গায়েবি রায় দিচ্ছে আদালত
২২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
এতোদিন পুলিশ গায়েবি মামলা করতো। এখন আদালতও গায়েবি রায় দিচ্ছে। মৃত এবং গুম ব্যক্তিদেরও দেয়া হচ্ছে কারাদণ্ড। এ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বারের দক্ষিণ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, রূহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো: কামরুল ইসলাম সজল, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুব, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আরো বলেন, কোনো আদালত মৃত ও গুম হওয়া ব্যক্তির নামে রায় দিয়েছে, বিশ্বে এমন কোনো নজির নেই। পুলিশ এতোদিন গায়েবি মামলা করতো। এখন দুঃখজনকভাবে নিম্ন আদালতের কিছু কিছ কোর্ট গায়েবি রায় দিচ্ছে।
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড। এ কথাটা যদিও অনেক আগে বিখ্যাত একজন বলেছিলেন। কিন্তু এখন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে প্রযোজ্য। যখন একজন ল’ইয়ার তার ক্লায়েন্টকে ডিফেন্ড করবেন, সেজন্য সময়, সুযোগ এবং লিগ্যাল প্রসিডিউর মেন্টেইন করা উচিৎ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিচারিক আদালত সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। অর্থাৎ ওনারা তড়িঘড়ি করে মনে হচ্ছে কারো নির্দেশে এ রায়গুলো দিচ্ছেন। আইনি সহায়তা অব্যাহত আছে। কিন্তু বিচারের বানী আজ নিভৃতে কাঁদছে। আমাদের আইনজীবীরা পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছেন না। একতরফা রায়গুলো হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায়।
বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেন, গত ২ মাসে ঢাকার আদালতে ২১টি রাজনৈতিক মামলায় বিএনপির ২৭১ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গত ১ বছরে ২৯টি মামলায় ৩০৪ জন নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। চার বছর আগে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা আবু তাহের দাইয়া এবং ১০ বছর আগে গুম হওয়া সাজেদুল ইসলাম সুমন, ৮ বছর আগে গুম হওয়া আমিনুল ইসলাম জাকিরকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনজীবী হিসেবে সাজা প্রদানকৃত প্রতিটি মামলা পর্যালোচনায় আমরা দেখতে পেয়েছি, সাজাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অপরাধের সংশ্লিষ্টতা নেই। কোনো ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণ করতে হয় সাক্ষ্য-প্রমাণ দ্বারা। অধিকাংশ মামলায় সাক্ষী হিসেবে শুধু পুলিশ সদস্যকে হাজির করিয়ে সাজা প্রদান করা হয়েছে। কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত বিচারিক স্তরসমূহও অনুসরণ করা হয়নি। ফলে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তড়িঘড়ি করে বিএনপির নেতাদের সাজা দেয়া হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার