নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে নির্দেশনা আসতে পারে
২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে দলীয় প্রধান ও দলের সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার বৈঠক আজ। সকাল ১০টায় গণভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকে ভোটা উপস্থিতিসহ নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক করতে যা যা করনীয় তা করতে নির্দেশনা দিতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা এমপির সরকারি বাসভবন গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল প্রার্থীকে (জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়নপত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপিসহ) যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
একাধিক দলীয় সূত্র জানিয়েছে, যারা মনোনয়ন পাবেন তাদেরকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিতে পারেন। সেই নির্দেশনা কেউ পালন না করলে পরবর্তীতে দলীয় শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সেই নির্দেশনার মধ্যে অত্যতম হলো নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক করতে যা যা করনীয় তা করতে হবে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। যা তিনি এর আগে দলীয় ফোরামের বিভিন্ন সভায়ও অতীতে বলেছেন। নির্বাচন যেন অংশগ্রহনমূলক হয় এবং দেশে বিদেশে যেন এই নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন না তুলতে পারে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সেই নির্দেশনাই দেওয়া হবে। এ ছাড়া যারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন তার পক্ষে সকলকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে দলীয় প্রধান গত লক্ষীপুরের উপ নির্বাচনে যে ব্যালেটে সীল মারা ঘটনা ঘটেছিল সে ধরনের কোন ঘটনা ঘটালে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দিতে পারেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। আর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করলে তার দায় দল নেবে না এমন সিদ্ধান্তও দিতে পারেন। বরং এই ধরনের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন প্রশাসন যদি কোন ব্যবস্থা নেয় সেটিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানাবে কোন অবস্থাতেই কারচুপি বা অনিয়মের ভাগীদার আওয়ামী লীগ হতে চায় না। নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেবেন। প্রতিটি প্রার্থীর প্রধান দায়িত্ব হবে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা। নির্বাচনে যেন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হয় সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের লক্ষ্য হবে ভোটারদের কাছে এবং ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসা।
দলীয় সূত্র জানিয়েছেন, এবার জয়লাভ করতে আসতে পারে এমন প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জয়লাভ করে আসতে হবে নিজের যোগ্যতায় এ বিষয়টি দলীয় সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। কোন আসনেই যেন প্রার্থী বিনা ভোটে এমপি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন তাদেরকে নির্বাচন করতে হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে হবে এমন নির্দেশনাই থাকবে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থির তৈরী না করতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা বৈঠকে আসতে পারে। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশের কথাই বলা হবে। আর ইতিমধ্যেই দলীয় প্রার্থীদের বলা হয়েছে, এমন একটি নির্বাচন হবে যে নির্বাচন শুধু দেশেই নয়, পুরো বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াত যদি নির্বাচনে না আসনে তারা নির্বাচনে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করবেন এই বিষয়টিও দলীয় প্রধানের বক্তব্যে আসতে পারে। আর বিএনপি নির্বাচনে শেষ মূহুর্তে আসলেও কী করনীয় থাকবে সে বিষয়েও দলীয় নির্দেশনা দেবেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর এক সদস্য ইনকিলাবকে বলেন, প্রথম কথা হলো- সকলকে তো দলীয় মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। আর ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো দলীয় বিদ্রোহও এই জাতীয় নির্বাচনে করা যাবে না, এই বিষয়টিই দলীয় প্রধান মূলত আগামীকালের (আজ) বৈঠকে বলবেন। কেউ বিদ্রোহী করলে শাস্তির কথাও বলবেন। এ ছাড়া ভোট উপস্থিতি যাতে বাড়ে সে দিকে সকলকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশনা অবশ্যই তার বক্তব্যে থাকবে। এ ছাড়া উৎসব মূলক পরিস্থিতিতে ভোটের প্রচার প্রচারণার বিষয়ে তিনি হয়তো নির্দেশনা দেবেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, নির্বাচনের আগে সকলকে বিএনপি-জামায়াত যাতে ‘কোন প্রকার’ সাভটাজ না করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া যদি কোন দলীয় প্রার্থী অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তা হলে শান্তিমূলক ব্যবস্থার কথাও বলতে পারেন। মোট কথা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলবেন। যেখানে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গতকাল শনিবার দলের মনোনয়ন নিয়ে বলেছেন, নতুন-পুরাতন মিলিয়েই আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি। যেখানে পুরোনোরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে সেখানে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। ইলেকট্যাবল ক্যান্ডিডেট যারা সেটাই হচ্ছে বিচারের মানদণ্ড। এছাড়া কতজনকে বাদ দেব, কতজন রাখব এ ধরনের সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের মাথায় রয়েছে কাকে দিলে আমাদের দল নির্বাচনে জনগণের কাছে অধিকতর যোগ্য হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পার্বত্য এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়নি: নাহিদ
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু
সুনামগঞ্জে ২২ লাখ টাকার ইলিশ জব্দ
ছাত্রজনতা হত্যার নির্দেশদাতা বিতর্কিত পুলিশ সদস্যরা এখনো লাপাত্তা
রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ‘রোবটের মতো’ কাজ করেছে লেবাননের যে চিকিৎসক
মোদীর সফরের আগে ভারত সরকারের নামে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা পান্নুনের
মিয়ানমার থেকে মণিপুরে অনুপ্রবেশ ৯০০ জঙ্গির, দাবি ভারতের
৪৩ দিন পর কাজে ফিরলেন আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা
গিল-পান্তের ব্যাটে পিষ্ট বাংলাদেশ
ফের মৃত্যুর খেলা! ‘স্কুইড গেম সিজন ২’র টিজারে বিপদের বার্তা
অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কচুয়ায় যুবলীগ নেতার ৪টি দোকান পুড়েছে দুর্বৃত্তরা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
লেবাননের বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
রাঙামাটিতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের টহল, পরিস্থিতি শান্ত
পরমাণু দূষিত পানি নিয়ে চীন ও জাপানের কিছু ঐকমত্য
ঝিকরগাছায় বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান মিনুসহ ২১ নেতাকর্মী বহিষ্কার
হিজবুল্লাহর ভয়ে ইসরাইলিদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকার নির্দেশ
ভারতের ঘুম হারাম করে পাকিস্তানকে ভয়ঙ্কর হেলিকপ্টার দিচ্ছে চীন
পাকিস্তানে সেনানিবাসে আত্মঘাতি হামলা, সেনাসহ নিহত ১৮
জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩, আহত ২২ হাজার