নবী (সা.)-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ভালোবাসা রাখা মুমিনের দায়িত্ব
২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
মুমিন হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ঈমান আনা। কেউ যদি রাসূল (সা.)-এর প্রতি ঈমান না আনে, সে মুমিন নয়। তাই আল্লাহর প্রতি যেমন ঈমান আনতে হবে, ঠিক তেমনই রাসূল (সা.)-এর প্রতিও ঈমান আনতে হবে। রাসূলের (সা.) প্রতি ঈমান আনার অর্থ হলো তিনি আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। এটা বিশ্বাস করা এবং সাক্ষ্য দেয়া। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনে বলেন, মুহাম্মাদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন; তবে তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ। আল্লাহ সর্ববিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞাত। (সূরা আহযাব-৪০)। মুমিনের দায়িত্ব হচ্ছে, নবীজির প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ভালোবাসা রাখা। তার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা। মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী গতকাল জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে এসব কথা বলেন।
খতিব বলেন, স্বয়ং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি সর্বশেষ নবী। আমার পর কোনো নবী নেই। (বুখারি, হাদিস নং-৩৫৩৫)। সুতরাং রাসূলুল্লাহর পর কেউ যদি নিজেকে নবী দাবি করে, সে মিথ্যাবাদী এবং কাফের। তেমনিভাবে যারা এই মিথ্যা নবীকে নবী বা মুজাদ্দিদ, মাহদী বা মাসিহ কিংবা তার অনুরূপ, অথবা ঈমানদার নেক্কার মনে করবে তারাও কাফের। রাসূল (সা.)-এর অবমাননা তো দূরের কথা; শুধু তার সামান্য অসম্মান বা কষ্টের কারণ হয় এমন সব কথা ও আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। তার প্রতি অবতীর্ণ কুরআনকে সর্বশেষ ওহি-গ্রন্থ হিসেবে মেনে নিতে হবে। তার শরিয়তকে আল্লাহ প্রদত্ত সর্বশেষ ইসলামী শরিয়ত হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
খতিব আরো বলেন, রাসূলের প্রতি ঈমান আনার অর্থ এটাও বিশ্বাস করা যে, রাসূল (সা.)-কে আল্লাহ তায়ালা যেসকল দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন সেগুলোর প্রত্যেকটি তিনি যথাযথ আদায় করেছেন। তার সে দায়িত্বগুলোর বিবরণ কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে। এই সকল দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি যা করেছেন এবং যা বলেছেন সবকিছু বিশ্বাস করা এবং মনে-প্রাণে মেনে নেওয়া তার প্রতি ঈমানের অংশ। তিনি আল্লাহ প্রদত্ত এইসব দায়িত্ব পালনার্থে যা বলেছেন বা করেছেন সেটাই হাদিস ও সুন্নাহ। কুরআনের ভাষায় ‘হিকমাহ’ ও ‘উসওয়ায়ে হাসানাহ’। সেটা গ্রহণ ও অনুসরণ করাকে কুরআন ফরজ করেছে এবং মান্য করাকে ঈমানের শর্ত সাব্যস্ত করেছে। সুতরাং যদি কেউ বলে, কুরআন মানি, হাদিস মানি না, তবে সে ঈমানের গণ্ডির বাইরে চলে যাবে। কারণ হাদিস অস্বীকারের অর্থই হচ্ছে নবীজি (সা.)-কে অবমাননা করা। হাদিস অস্বীকারকারী এসব নব্য আহলে কুরআনের প্রতারণার ব্যাপারে হুঁশিয়ার থাকতে হবে। তাদের কুফরি চিন্তা-ধারার প্রচার-প্রসার এখন আমাদের দেশে, এমনকি আমাদের রাজধানীতেই চলছে। এটা রুখতে প্রয়োজন সতর্কতা ও বিচক্ষণতা। মুমিনের জন্য ঈমান সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই সম্পদ হেফাজত করা ফরজ। মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন, আমীন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের
সন্ত্রাসী হামলায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত, আহত ১০
ইবির আইন প্রশাসক হলেন ড. নুরুন নাহার
নাটকীয় জয়ে রংপুরের সাতে সাত
নতুন ফেসবুক পেইজের ঠিকানা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন
ভক্তদের হঠাৎ কি বার্তা দিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর?
পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের জন্যই ৩১ দফা কার্যকর প্রয়োজন: আমিনুল হক
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত
হাসিনার এপিএস লিকুর ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, দুদকের ৪ মামলা
মারের কোচিংয়ে জোকোভিচের প্রথম জয়
উত্তরখানে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার
মাত্র ৯৫ দিনে মুহিব্বুল মুরসালিন খানের পবিত্র কুরআন হিফয সম্পন্ন
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
হাজীগঞ্জে ননদ ভাবির ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি
নতুন বছরে টেকনোর অসাধারণ অফার
‘১৫ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ'র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সফল করুন’
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড