এসপি পরিচয়ে পুলিশের সাথেই প্রতারণা!

চট্টগ্রাম ব্যুরো

০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম

পুলিশ সুপার পরিচয়ে প্রতারণার ঘটনায় মো. সাগর ওরফে রিমন (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজশাহী জেলার মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়েছে। সাগর ওরফে রিমন নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বাংড়া এলাকার মো. হাসানের ছেলে।

জানা গেছে, সাগর নিজেকে পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে। এরপর কোন এলাকায় কোন পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছে তাদের নাম্বার নেয়।
আর কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ওই কর্মকর্তাকে ওয়্যারলেস বার্তা দিয়ে বলে দেওয়া হয় এসপি তাকে ফোন করবে। এরপর ওই কর্মকর্তার কাছে ফোন করে তাকে পাশের যে কোন বিকাশ এজেন্টের কাছে যেতে বলেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে বিকাশ এজেন্টের নাম্বার নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে নিজের কাজে ফিরে যেতে বলে ওই প্রতারক। আর এর মধ্যে ওই বিকাশ এজেন্টকে ফোন করে বলা হয়, তার নাম্বারে টাকা পাঠাতে।

কিছুক্ষণের মধ্যে ওই পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে তাকে ওই টাকা পরিশোধ করা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। এতে অনেকে তাকে টাকা পাঠিয়ে দেন। নগরীর কদমতলী এলাকার এক বিকাশ এজেন্ট এই ভাবে তাকে তিন দফায় ৫১ হাজার টাকা পাঠান। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি নগরীর সদরঘাট থানায় অভিযোগ করেন। এই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ রিমনের সন্ধ্যান পায়।

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে পুলিশের সঙ্গেই প্রতারণার চেষ্টা করে সাগর। সে নিজেকে পুলিশ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। এর আগেও বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সে। প্রতারণার মাধ্যমে দাবিকৃত অর্থ লেনদেন করে বিভিন্ন বিকাশ ও নগদ একাউন্টের মাধ্যমে।

সাগর জিজ্ঞাসাবাদে তার অভিনব প্রতারণার বিষয়গুলো স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ডিএমপি, রাজশাহী, পাবনা ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য, জালিয়াতি ও প্রতারণা পাঁচটি মামলা তদন্তাধীন এবং আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিভাগ : জাতীয়