ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
নবম দফায় দুই দিনের অবরোধের প্রথম দিন

ঢাকায় গণপরিবহণ সঙ্কট

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম

সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা নবম দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে গতকাল রোববার ঢাকায় গণপরিবহন চলাচল করলেও সংখ্যায় ছিলো খুবই কম। যে সব বাস চলাচল করেছে তাতেও ছিলো যাত্রী ঘাটতি। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে স্টাফ বাসে অনেকেই কর্মস্থলে যাতায়াত করেছেন। এছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার অবাধ চলাচল করেছে। তবে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার দু’একটি বাস ছেড়ে গেছে পুলিশষ পাহারায়। অনেক কাউন্টার ছিলো পুরোপুরি বন্ধ। পরিবহণ মালিকÑশ্রমিকরা বলেছেন, মূলত যাত্রী সঙ্কটের কারণেই বাস ছাড়া সম্ভব হয়নি। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২৩ প্লাটুনসহ সারা দেশে ১৬২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও র‌্যাব ফোর্সেসের ১৪১টি টহল টিমসহ দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলো। এর মধ্যেও বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে অবরোধের সমর্থনে ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল। এছাড়া অবরোধের সমর্থনে মিছিলেন করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।

গতকাল মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে অন্য দিনের তুলনায় যাত্রী সমাগম কম। এছাড়া বন্ধ রয়েছে অনেক বাসের কাউন্টার। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত যাত্রী সংকটের কারণেই বাস কম চলছে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী সৌখিন বাসের চালক আবদুল্লাহ বলেন, অবরোধে মাঝেমধ্যেই তো আগুনের ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক আছে। তারা ঝুঁকি নিতে চান না। তাই একান্তই প্রয়োজন না হলে অবরোধে কেউ যাতায়াত করতে চান না। ফলে, এর প্রভাব পড়েছে আমাদের উপর। গাবতলি থেকে বিভিন্ন রুটের দু’একটি বাস ছেড়ে গেছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা এওকেবারেই কম।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত