ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১
বাড়তি দামে হাঁপিয়ে উঠছেন সব শ্রেণি পেশার মানুষ

পণ্যমূল্যে মধ্যবিত্তের ত্রাহিদশা

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ প্রস্তাব করেছিলেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। দেশ বরেণ্য এই অর্থনীতিবিদ সম্প্রতি এক সেমিনারে বলেছেন, ‘দেশে চাল-ডালের দাম বৃদ্ধি আর বিএমডাব্লিউ’র দাম বৃদ্ধিকে এক করে দেখা যাবে না। বিএমডাব্লিউয়ের দাম নিয়ে মানুষের মাথাব্যার্থা নেই, চাল-ডালের দাম বৃদ্ধিতে যেটা হয়।’ সত্যিই চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, লবণ, সজজিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের কারণে গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। তাঁদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোজগার বৃদ্ধি না পাওয়ায় বাজারের তালিকা থেকে সদাই কাটছাঁট করতে হচ্ছে। মাসের বাজার খরচ আঁটসাঁট করায় সংসারে অশান্তি বাড়ছে। গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে গেছেন।
প্রায় দেড় বছর ধরে চাল, ডাল, গম, তেল, ময়দা, লবণসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের পাশাপাশি খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও বেড়েছে। যেমন পোশাক, খাতা-কলম, বাসাভাড়া, যাতায়াত ভাড়া। বিশেষ করে গত নভেম্বর মাসে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পরপরই জীবনযাত্রার খরচ বাড়তে শুরু করে। আবার গত বছরের মাঝামাঝি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারেও ভোগ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজারকে আরেক দফা উসকে দিলেও এখন সারাবিশ্বে পণ্যমূল্য নেমে এসেছে। কেবল বাংলাদেশে সব ধরণের পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, ডলার সংকট ইত্যাদি নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও নেতাদের নিত্যনিদের বক্তব্য নিয়ে প্রখ্যাত দার্শনিক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এক টকশোতে বলেছিলেন, ‘পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, ডলার সংকট নিয়ে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থ যোগাচ্ছে বাংলাদেশ।’
নিদারুণ কষ্ট্রে পড়ে গেছেন সাধারণ মানুষ। লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে নিত্যপণ্যের যোগান দিতে হাঁপিয়ে উঠছেন ক্রেতারা। গতকাল রাজধানীর শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে মাছ-গোশত-ডিম-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সরকারি নির্দেশনার বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করেই উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কাঁচাবাজারের সব পণ্য। বাজারের এই লাগামহীন পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে উঠছেন ক্রেতারা।
প্রায় এক মাস হয়ে গেছে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ডিম, পেঁয়াজ, আলুসহ কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবু নিয়ন্ত্রণে আসেনি কাঁচাবাজারের পণ্যের দাম। এরমধ্যে সরকার ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়, আমদানিও করে। কিন্তু এর প্রভাব পড়েনি বাজারে। দাম কমার পরিবর্তে উলটো বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেল প্রতি ডজন লাল ডিম ১৫০ টাকা ও সাদা ডিম ডজন প্রতি ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা এক ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, ডিমের দাম তো বলে ১৫০ টাকা ডজন। কিন্তু যদি একটু বড় ডিম নিতে চাই তখন ১৬০ টাকা করে নিতে হয়। যেভাবে সব কিছুর দাম বাড়ছে সেভাবে তো আমাদের বেতন বাড়ছে না। শুধু খরচের পরিমাণ বেড়ে চলছে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা, আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। আলু কেজিতে ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫/৩৬ টাকা ও কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৬/২৭ টাকা দাম হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে গেলে সরকারের নির্দেশনার কিছুই বোঝার উপায় নেই। ক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, তাদের কিনতে হয় বেশি দামে, ফলে কম দামে বিক্রি অসম্ভব।
শরিফ উদ্দিন নামের এক ালু-পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, আমি গত রাতে দেশি পেঁয়াজ আর ক্রস পেঁয়াজ কিনেছি। আমার কেনা পড়েছে দেশি পেঁয়াজ ৯৩ টাকা আর ক্রস ৯২ টাকা। আর আমি বিক্রি করছি দেশিটা ১০০ থেকে ১০৫ টাকা আর ক্রস ১০০ টাকায়। বেসরকারি চাকুরে আওলাদ হোসেন এসেছিলেন বাজার করতে। পেঁয়াজ কেনার সময় কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেও তো দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা করে কিনলাম, এখন ১১০ টাকা করে বলছে। এভাবে হলে আমরা কোথায় যাবো?
বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, সবকিছুর দাম যেভাবে বাড়ছে তার সাথে তাল মিলিয়ে আর চলতে পারছি না। দিন দিন খরচ বাড়ছে। প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক বাজার করেও কুলানো যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বাজার ঘরে নিতে না পারলে সংসারে অশান্তি হয়ে থাকে।
কেবল আলু-পেঁয়াজই না আদা-রসুনের দামও রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। ভারতীয় আদা ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ১৯০ থেকে ২০০, দেশি রসুন ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারে এসেও হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজারে লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১২০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১৪০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, উচ্ছে ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ১০০ টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০ টাকা ও চাল কুমড়া ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে খেয়েপরে বেঁচে থাকা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠবে। এখনই চলতে পারছি না। সামনে কি হয় বলা দুস্কর। কারণ সরকার রাজনৈতিক ডামাডোলে থাকায় মানুষকে নিয়ে চিন্তা করছে না। ডলারের তীব্য সংকট চলছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক সংঘাত সংঘর্ষ হলে পণ্যমূল্য আরো বেড়ে যাবে।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, মাছ গোশতের বাজাও চড়া। রুই মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকা, চাষের কই মাছ ৩৫০ টাকা, চাষের পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বেলে মাছ ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা, বোয়াল মাছ ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কক মুরগি ২৯০ থেকে ৩১৫ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর গোশত ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। তবে মোটা মসুরের ডাল দাম বেড়েছে ৫ টাকা। আগে দাম ছিল ১০৫ টাকা কেজি, এখন তা হয়েছে ১১০ টাকা। এছাড়া ছোট মুসরের ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতিলিটার ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন , তারা ব্যবসা করলেও নিজেরাও ভোক্তা। পণ্যের দাম নিয়ন্তণে আগে সি-িকেট বন্ধ করতে হবে। অতপর পথে পথে চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে কিছুটা হলেও মাছ ও শাক-সবজির মূল্য কমনে। ##


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা

বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা