চিলমারীতে বীর নিবাস নির্মাণ কাজে ধীরগতি
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গত সাত মাসের ও বেশি সময় ধরে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্প ‘বীর নিবাসের’ কাজ বন্ধ রয়েছে। ঘরের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুবিধাভোগীরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার লিখিত চিঠি পরেও কাজ করছেন না।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (২য় পর্যায়) উপজেলায় বাস্তবায়নের নির্মিত অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৫ টি বীরনিবাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ৮ হাজার ২৬৬ টাকা।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, ৫টি করে ঘরকে একটি প্যাকেজ আকারে মোট ৭টি প্যাকেজের মাধ্যমে ৭ জন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যেমে এসব কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ ঘরের কাজও শেষ হয়েছে। তবে অভিযোগ ওঠেছে, ৬ নম্বর প্যাকেজের আওতায় উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে ৫টি ঘর নির্মাণের পর কিছু কাজ করার পর গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। এই সব কাজ করছেন মো. রেজওয়ান আলী চিলমারী, কুড়িগ্রাম নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে দেখা যায়, রমনা মডেল ইউনিয়নের রমনা খামার এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ইছহাক আলীর বরাদ্দ বীরনিবাসের কাজ ৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। বেশির কাজই বাকি রয়েছে। এর মধ্যে ছাদে রড কম দেয়ার অভিযোগ করেছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। বেশিরভাগ বীর নিবাসের নিলটন ও দেওয়াল পর্যন্ত ইট গেঁথে কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে গেছে ঠিকাদারের লোকজন। এতে দেয়ালে নোনা ধরা সহ খোসে পড়ছে ইট পলেস্তারা। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অনেকেই নতুন ঘরের আশায় পুরাতন বসতঘর ভেঙে ফেলেন। তবে সময় মতো কাজ শেষ না হওয়ায় টিনের চালা কিংবা অন্যের ঘরে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের।
রমনা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ঘরের কাজ প্রায় ৮ মাস থেকে চলছে কিন্তু এখন পর্যন্ত শেষ হচ্ছে না। তাছাড়া ঘর নির্মাণের সময় নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে বারবার বলা সত্বেও সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি। এসময় তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ঘর নিয়ে খুব বিপদে আছি। বীর নিবাসের জায়গার জন্য আমার পুরাতন বসতঘর ভেঙে ফেলেছি কিন্তু নিদিষ্ট সময় পার হলেও শেষ হয়নি কাজ। আমি খুব কষ্টে দীর্ঘদিন ধরে আমার ছেলের ঘরে থাকতেছি।
রমনা খামার গ্রামের বীর মুক্তিযাদ্ধা মো. ইছহাক আলী জানান, সরকার আমাকে একটা বীর নিবাস বরাদ্দ দিয়েছে। ৭ মাস আগে আমার বসতভিটায় ওই বীর নিবাসের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ৬ মাস ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদারের কোন খোঁজ খবর পাচ্ছি না। বীর নিবাসের নির্মাণ কাজের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কেন কাজ শেষ হয়নি এই বিষয়টি বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হলেও তারা কর্নপাত করেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. রেজওয়ান আলী জানান, একজনকে কাজ গুলো দিয়েছিলাম এখন কাল থেকে কাজ শুরু না করলে আমি আগামী রোববার থেকে কাজ শুরু করব। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, আমি বেশ একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে দ্রুত কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান
যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ
ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১
ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী
মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে
মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ