ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসল কাটতে ব্যস্ত দামুড়হুদার কৃষাণ-কৃষাণী
২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
অগ্রহায়ণের ঝকঝকে আকাশ। মাঠে মাঠে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন দুলছে। বাতাসে হিমগন্ধে শীতের মাঠজুড়ে সোনারঙ্গা ধানের ছড়াছড়ি। আমন ধানের চনমনে গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক-কৃষাণীরা। দিগন্তজোড়া মাঠ সেজেছে যেন হলুদ-সবুজ রঙে। ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক। কোমর বেঁধে উৎসাহ-উদ্দীপনায় চলছে কৃষকের কাস্তে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষক। এবার ধানের দাম বেশি পেয়ে খুব খুশি কৃষকরা। ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দুর আলতো পরশ আর মিষ্টি রোদের স্নিগ্ধতা জানান দিচ্ছে বছর ঘুরে আবার এসেছে অগ্রহায়ণ। এসেছে বাঙালির প্রধান কৃষিজ ফসল ধান কাটার ক্ষণ। কৃষকের আঙিনায় গড়াগড়ি খাচ্ছে নতুন ধান। গ্রামেগঞ্জে মাঠে মাঠে ম-ম গন্ধ। বাংলার ঘরে ঘরে মানুষ মেতে উঠছে এই নব-অন্নের ঘ্রাণে।
স্মরণাতীতকাল থেকেই বাঙ্গালির জীবনে নতুন ধান কাটা আর সেই ধানের প্রথম অন্ন গ্রহণকে কেন্দ্র করে আয়োজন হয় নবান্ন উৎসব। সুঘ্রাণ খেজুর রস সংযোগে নতুন চালে তৈরি হচ্ছে পায়েস ও পিঠা-পুলি। বউ-ঝিদের নাইওর করার ধুম পড়েছে গ্রামে গ্রামে।
দামুড়হুদা উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটার নবান্নের উৎসব। আর এ ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা। শীতের সকাল থেকে পড়ন্ত বিকেল পর্যন্ত মাঠে-মাঠে ফসল কাটার চিরাচারিত দৃশ্য এখন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে দেখা যাচ্ছে। তবে শ্রমিক সঙ্কটে ধান কাটা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। চলতি আমন মৌসুমে দামুড়হুদায় উৎসাহ নিয়ে আমন ধান কাটার কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা।
দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা তাদের চাষাবাদকৃত ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ বার উৎসাহ নিয়ে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু করলেও বাজারে ধানের ফলন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে কৃষক। ধানের ফলন এ বছর খুব ভালো না হওয়ার কারণে অনেক কৃষকের খরচ উঠবে না। তবে বর্তমান বাজারে ধানের দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি। এ বছর আমন ধান পাকার সময়ে কিছু ধানের জমিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ হলেও তারপরেও ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। বিঘাপ্রতি ১৬-১৯ মন ধান হচ্ছে।
দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামের কৃষক ইউসুপ বলেন, ধান উৎপাদন খরচ একটু বেশি হয়েছে। বাজারে ধানের দাম যদি মণ প্রতি ১ হজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা হয় তাহলে তাদের উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা লাভবান হবে। এছাড়া মাঠ থেকে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিকদের মজুরি মূল্য বেশি দিতে হচ্ছে। এসব খরচ বাদ দিলেও কৃষকরা এ বছর অনেক লাভ না হলেও লোকসান হবে না।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, এবারে দামুড়হুদা উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রর চেয়ে ২৯৫ হেক্টর বেশি। উৎপাদন ধরা হয়েছিল ৩৭ হাজার ৯৯৫ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। তারপরও কৃষি বিভাগের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণ করার পাশাপাশি অনুকূল আবহাওয়া ও সুষম সার ব্যবহারের কারণে এবার আমন ধানের আশাতীত ফলন হয়েছে। আশা করছি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তবে এ বছর আবহাওয়া জনিত কারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মাজরা ও বাদামী ঘাস ফড়িং পোকার আক্রমণ বেশি ছিলো। যা আমরা কৃষকদের বালাই নাশকের মাধ্যমে জমির ধানে দেবার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দলে শর্ট ও হার্ডি, কামিন্সকে নিয়ে শঙ্কা
কমলনগরে ট্রাক্টরট্রলির চাপায় চটপটি বিক্রেতার মৃত্যু
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু
ঝিনাইদহে ২৬ টি দোকান দুঃসাহসিক চুরি টাকা ও মালামাল নিয়ে চম্পট
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে প্যানেল
বগুড়ায় মটরসাইকেল - ভটভটি সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত
‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি করছিলেন এক প্রতারক , আয় ৩০ কোটি !
মাদকব্যবসা নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ-বোমা হামলা-ভাঙচুর, আহত ২০
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা : হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে
কুষ্টিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্কুল ছাত্র খুন
ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির জন্য উ.কোরিয়ার সৈন্য বিনিময়ে প্রস্তুত জেলেনস্কি
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ঈশ্বরগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
কিয়ার স্টারমার ‘ভালো বন্ধু’ টিউলিপকে কি বরখাস্ত করতে পারবেন ?
রেহানার কাছ থেকে রেহাই মিলত না কোনো ব্যাংকের
টিউলিপ সিদ্দিকের বিতর্কিত সেই ফ্ল্যাট কীভাবে কেনা হয়েছিল?যে তথ্য জানা গেল
লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে হলিউড তারকার মৃত্যু
কুবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা
সাতক্ষীরা সীমান্তে চাষে বাধা দিয়েছে বিএসএফ
"তালেবান নারীদের মানুষ মনে করে না" : মালালা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট