বিশ্বাসঘাতক ও বেঈমানের ভূমিকায় সৈয়দ ইবরাহিম
২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকারকে আগুনে নিক্ষেপ করে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিশ্বাসঘাতক ও বেঈমানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ পর্যায়ের জরুরি সভায় একথা বলেন তারা। জরুরি সভায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান এড. জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীকে ১২ দলীয় জোট থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বহুমাত্রিক রূপ ধারণ করে আন্দোলনের নামে সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি দেশ, দেশের মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বেঈমানি করেছেন। তার এই ভূমিকাকে রাসপুটিন এর সাথে তুলনা করা যায়। দেশের এই দুঃসময়ে জনগণের সাথে তার বেঈমানী করা একজন মীরজাফর ও বিশ্বাস ঘাতক বলে ভবিষ্যতে বিবেচিত হবে।
এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ১২ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট আছে এবং আমরা গণতন্ত্রের লড়াইয়ে একত্রিত আছি। বরং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং মুসলিম লীগের নেতাকর্মীরা তাদের দলের নেতার সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আমাদের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
১২ দলীয় জোটের জরুরি সভায় জোটের মুখপাত্র থেকে মেজর জেনারেল (অব:) মুহাম্মদ ইবরাহিমকে বহিষ্কার করে বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমকে ১২ দলীয় জোটের নতুন মূখপাত্রের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে এবং ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা গ্রেফতার ও কারাগারে বন্দি থাকায় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধানকে ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে।
এর আগে তিনটি দলের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট গঠন করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। নতুন এই জোটের তিনটি দল হলো- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি), জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হাতপাঞ্জা)।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে আমরা অংশ নিবো। আমরা ২০২৪ সালের নির্বাচন জাতি ও বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে চাই। একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করি, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য ২০১৪ সালে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। প্রচণ্ড চাপ থাকার পরেও আমরা সেই নির্বাচনে যাইনি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে থেকে আন্দোলন করেছি। আর ২০১৮ সালে আমন্ত্রণ ছিলো ২০ দল থেকে বের হয়ে নির্বাচন করার জন্য। কিন্তু আমরা ২০ দলে থেকেই নির্বাচন করেছি। আর বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করবো। কারণ তাদের কাছে আমরা রাজনীতি শিখেছি। কারণ একা রাজনীতি শেখা যায় না।#
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন