ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
গাজায় যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থনের জের

২০২৪ নির্বাচনে বাইডেনবিরোধী ঐক্যজোটের পথে মার্কিন মুসলিমরা

Daily Inqilab আল-জাজিরা

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

গাজায় যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের বিরুদ্ধে মুসলিমদের একজোট করার অঙ্গীকার করেছেন ৬ রাজ্যের মুসলিম নেতারা। গাজায় যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষ সমর্থনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে দিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার পথে রয়েছেন মুসলিমরা। নির্বাচনের ফল নির্ধারণী অন্তত ছয় রাজ্যের মুসলিম নেতারা শনিবার বাইডেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মুসলিম সম্প্রদায়কে একাট্টা করার অঙ্গীকার করেছেন। তবে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিমরা কাকে সমর্থন দেবেন সেটি এখনও নির্ধারণ করেননি।

২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পেছনে যেসব রাজ্য ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে আছে ওই ছয় রাজ্য। এসব রাজ্যের ভোটারদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মুসলিম ও আরব-আমেরিকান। আগামী বছরের নির্বাচনে তারা বাইডেনের জয়ে বাধা হয়ে উঠতে পারে। মিশিগানের ডিয়ারবর্ন শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে মিনেসোটার ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস’ (সিএআইআর)- এর পরিচালক জায়লানি হুসেইনকে নির্বাচনে বাইডেনের বিকল্প কে হতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে দুজন নয়, অনেক বিকল্প (প্রার্থী) আছে। ‘তবে আমরা ট্রাম্পকেও (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প) সমর্থন দিচ্ছি না’। অন্যান্য প্রার্থীদের কিভাবে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে সে ব্যাপারে মুসলিমরাই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।

গাজায় ইসরাইলি হামলায় শত শত ফিলিস্তিনির প্রাণহানির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার মুসলিমরা গত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে আহ্বান জানানোর দাবি তোলার পরই শুরু হয় ‘#অ্যাবানডন বাইডেন’ (বাইডেন পরিহার) শীর্ষক প্রচারাভিযান। সেই প্রচারাভিযান ছড়িয়ে পড়ে মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, পেনসিলভেইনিয়া এবং ফ্লোরিডায়। গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কর্মকর্তাদের ওপর চাপ বাড়লেও এতে রাজি হচ্ছেন না তারা। গাজায় হামলাকে সমর্থন করে শনিবার বাইডেনের সুরে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের কথা বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মুসলিমদের জন্য ভাল কিছু করবেন বলে তারা আশা করেন না। তবে বাইডেনকে ভোটদানে বিরত থাকাকে তারা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় হিসাবেই দেখছেন। এখন মুসলিম ভোটাররা গণহারে বাইডেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, নাকি অল্প কিছু ভোটার তাকে ভোট না দেন সেটিই দেখার বিষয়। তবে অল্প কিছু মুসলিমও যদি বাইডেনকে ভোট না দেন, তাহলে গত নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জয়ী রাজ্যগুলোতে জয় পেতে বাইডেন চাপের মুখে পড়বেন। এতে মিশিগানের মতো রাজ্যগুলোয় মুসলিম ভোটাররা হয়ে উঠতে পারেন বাইডেনের জয়–পরাজয়ের নির্ধারক। কারণ, গত নির্বাচনে মিশিগানে বাইডেন মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।

আরব-আমেরিকান ইনস্টিটিউট-এর হিসাবমতে, মিশিগানের ভোটারদের ৫ শতাংশই মুসলিম। ওদিকে, উইসকনসিনে মুসলিম ভোটার আছে প্রায় ২৫ হাজার। গত নির্বাচনে এ রাজ্যে বাইডেন প্রায় ২০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। আবার অ্যারিজোনায় মুসলিম ভোটার ২৫ হাজারের বেশি। গত নির্বাচনে এ রাজ্যে প্রায় ১০,৫০০ ভোটে জয় পান বাইডেন। ‘নীল ঢেউকে (ডেমোক্র্যাটদের পতাকা) যিনি রক্তে রঞ্জিত করেছেন এমন একজন মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াব না’, বলেন, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান ডিয়েগোর মার্কিন অভিবাসন নীতি কেন্দ্রের এক মুসলিম হাজিম নাসেরেদ্দিন।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
দেশের সাংবিধানিক নাম ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত