ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সমাবেশ করতে অনুমতি লাগবে ইসির: অশোক কুমার

ঢাকার বাইরে যেতে নিরাপত্তা চায় : ইইউ কারিগরি দল

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটে অংশ গ্রহণকারী দল, প্রার্থী ও পর্যবেক্ষক কারা, নির্বাচন আইনে কী রয়েছে এবং সে অনুযায়ী বিধি ভঙ্গ হচ্ছে কিনা এমন সব বিষয় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জেনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কারিগরী দল। নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করা এই দলের সঙ্গে গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে ইসি কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী তথ্য ও সার্বিক পরিবেশের তথ্য পেয়ে তারা সন্তুষ্ট। নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনের পরের পরিবেশও তারা দেখবে। ইইউর চার সদস্যের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন, আমরা বসেছিলাম। তারা আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে থেকে নির্বাচনের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন। এ নিয়ে তাদের কিছু জানার ছিল। আমরা তা জানিয়েছি। নির্বাচনে প্রার্থী কত, পর্যবেক্ষক কত আসছে, এগুলো নিয়েও তারা জানতে চেয়েছেন। দলটি সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ হচ্ছে কিনা, তারা সকল বিষয় দেখবেন। বৈঠকে তারা মূলত আইনগুলো দেখতে চেয়েছে। এছাড়া বাংলা আইনের ইংরেজি চেয়েছে। তারা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ঘুরবে। প্রয়োজনে তারা কমিশনের সঙ্গেও বসবে। নির্বাচনী ভায়োলেন্সসহ তারা সকল বিষয় জানতে চেয়েছেন, তারা সারা দেশব্যাপী ঘুরবে। এজন্য নিরাপত্তা বিষয়টিতে আমরা হেল্প করব, এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। ইইউ দলটি ঢাকার বাইরে গেলে নিরাপত্তাজনিত কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে যাবে। এর আগে গত বুধবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিকে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ আয়োজনের কথা রয়েছে। তবে ওই সভার বিষয়ে অবগত নন বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় এ সমাবেশের কথা রয়েছে। তবে তফসিল ঘোষণার পর দলের জনসভার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচি বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচারণামূলক সভার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলার বিষয় রয়েছে। জনসভা করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি না নিলে কী হবে তা আইনে বলা আছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থী ও দলের প্রচারের সুযোগ রয়েছে। তবে ১০ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সভাটি নির্বাচনী কোনো সভা নয়। এ ধরনের সভা আয়োজনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ইইউর দলটি নির্বাচনের পরিবেশ, কয়টি দল অংশ নিয়েছে, মোট প্রার্থী কত, নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সহিংসতা, পর্যবেক্ষক সংস্থা কতটি- এমন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চেয়েছে। এছাড়া তারা ঢাকার বাইরে গেলে নিরাপত্তার যে বিষয়টি রয়েছে- তাও আলোচনা করেছেন। ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ঢাকার বাইরে গেলে সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন এবং মন্ত্রণালয় তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, তারা (ইইউ) যা জানতে চেয়েছে আমরা (ইসি) তা জানিয়েছি। আশা করি তারা সন্তুষ্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বৈঠকে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
চিঠিতে ইইউ জানিয়েছিল, বাংলাদেশে নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ নেই। তাই বাংলাদেশে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। ওই চিঠিতে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর মতো তহবিল না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেছিল ইইউ। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন দেখতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক ইতোমধ্যে আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া ৩৪ দেশ ও চারটি সংস্থার ১১৪ জন পর্যবেক্ষককে ভোট দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
##


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত