় এবং ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সারাদেশে জনগণের কাছে নির্বাচনী প্রচারের এসব বক্তব্য- নির্বাচন কমিশনের প্রণীত সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ছাড়া বিধিমালার ধারা ১৮-তে বলা হয়েছে-বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ছয়মাসের কারাদ- অথবা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা দ-ে বা উভয় দ-ে দ-িত হইবেন। যদি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করে তাহলে অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদ-ে দ-িত হইবে।
রব বলেন, সরকারি দল তথা সরকার প্রধানের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার নির্বাচন কমিশনের তথাকথিত অঙ্গীকার ফাঁকা বুলির নামান্তর মাত্র। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কী ভূমিকা গ্রহণ করছে, তা জাতি প্রত্যক্ষ করতে চায়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন