রাস্তায় কোনো সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। মাঠ কিংবা খোলা স্থান নির্বাচন করে সেটি উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে। সমাবেশ করতে চাওয়া দলগুলোকে রাস্তা বাদ দিয়ে ভিন্ন স্থানে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। বিকল্প স্থান ঠিক করে আবেদন করলে কমিশনার চিন্তা করে দেখবেন তারা অনুমতি পাবেন কি না।গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদরদপ্তরে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (প্রশাসন) বিপ্লব কুমার সরকার একথা বলেন।

বিপ্লব কুমার বলেন, রাজনৈতিক দল যারাই সভা-সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে তাদের বলা হয়েছে জনদুর্ভোগ কমাতে রাস্তা বাদ দিয়ে খোলা স্থান দেখতে। সেটা খোলা মাঠ হতে পারে। নিজেদের ভেন্যু নিজেরাই পছন্দ করে ডিএমপিকে জানাতে বলা হয়েছে। আমাদের ঢাকা শহর মেগা সিটি। এখানে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হলে ঢাকার দুই-আড়াই কোটি নগরবাসীর জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিতে সমস্যা হয়। সব দিকগুলো বিবেচনা করেই নগরবাসীর স্বার্থে নির্বিঘেœ চলাচলের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিপ্লব কুমার বলেন, ডিএমপির যে অর্ডিন্যান্স আছে সেখানে বলা আছে, ঢাকা শহরে কোনো সভা-সমাবেশ করতে হলে অবশ্যই কমিশনারের অনুমতি নিতে হবে। কেউ যদি অনুমতি না নেয় সেটি আইন অমান্য হবে। তবে আমি আশা করবো রাজনৈতিক দলগুলো আইনের প্রতি বাধ্য থেকে পুলিশের প্রতি সহযোগিতা করবেন। আমরাও সবাইকে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা আইনে কী আছে সেটা বিবেচনা করবো।

উল্লেখ্য, আগামিকাল শনিবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে মহাসমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠিও দিয়েছে দলটি। একই দিন মতিঝিলে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে ডিএমপির অনুমতি চেয়েছে জামায়াত। ওইদিনই ঢাকায় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।