মালয়েশিয়ায় নকল পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জামসহ ৩ বাংলাদেশি গ্রেফতার
২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
নকল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি অভিযোগে তিন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট। মঙ্গলবার সকালে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতো’ রুসলিন বিন জুসোহ এক প্রেস কনফারেন্সে জানান ‘অপস ভিস্তা মুতিয়ারা’ নামে পরিচিত একটি বিশেষ অপারেশনে বাংলাদেশি নাগরিক দ্বারা পরিচালিত একটি নকল পাসপোর্ট জালিয়াতি সিন্ডিকেটকে গ্রেফতার করেছে।
গত সোমবার সকালে শুরু হওয়া এই অভিযানে মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা ও বিশেষ অপারেশন বিভাগ, ইমিগ্রেশন সদর দপ্তর পুত্রজায়া থেকে বিভিন্ন পদের ইমিগ্রেশন অফিসারদের একটি দল যৌথ ভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মহাপরিচালক আরো বলেন, স্থানীয় নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং জিআইএম-এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। গত দুই সাপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম নজরদারি করছিল। গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশীদের শুধুমাত্র একজনের কাছে বৈধ অস্থায়ী কাজের ভিজিট পাস (পিএলকেএস) রয়েছে এবং অন্যজনের কাছে কোনো বৈধ নথি নেই। অভিযানের ঘটনাস্থল থেকে মোট ৬১ কপি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৪৩ কপি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট এবং ১ কপি মিয়ানমারের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয় যা নকল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের মোট ২২১ টি পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রথম অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে পরবর্তীতে জালান কেপং-এ চলে যায় এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির মূল মাস্টারমাইন্ড, ‘শিমুল’ নামে পরিচিত জাল পাসপোর্টের নির্মাতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একজন ৩৩ বছর বয়সী বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে। যার পিএলকেএস ভিসার মেয়াদ রয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এই সিন্ডিকেটের কাজ হল বাংলাদেশ, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের সহ বিভিন্ন দেশের বিদেশিদের টার্গেট করা যাদের বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট নেই। সিন্ডিকেট দলটি যাদের পাসপোর্ট সমস্যা আছে তাদের খুঁজে বের করে তাদের কাছে গিয়ে সিন্ডিকেট দ্বারা প্রদত্ত পরিসেবা গুলি অফার করে। ধারণা করা হচ্ছে এই সিন্ডিকেটটি এক বছর ধরে কাজ করছে এবং পাসপোর্টের একটি কপির জন্য প্রায় মালয়েশিয়ার রিঙ্গিত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ( ১৩-১৮ হাজার টাকা চার্জ করে।
সিন্ডিকেট গ্রাহকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে দিনে পাঁচ থেকে ১০ কপি নকল পাসপোর্ট তৈরি করতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত সকলকে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অপরাধ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং আরও তদন্তের জন্য এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপে গ্রহণের জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার